Posts

Showing posts from April, 2020 Show all
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাবে সৃষ্ট বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে উঠতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অগ্রাধিকারযোগ্য বাজারে (জিএসপি সুবিধা) প্রবেশাধিকার এবং বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলারের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি এবং সহযোগিতা নিয়ে শুক্রবার ফোনে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন। ফোনে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য তিনি রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। প্রকল্প সহায়তা, খাদ্য সহায়তা এবং পণ্য সহায়তা হিসেবে এযাবৎ ৪.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার জন্য এবং কোভিড-১৯ প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়ামূলক কর্মসূচিতে ৩.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরুরি সহায়তার জন্যও তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষ ও অর্থনীতির জন্য ১১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যা জিডিপির ৩.৫ শতাংশ। এই প্যাকেজের অর্থ ব্যয়ে জনসাধারণের ব্যয় বৃদ্ধি, সামাজিক সুরক্ষা জালকে প্রশস্ত করা এবং আর্থিক সরবরাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে জোর দেয়া হ
উবায়দুর রহমান খান নদভী। সারাদেশে প্রায় সাড়ে চার লাখ মসজিদের কার্যক্রম ভীষণ রকম সীমিত। বিশ্বব্যাপী মানবজাতি আগে আর কখনো এমন কঠিন পরীক্ষার মধ্যে পড়েছে বলে স্মরণকালে দেখা যায় না। আমাদের দেশের ৯৮ ভাগ মসজিদের আর্থিক অবস্থা জনগণের আন্তরিকতা উদারতা ও অংশ গ্রহণের ওপর নির্ভরশীল। মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে মসজিদের জরুরি ব্যয় কীভাবে নির্বাহ হচ্ছে, ঈমানদার মানুষ মাত্রকেই খবর রাখতে হবে। মসজিদ আমাদের ঈমানের প্রতীক। আমাদের জাতীয় গৌরব। আমাদের বৈশিষ্ট্য ও পরিচয়। জুন জুলাই আগস্ট পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে এখনো বলা যাবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তো সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী ইশারা দিয়ে রেখেছেন। সবই নির্ভর করছে এই ভয়ঙ্কর বালা মুসিবতটির গতিবিধির ওপর। অন্তত চলতি বছর ভরেই মসজিদের খবরাখবর আমাকে-আপনাকে রাখতে হবে। যে সাহায্য সহযোগিতা আগে করতেন, এরচেয়ে বেশি এবার করতে হবে এবং গিয়ে পৌঁছে দিতে হবে। আল্লাহর ঘরে নীরবে অনালোকিত থেকে যাবে, আর আল্লাহর কাছে আমাদের উদাসীনতার নালিশ করবে, তা হতে পারে না। মসজিদের বিদ্যুৎ, পানি, পরিচ্ছন্নতা, খেদমত, ইমাম-খতীব-মুয়াজ্জিন-খাদেম এবং আনুষঙ্গিক খাতের
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ! জাতীর এই ক্রান্তিকালে নিশ্চই আপনি উম্মাহের চিন্তায় সময় অতিক্রম করছেন। মুহতারাম, করোনার কারণে গোটা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে গেছে। কয়েক কোটি মানুষ খাদ্যাভাবে ক্ষুধার্ত সময় কাটাচ্ছে। উপার্জনের নিয়মিত উপায় হারিয়েছে আরো কয়েকশ কোটি মানুষ। করোনার পরে একটি অর্থনৈতিক মন্দা ও দুর্ভিক্ষের ব্যাপারে বিশ্বের প্রায় সকল বিশেষজ্ঞ একমত। বাংলাদেশের অবস্থাও কতটা খারাপ তা আপনারাই দেখছেন। মুহতারাম, আপনি নিশ্চই জানেন যে, বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ আলেম ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বেকার সময় কাটাচ্ছে। আলেমদের বড় একটি অংশ আর্থিক সংকটে খেয়ে-না খেয়ে জীবন কাটাচ্ছে। অনলাইনে দেখতে পাই আলেমদের নাম করে ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরন করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির যে অবস্থা তাতে আরো কতদিন এই অবস্থা চলবে তার কোন নিশ্চয়তা নাই। এর অর্থ হলো, লক্ষ লক্ষ উলামায়ে কেরামের ভবিষ্যত সম্পুর্ন অনিশ্চিত। মুহতারাম, দ্বীনি শিক্ষার ধারা বিস্তৃত করা এবং আলেমদের একনিষ্ঠভাবে ইলম প্রচার ও প্রসারে নিয়োজিত রাখতেই হয়তো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কোন রকম বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেয়া হয় না এবং কওমী শিক্ষার্থীদের বৃত্তিমূলক কর্মে নিয়োজিত হওয়াকে নিরুৎসাহিত ক
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:  নুরানি মাদরাসা, হিফজখানা ও ইয়াতিমখানাসহ সকল প্রাইভেট কাওমি মাদরাসা আগামী ৫ মে থেকে খুলে দেয়ার আবেদন করে “চট্টগ্রাম প্রাইভেট মাদরাসা এসোসিয়েশন” নামের সংগঠন গতকাল ২৯ এপ্রিল ২০২০ ইং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এর মধ্যস্ততায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। স্মারকলিপিতে বলা হয়, করোনা মহামারির ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী গত ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশের নুরানি মাদরাসা, হিফজখানা ও ইয়াতিম খানাসহ প্রায় ৫০ হাজার প্রাইভেট কাওমি মাদরাসা বন্ধ রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাগ্রহণ করছে প্রায় ৫০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। তাদের পড়ালেখার সীমাহীন  ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। তাছাড়া ভাড়া ঘর/বিল্ডিংয়ে পরিচালিত সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীদের বেতন-খোরাকী নির্ভর এসব প্রাইভেট কাওমি মাদরাসা বিগত ২ মাস যাবৎ বন্ধ থাকায় মাদরাসার বিল্ডিং ভাড়া এবং শিক্ষক কর্মচারীর বেতন প্রদানে সম্পূর্ণ অপারগ হয়ে পড়েছে। বেতন না পেয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা অর্থনৈতিক মহা সংকটে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশের নুরানি মাদরাসা, হিফজখানা ও ইয়াতিম খানাসহ প্রায় ৫০ হাজার
ডক্টর তুহিন মালিক।  এতদিন শুনেছি, ‘আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র।’ এবার দেখছি, ‘আগে উন্নয়ন পরে জীবন!’ দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, সবাই যেভাবে লকডাউন ভেংগে বের হয়ে যাচ্ছি, তাতে সরকারের সেই পুরোনো ‘আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র’ নীতির প্রতিফলই দেখা যাচ্ছে। সবাই যেন আজ প্রচন্ড অস্থির! ধৈর্যচ্যুত! ‘জীবন ও জীবিকার লড়াইয়ে’ জীবনকেই যেন পেছনে ফেলে হাঁটছি। ভাবছি, জীবন জীবিকার এ লড়াইয়ে জীবন যাবে তো গরীবের; তাই বলে কি উন্নয়নের চাকা থামানো ঠিক হবে! নাহলে, কি করে আমরা দলবল নিয়ে কৃষকের মাঠে কাঁচা ধান কাটার ফটোসেশন করতে পারি? কি করে আমরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই শত শত গার্মেন্টস খুলে দিয়ে, করোনার ঝুঁকি নিয়ে চাকরি বাঁচাতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের কাজে আসতে বাধ্য করতে পারি? কি করে আমরা সামান্য জিলাপী খাওয়ার লোভ সংবরণ করতে না পেরে ইফতারির বাজার খুলে দিতে পারি? এতো দেখছি, ‘আগে উন্নয়ন পরে জীবন নীতি’কেও হার মানিয়ে ‘আগে জিলাপী পরে জীবন’ নীতিকেই বেশী পছন্দ করছি! পৃথিবীর খোঁজখবর কি রাখছি আমরা? বিশ্বে প্রথম ৯০ দিনে মারা গেছে যে একলাখ মানুষ। কিন্তু পরের মাত্র ১৫ দিনেই মারা গেছে আরও একলাখ মানুষ। আমাদের দেশেও এখন আক্রান্ত ৭ হাজার ছ
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:  কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সৃষ্ট বৈশ্বিক বিপর্যয়ে সংক্রমন রোধে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো আমাদের দেশেও লকডাউন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এতে সকল ধরণের অর্থনৈতিক কার্যক্রমেও সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। কাজের অভাবে নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে নিত্যপ্রয়োজন মেটানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পের খাদ্য সহযোগিতার পরিমান অভাবী মানুষের সংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল। তারপরও যা বরাদ্ধ হচ্ছে, একশ্রেণির লুটেরা তা গ্রাস করে নিচ্ছে। তাই দেশের প্রতি দায়বদ্ধ ছাত্র সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন বিপর্যয়ের শুরু থেকেই ত্রাণ ও সুরক্ষা উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে কম সামর্থবান মানুষদের পাশে থেকেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ২৯ এপ্রিল ২০২০ইং বুধবার ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি এম হাছিবুল ইসলামের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর এলাকায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম এম শোয়াইব, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবি সভাপতি মাহমুদুল হাসান, শুরা সদস্য আল আমিন সিদ্দিকী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: উন্নত, অনুন্নত সব দেশেই করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত নানা নীতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কিছু দুর্নীতিবাজ লোকের জন্য। এরকম কয়েকটি দেশের দুর্নীতি নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। যার মধ্যে আছে রোমানিয়া, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া ও বাংলাদেশের কথাও। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের চাল কেলেঙ্কারির কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, “দুর্নীতিবাজদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রমের বিষয়টিকে ঢেলে সাজাতে হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারকে। প্রায় ৫০ জনের মতো স্থানীয় জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ত্রাণের চাল বেশি দামে পুনরায় বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২ লাখ ৭২ হাজার ১৫৫ কেজি চালে হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখায়রুজ্জামানের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ধরনের জাতীয় দুর্যোগ মানুষের সেরা গুণগুলো বের করে আনে, সহমর্মিতা, সংহতি- নানা ক্ষেত্রে আমরা যার প্রমাণ দেখি। কিন্তু সবচেয়ে অনুতাপ ও লজ্জার বিষয় এসময় মানুষের সবচেয়ে খারাপ দিকটাও বেরিয়ে পড়ে।” বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে মহামারী কভিড-১৯ করোনাভাইরাস। এটি এত দ্রুতগত
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৬৪১ জনের শরীরে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭১০৩ জনে। ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬৩ জনে। করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন সংবাদ বুলেটিনে বুধবার (২৯ এপ্রিল) এ তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩১ লাখ এবং মৃতের সংখ্যা দুই লাখ। তবে এই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভিন্ন তথ্য। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ফিন্যানসিয়াল টাইমস সম্প্রতি ১৪টি দেশে মৃতের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে বলছে, করোনায় মৃতের যে সংখ্যা বিভিন্ন দেশের সরকার প্রকাশ করছে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা তার চাইতে ৬০ শতাংশ বেশি। আক্রান্তের সংখ্যা নিয়েও এমন দাবি করেছে একধিক সংস্থা। এই পদক্ষেপে চীনের মতোই সফলতা পেয়েছে বিভিন্ন দেশ। নিউজিল্যান্ড ও জার্মানি এক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে। অনেক দেশ এই লকডাউন তুলে নেয়ার এবং শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে আবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে তারা
ইমদাদুল্লাহ কাবীর ভুঁইয়া। আপনারা অবগত আছেন, গত ১৬ই মার্চের সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৭ই মার্চ থেকে প্রাইভেট মাদরাসা সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে বন্ধ রয়েছে। অদ্য ২৭ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাজশাহী বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয় নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন, ” করোনা ভাইরাস অব্যহত থাকলে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।” এমতাবস্থায় প্রাইভেট মাদরাসা সহ নন-এমপিও ও ইবতেদায়ী মাদরাসার পরিচালনা দুরূহ বাস্তবতার মুখোমুখি। এসকল প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্যে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ভাড়া ঘরে পরিচালিত হয়ে আসছে। মার্চ মাস থেকে প্রতিষ্ঠানের ঘর ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায়, ঘরের মালিকদের সাথে ভাড়া নিয়ে ভুল বুঝা বুঝি সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। অনুরূপ, শিক্ষকদের সম্মানি/বেতনও বাকি রয়েছে। এরই মধ্যে পবিত্র মাহে রমজান চলমান। সামনে ঈদ-উল-ফিতর আসছে। সম্মানি/বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষকদের ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে সম্মানি/বেতন ও বোনাস পরিশোধ করা সম্ভব না হলে শিক্ষকগণ পরিবার-পরিজন নিয়ে কিভাবে বাচবে? /ঈদ উদযাপন করবেন?
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা, সামাজিক দূরত্ব না মানা আর সবশেষে নমুনা জমা দেয়ার সুযোগ না পাওয়া। এমনই নানা ভোগান্তির মধ্যে চলছে দেশের অন্যতম ফিভার ক্লিনিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা টেস্ট কার্যক্রম। ভুক্তভোগীরা বলছেন, আইইডিসিআরের হটলাইনে সাড়া না পাওয়া কিংবা অন্যান্য জায়গা থেকে সেবা না পাওয়ায় শত শত রোগী ভিড় করছেন এখানে। ভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বলছে, মডেল ক্লিনিক না বাড়ালে সমস্যা দিন দিন বাড়বে। একজন বলেন, দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানোর পরে বলে টিকিট নেই। এটা কেমন কথা? আরেকজন বলেন, আগেই জানিয়ে দিত তাদের কতজন টেস্ট করাবে তাহলে তো এভাবে দাঁড়াতে হয় না। নমুনা সংগ্রহ শুরুর ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই ঘোষণা এলো দিনের নির্ধারিত টিকিট শেষ। আর তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন দীর্ঘক্ষণ ধরে করোনা টেস্ট করাতে অপেক্ষারত ভুক্তভোগীরা। কেউ কেউ অভিযোগ করেন অনিয়মেরও। একজন বলেন, টাকা চাইছে। ৩০ টাকা দিতেই টিকিট বের করে দিল। সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিভার ক্লিনিকে প্রতিদিন আড়াইশ থেকে তিনশ নমুনা সংগ্রহের সক্ষমতা থাকলে
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্কঃ গতকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাট হাজারী’র সহকারী পরিচালক আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর নামে “চলমান পরিস্থিতিতে আল্লামা বাবুনগরীর বার্তা ” শিরোনামে একটি বিবৃতি প্রচার হতে দেখা যায় ৷ এ বিষয়ে হযরতের ব্যক্তিগত সহকারী মাওলানা ইন’আমুল হাসান ফারুকীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দেশ দুনিয়া নিউজকে বলেন, সম্প্রতি কোন বিষয়ে আমার শায়েখ ও মুরশিদ আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী (হাফিঃ)আনুষ্ঠানিক কোন বিবৃতি দেননি। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে হযরতের ব্যক্তিগত মতামত থাকতে পারে, তবে তিনি এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে কোন বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান করেননি ৷ তাই এ ধরণের বানোয়াট বিবৃতি প্রচার করা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে বলা যাচ্ছে ৷ নিম্নে সে বিবৃতিটি হুবহু দেয়া হল, “চলমান পরিস্থিতিতে আল্লামা বাবুনগরীর জরুরী বার্তাঃ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর সংগ্রামী মহাসচিব, আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত সহকারী পরিচালক, কোটি-কোটি তাওহিদী জনতার প্রাণের স্পন্দন, কারানির্যাতিত মাযলূম আলেমে দ্বীন, ক্বায়েদে মিল্ল
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:   করোনা কোভিড -১৯ (COVID-19) ভাইরাসের কারণে দেশব্যাপী সৃষ্ট অর্থ সংকটের দরুন জামালপুরের বাসা/মেসসমূহের ভাড়ার বিষয়ে বাসা মালিকদের সহনশীল হওয়ার দাবি জানিয়েছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, জামালপুর জেলা শাখা। আজ ২৮ এপ্রিল,২০২০ইং রোজ মঙ্গলবার ইশা ছাত্র আন্দোলন,জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি- মুহাম্মদ আশেক মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক- মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ্ আল-মাসঊদের গণমাধ্যমে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে মেস মালিক ও সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি এ সংকটপূর্ণ সময়ে ছাত্রদের প্রতি সহনশীল হবার আহবান জানান। যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনা (COVID-19) ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত ১৮ই মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জামালপুরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ দেশের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী মেস ভাড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। উল্লেখ্য যে, মেস মালিকরা ভাড়া আদায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের নানা ভাবে চাপ দিচ্ছেন। অভিভাবকদের আয় বন্ধ হওয়ায় অনেক ছাত্র-ছাত্রী তাদের মেস ভাড়া পরিশোধ করতে সক্ষম হচ্ছেন না। উক্ত পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে নেতৃদ্ব
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: গাজীপুর মহানগরে মুসল্লিদের জন্য মসজিদ খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বোর্ডবাজার আঞ্চলিক অফিস থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা জানান। মেয়র বলেন, গাজীপুর মহানগরীতে মাত্র কয়েকটি এলাকায় করোনাভাইরাস রয়েছে। বাকিগুলো পার্শ্ববর্তী উপজেলায়। যেহেতু গাজীপুরের গার্মেন্টস কারখানাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে তাই এ রমজান মাসে এখন আর মসজিদ অল্পসংখ্যক মুসল্লির জন্য সীমাবদ্ধ রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। শুক্রবারের জুমার নামাজ ও রমজানের তারাবির নামাজে মুসল্লিরা অংশ নিতে পারবেন। মেয়র বলেন, এতে সিটি কর্পোরেশনের কোনো বাধা থাকবে না। আল্লাহ এবং রাসুলকে পাওয়ার জন্য আমরা সবাই মসজিদমুখী হই। যারা অসুস্থ নয় এবং যেসব ওয়ার্ডে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি পাওয়া যায়নি সেসব এলাকার মসজিদে যদি মুসল্লিরা নামাজ পড়তে চান তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা হবে না। তবে ওইসব এলাকায় যেন বাইরে থেকে কোনো লোক করোনার উপসর্গ নিয়ে আসতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের নগরে আমরা সবাই নিরাপদে থাকব। আমাদের পরিবার ও সন্তানদের নিরাপদে রাখব। sou
মাওলানা আবদুর রাজ্জাক। আমরা বাংলাদেশের মুসলমান। আমাদের মাঝে বিভিন্ন ফেরকা আছে। বিভিন্ন দল আছে। রাজনৈতিকভাবেও আমাদের মাঝে মতানৈক্য আছে। কিন্তু এক জায়গায় আমরা সবাই এক। আমরা সবাই হানাফী। হানাফীয়্যাতকে কেন্দ্র করে আমাদের মাঝে মহাঐক্য বিদ্যমান ছিল। আমাদের কেউ আওয়ামীলীগ ও কেউ বিএনপি, জামাত, যে যাই হোক আমরা সবাই হানাফী। আমাদের এই মহাঐক্যের উপর সর্বপ্রথম আঘাত করে আহলে হাদিস নামের লা-মাযহাবীরা । আর দ্বিতীয়তে  আঘাত করলেন আপনি আজহারী সাহেব! আমরা কওমী মাদ্রাসার ওলামা-তলাবারা সব মাযহাবের মাসাআলা আমরা পড়ি। শুধু মাসআলা অধ্যয়ন করি না করি তাই নয় বরং সব মাযহাবের দলিলও আমরা অধ্যায়ন করি। আমাদের মা-লা-বুদ্দা থেকে শুরু করে কুদুরী, শরহে বেকায়া, হেদায়া এসব কিতাবে সব মাযহাবের আলোচনা আছে। আমরা সিহাহ-সিত্তাসহ হাদিস এর যেসব কিতাব অধ্যয়ন করি এখানেও সব মাযহাব বিশ্লেষণ করি। সব মাযহাবের দলিল-প্রমাণ অধ্যয়ন করি। কিন্তু আমরা জনসম্মুক্ষে শুধু আমাদের হানাফী মাযহাব নিয়ে আলোচনা করি। হানাফী মাযহাব মতে আমরা ফতোয়া প্রদান করি। হানাফী মাযহাব মতে আমরা মাসআলা বর্ণনা করি। আমাদের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে উচ্চতর ইফতা বিভাগ
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষ কক্সবাজারের জিন্নাত আলী আর নেই। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন) জিন্নাতের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার বড় ভাই ইলিয়াস আলী। তিনি বলেন, মস্তিস্কে টিউমার আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো-সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন জিন্নাত। সোমবার রাত ৩টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চমেক হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. নোমান খালেদ চৌধুরী জানান, নিউরো-সার্জারি বিভাগে আনার আগে থেকেই জ্ঞান ছিল না জিন্নাত আলীর। তার মস্তিস্কে টিউমারটি এতোই বড় ও জটিল অবস্থায় ছিল যে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তা অপসারণ করা সম্ভব ছিল না। প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষ কক্সবাজারের জিন্নাত আলী। তার উচ্চতা ছিল ৮ ফুট ৬ ইঞ্চি। শৈশব থেকে হরমোনের জটিলতায় ভুগছিলেন জিন্নাত আলী। এ কারণে তিনি অস্বাভাবিক উচ্চতা নিয়ে বেড়ে ওঠেছেন। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল নানা শারীরিক জটিলতা। ২০১৮ সালের অক্টোবরে জিন্নাত আলীর চিকিৎসায় সহায়তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শে
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় একদি রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৪৬২ জনে। এছাড়াও নতুন করে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫৫ জনে। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলে বাড়ানো হয় সতর্কতা। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য মার্চেই ব্যবস্থা নেয় বাংলাদেশ সরকার। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। পঞ্চম দফায় সেই ছুটি বাড়ানো হয়েছে আগামী ৫ মে পর্যন্ত। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়ার্ল্ডোমিটারে তথ্যানুসারে বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ৮১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস এখন পর্যন্ত ২ লাখ ১১ হাজার ৬০৩ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ লাখ ২২ হাজার ৩৮৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: গতকাল (২৬ এপ্রিল) জামালপুর সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়নে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তির (বয়স ৫০) দাফনকার্য সম্পন্ন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জামালপুর জেলা শাখা ও ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা। আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী জামালপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঘোড়াধাপ বাজার সংলগ্ন কবরস্থানে মৃত ব্যক্তির নামাজে জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হয়। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মারা যাওয়া ঐ ব্যক্তি ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি গত ১৩ এপ্রিল হার্টের সমস্যা নিয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে যে অক্সিজেনটি ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়, সেটা পূর্বে যে রোগী ব্যবহার করেছিলো তার শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়। তারপর ওই ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে তার স্যাম্পল টেস্ট করালে করোনা পজিটিভ আসে। এরপর তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ক
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:   কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় গোলাবিনিময় বেড়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান তার ক্ষেপনাস্ত্র ও কৌশলগত অস্ত্রসম্ভার ভারত সীমান্তের কাছে সরিয়ে নিয়েছে। স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা যায় ক্ষেপনাস্ত্রগুলোর অবস্থান এখন সীমান্তের অনেক কাছে। চীনের তৈরি এলওয়াই-৮০ নামের ক্ষেপনাস্ত্রগুলো লাহোরের একটি ঘাঁটিতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে মনে করা হয়, যা ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে। এসব ক্ষেপনাস্ত্রের আরেক সাংকেতিক নাম এইচকিউ১৬এ। এগুলো আকাশ পথে ছুটে আসা টার্গেট ঘায়েল করতে পারে এবং ৪০ মিটার দূরে থাকতেই বাধা দিতে পারে। ২০১৭ সালের মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এসব ক্ষেপনাস্ত্র প্রথম ব্যবহার করে। এলওয়াই-৮০ ক্ষেপনাস্ত্রগুলো এক সারিতে তিনটি করে দুই সারিতে মোট ছয়টি কনটেইনারের মধ্যে আবদ্ধ থাকে। এগুলো ঘন্টায় ৬০০ মাইল বেগে ছুটতে পারে। কাশ্মির নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করার প্রেক্ষাপটে ভারত সীমান্তের কাছে ক্ষেপনাস্ত্রগুলো সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তকে হুমকির মনোভাব হিসেবে দেখা যেতে পারে। কাশ্মিরে স্বাধীনতা আন্দোলন উষ্কে দিতে সেখানে পাকিস্তান জঙ্গিদের পাঠাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে
প্রশ্ন : জনাব কামরুল সাহেব রমজান মাসে গ্রামের বাড়ি খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন, গ্রাম থেকে খুলনা শহর পাঁছ কিলোমিটার দূরত্ব। শহরে এসেই নিজেকে মুসাফির মনে করে রোযা ভেঙ্গে ফেলল, অতঃপর তার মনে পড়ে যে মূল্যবান মোবাইল রেখে চলে এসেছেন, তাই পুনরায় বাড়িতে যান সেখানে গিয়ে কিছু খাবার খেয়ে পুনরায় রওনা দেন। আমার জানার বিষয় হলো উক্ত রোযার হুকুম কি?  উত্তর : শরীয়াহ মতে ৪৮ মাইল তথা তিন দিনের দুরত্বে সফর করার নিয়তে কোন ব্যক্তি রওয়ানা হয়ে নিজের এলাকা অতিক্রম করে ফেললে তার জন্য মুসাফিরের হুকুম আহকাম প্রযোজ্য হয়, নামাজ কসর করতে হয়, রোযা ভাঙলে কাফফারা দিতে হয় না । সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে জনাব কামরুল সাহেব যেহেতু শরয়ী সফরের নিয়তে বের হয়ে নিজ এলাকা অতিক্রম করে শহরে পৌঁছে মুসাফির অবস্থায় রোযা ভেঙ্গেছেন, তাই তাকে উক্ত রোযা শুধু কাযা করতে হবে, কাফফারা দিতে হবে না। উল্লেখ্য, রোযা অবস্থায় সফর শুরু হলে একান্ত প্রয়োজন ব্যতীত রোযা ভাঙ্গা উচিত নয়, এর কারণে রোযা ভঙ্গ করার গুনাহ হয়। (আল ফেকহুল হানাফী ১/৪৩৭) – মুফতি নিজাম উদ্দীন আল গাজী source https://deshdunianews.com/%e0%a6%b8%e0%a6%ab%e0%a6%b0-%e0
সিয়াম এলো ইব্রাহিম হাসান হৃদয় সিয়াম এলো মুছতে সবার পাপের যত কালি, খোদার রহম নাও লুপে ঐ হৃদয় যাদের খালি। হৃদয় জুড়ে আছে যাদের গুনাহর পাহাড় জমা, সিয়াম এলো করতে মাফি করতে তাদের ক্ষমা। রহমতের ঐ বার্তা নিয়ে সিয়াম এলো ফের, প্রভুর রহম নাওনা লুটে আর করোনা দের। সিয়াম এলো বছর ঘুরে বরকতের ঐ গানে, খুশির ছোঁয়া বইছে দেখ সব মুমিনের প্রাণে। সিয়াম এলো নাজাত নিয়ে সব পাপীদের দ্বারে, সিজদাতে যাও প্রভুর তরে মুক্তি পরোপারে। source https://deshdunianews.com/%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%8f%e0%a6%b2%e0%a7%8b-%e0%a6%87%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%ae/
ইঞ্জিনিয়ার কামরুল হাসান। সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার (সুরা বাকারাহ আয়াত ১৭৭) কোভিড-১৯ বা নভেল করোনা ভাইরাসের অশুভ ছোবলে আজ আক্রান্ত আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। প্রায় ৩ সপ্তাহের অধিক পর্যন্ত জনজীবন স্থবির হয়ে আছে। ইতিমধ্যে সরকার সময় আরো বর্ধিত করেছে এবং কেউই জানিনা এই লকডাউন কখন শেষ হবে। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ শ্রেণীর খেটে খাওয়া মানুষগুলো। যারা “দিন এনে দিন খেয়ে” জীবিকা নির্বাহ করে তাদের করুন আর্তনাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দুই/তিন দিন যাবত এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে অসহায় এই মানুষগুলোর পাশে দাড়াঁনোর জন্য আমাদের কাছে নানারকম আবেদন-ন
মতামত কলাম:  বর্তমান সময়ে পুরো বিশ্ব করোনা মহামারীতে আক্রান্ত। থেমে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। স্থবিরতা নেমে এসেছে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে।বিশ্বের ব্যস্ততম নগরীগুলোতে এখন রাজ্যের নীরবতা। সবাই ঘরবন্দী। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। হঠাৎ এই দুর্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের নানা শ্রেণির মানুষও চরম বিপাকে পড়েছে। সবকিছু স্থবির হয়ে পড়া এই সময়ে মানুষের জীবিকা নির্বাহের বিষয়টি হয়ে গিয়েছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। করোনাভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচতে পারলেও না খেয়ে মরার শঙ্কায় রয়েছেন অনেকে। তবে সরকারী-বেসরকারী নানা উদ্যোগের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ কিছু ত্রাণ পাচ্ছে। যা দিয়ে তারা প্রাথমিকভাবে করোনার ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন। তবে বিপদের গভীরতা বোঝা যাবে সময় গড়ালে। সংকটপূর্ণ এই সময়ে যারা বেশি বিপাকে পড়েছেন তাদের অন্যতম হলেন কওমি ও প্রাইভেট মাদরাসার শিক্ষক,মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা। তাঁদের সামাজিক অবস্থান ও ইলমি আত্মমর্যাদাবোধের কারণে তাঁরা না পারছেন কারো কাছে বলতে, না পারছেন সইতে। বিশেষ করে আজকে আমার লেখার মূল বিষয় কওমি মাদরাসা শিক্ষকদের নিয়ে। যারা নিরবে নিভৃতে দেশ
মিজানুর রহমান আজহারী নামের একজন সাড়া জাগানো তরুণ বক্তা বেশ কিছু গলত মাসআলা জনসম্মুখে প্রচার করে। যার কারণে দেশের হক্কানী ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে তার এসব বিতর্কিত সালাত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হয় বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন সেখান থেকেও তিনি বিভিন্ন বিতর্কিত মাসআলা দিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল তিনি রমজান উপলক্ষে তার দেয়া লাইভ বক্তব্যে সুন্নাত ও নফল নামাজে কোরআন শরীফ দেখে দেখে পড়া জায়েজ সংক্রান্ত একটি ভুল মাসআলা পেশ করেন। মুসলিম উম্মাহ কে তার এই ভুল মাসালা থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে আমরা এ সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা করলাম। (১) ইমাম আযম আবু হানিফা রাহ. এর মতে নামাযের মধ্যে দেখে দেখে কিরাত পড়লে নামায নষ্ট হয়ে যায়। পরিমাণে অল্প হোক বা বেশি, চাই একাকী নামাজ পড়ুক বা ইমাম হয়ে নামাজ পড়ুক। সর্বাবস্থায় কিরাত দেখে দেখে পড়লে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। (তাবয়ীনুল হাকায়েক, ১/১৫৮) ইমাম আবু হানিফা রহ. এর মতের সাপেক্ষে দুটি কারণ উল্লেখ করেন (ক) কুর’আন শরীফ দেখে পড়ার জন্যে মাসহাফ হাতে ধরতে হয়, পৃষ্ঠা পরিবর্তন করতে হয়। যা আমলে কাছীর হওয়া স্পষ্ট আর আমলে কাছীর নামায ভঙ্গের কারণ। (খ) নামাযের মধ্যে মাসহাফ দেখে পড়
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: ফেনী সোনাগাজী উপজেলার আওতাধীন নবাবপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের আলেম-উলামাগণের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সামাজিক সংগঠন নুসরাতুল মুসিমীন ফাউন্ডেশন  এর ব্যবস্থাপনায় উপদেষ্টা, দায়িত্বশীল ও সদস্যদের অর্থায়নে প্রতি বছরের মত এবারও আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয় ৷ নুসরাতুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে নির্বাহী পরিষদের দায়িত্বশীলদের মাধ্যমে তালিকা সংগ্রহ করে প্রত্যেকের ঘরে ঘরে গোপণীয়তার সাথে সসম্মানে ইফতার সামগ্রী পৌছে দেয়া হয় ৷ এ ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তানুযায়ী আলেম-উলামা ও দীনদার শ্রেণীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাধ্যানুযায়ী বুট, মুড়ি পেঁয়াজ,তৈলসহ অন্যান্য ইফতার সামগ্রী প্রত্যেকে হাতে হাতে পৌছে দেয়া হয় ৷ এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মুফতি রফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারী মুফতি নিজাম উদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারী মুফতি সালাহুদ্দীন আইয়ুবী, মাওলানা বেলাল হোসেন ফারুকী,অর্থ সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসেন, সহ অর্থ সম্পাদক মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত সহ অন্যন্য দায়িত্বশীলবৃন্দ ৷ উল্লেখ্য, ইফতার সামগ্রী বিতরণের সময় গ্রহণকারীদের কোন ছবি সংগ্
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:  রমজানে মসজিদে তারাবির নামাজ আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে জামাতে সর্বোচ্চ ১২ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন। ধর্মমন্ত্রী সবাইকে তারাবিহসহ অন্যান্য ইবাদাত নিজ বাসায় পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, আবেগ তাড়িত হয়ে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করলে গোনাহগার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাহে রমজান বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ আর রহমতের এ মাস। আত্মার পরিশুদ্ধি, পাপাচার থেকে মুক্তিলাভের আশায় সিয়াম সাধনার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করেন ধর্মপ্রাণরা। তবে অপেক্ষার শেষটা এবার খুব সুখকর নয়। করোনাভাইরাসের প্রভাবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মসজিদে গিয়ে অন্যান্য নামাজের মত তারাবীর নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।  জুমা’য়ার নামাজের মতো ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ মসজিদ সংশ্লিষ্ট সর্বোচ্চ ১২ জন জামায়াতে উপস্থিত থাকতে পারবেন। দেশ ও জাতিকে মাহামারী থেকে রক্ষায় সরকারের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী। ধর্মমন্ত্রী বলেন, নামাজ পড়তে গিয়ে অন্য কাউকে আক্রান্ত না করে বাসায় নামাজ পড়ুন। তারা