Posts

দেশ দুনিয়া নিউজ করোনা মোকাবেলায় এতটাই সক্ষম হলে বিদেশিরা চলে যাচ্ছে কেন?-রুহুল কবির রিজভী আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বলেন, পরীক্ষা বাড়ানোর পাশাপাশি লকডাউন ও কোয়ারেন্টিনকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, হঠাৎই বাড়তে পারে ভয়াবহতা। সেক্ষেত্রে লকডাউন চালিয়ে যাওয়া, আরো বেশি বেশি টেস্ট করে পজেটিভ রোগী খুঁজে আইসোলেশনে নিয়ে আসা কাজে আসতে পারে। সেনাবাহিনী আজ থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা মনে করি, সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া এ বিপদ ঠেকানো সম্ভব নয়। দেশের সংকটময় সময় বিএনপি জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, কাদের সাহেবকে আমি বলতে চাই, গণতন্ত্রকে যাদুঘরে পাঠিয়েছেন বলেই সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরাকে অপতৎপরতা হিসেবে অভিহিত করছেন। সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে সমা...
দেশ দুনিয়া নিউজ মোস্তাফিজের জন্য শোকগাথা প্রিয় মোস্তাফিজ! আশা করি, পরপারে পরম সুখে আছো। মহান রবের দেয়া প্রতিশ্রুতি মতে তুমি ভাইয়া মৃত নও। জীবিতই রয়েছ। রবই তো বলেছেন- “আর আল্লাহ্‌র পথে যারা নিহত হয় তাদের কে মৃত বলো না, বরং তারা জীবিত; কিন্তু তোমরা উপলব্ধি করতে পার না।” [সুরা বাকারা-১৫৪] মহানবী সা. এর দেয়া সুসংবাদ অনুযায়ী তুমি জান্নাতে সবুজ পক্ষী হয়ে উড়ে বাড়াচ্ছো। রাসুল সা.-ই তো ইরশাদ করেছেন- “শহীদগণের রূহ সবুজ পক্ষীর প্রতিস্থাপন করা হয়, ফলে তারা জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা সেখানে ঘুরে বেড়ায়। তারপর তারা আরশের নীচে অবস্থিত কিছু ঝাড়বাতির মধ্যে ঢুকে পড়ে।…” [মুসলিম: ১৮৮৭] প্রাণের মোস্তাফিজ! তুমি সাধারণ কোনো ছাত্র নও! তুমি ছিলে চট্টলার ছাত্র সমাজের অভিভাভক। তোমার নিরলস পরিশ্রম চোখের সামনে ভাসছে। তোমার স্মৃতিগুলো আজ খুব বেশি নাড়া দিচ্ছে। অনেক শোকগাথাই লিখতে চাই। কিন্তু চোখ অন্ধকার হয়ে আসে লিখতে পারি না। আদরের মোস্তাফিজ! এই ঘুণে ধরা তোমারও স্বপ্ন ছিল আকাশ ছোয়া। মুহিউচ্ছুন্নাহ হতে সেগুনবাগান মাদরাসায় পদেপদে তোমার স্মৃতি। তারপর দারুল মাঅারিফ হতে তুমি হাটহাজারী মাদরাসায় দাওরা পড়েছিলে। ফাযিল...
দেশ দুনিয়া নিউজ আজ ২ এপ্রিল দেশজুড়ে ইসলামী আন্দোলনের ত্রাণ বিতরণ বিশেষ প্রতিবেদক: ওমর ফারুক আবদাল দেশ, ইসলাম ও মানবতা সাথে সম্পৃক্ত সকল ইস্যুতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাঠে-ময়দানে সরগরম। কেন্দ্র থেকে ওয়ার্ড, আমির থেকে সাধারণ কর্মী পর্যন্ত একযোগে সাড়া দেন সকল স্পর্শকাতর ও মানবেতর কর্মসূচিগুলোতে। ক্ষমতার মোহে নয় বরং দেশ, ইসলাম ও জনগণের স্বার্থে কাজ করেন তারা। তাইতো সর্বাগ্রে তাদেরই দেখা যায় জনগণের দুয়ারে দুয়ারে প্রয়োজন পূরণের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা নিয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় করোনা ইস্যুতেও সংগঠনটির ত্রাণ বিতরণ ও অন্যান্য সেবামূলক কার্যক্রমগুলো চোখে পড়ার মতো। আজ ২ এপ্রিল বিভিন্ন জায়গায় তাদের কার্যক্রমের কিছু খন্ড চিত্র এখানে তুলে ধরা হলোঃ- ঢাকা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের  মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ত্রাণ নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ঘরে ঘরে পৌছে দেন আজ। ইসলামী যুব আন্দোলন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ও ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের ত্রাণ তৎপরতা চলছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। উত্তরা ঢাকা আজ মঙ্গলবার  উত্তরা...
দেশ দুনিয়া নিউজ সংগঠন অভিজ্ঞতা ও কর্মপন্থা-পর্ব ২, শেখ ফজলুল করীম মারুফ পড়ুন আগের পর্ব:  সংগঠন অভিজ্ঞতা ও কর্মপন্থা- পর্ব ১   “প্রতিনিয়ত চিন্তা, পুনঃচিন্তা ও প্রথাবিরুদ্ধ চিন্তা” ٱلَّذِينَ يَذْكُرُونَ ٱللَّهَ قِيَٰمًا وَقُعُودًا وَعَلَىٰ جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِى خَلْقِ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَٰذَا بَٰطِلًا سُبْحَٰنَكَ فَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে, (তারা বলে) পরওয়ারদেগার! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও। সূরা আল ইমরানঃ১৯১ এছাড়াও আল কোরআনের বহু আয়াতে চিন্তা করার ব্যাপারে গুরুত্ত্বারোপ করা হয়েছে। বস্তুতঃ মানুষ সৃষ্টি সেরা হওয়ার একমাত্র কারণ মানুষের চিন্তা করার ক্ষমতা। মানুষ প্রতিনিয়ত চিন্তা করেও। এবং সেজন্যই মানব সমাজ এতো বেশী বৈচিত্র্যময়। সমাজে যতজন মানুষ ঠিক ততটাই বৈচিত্রময় একেকটা সমাজ। এই বৈচিত্র্যময় সমাজকে নেতৃত্ব দিতে হলে যেকোন সংগঠনকে অতিমাত্রায় চিন্তাশীল হওয়া বাধ্যতামূল...
দেশ দুনিয়া নিউজ চলছে লকডাউন, বাড়ছে ধর্মবিমুখতা; প্রতিরোধে করণীয় দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে মানুষ অনুগ্রহের দাস। বিভিন্ন দূর্যোগ ও দূঃসময়ে মানুষ যার নিকট থেকে সঙ্গ ও সহায়তা লাভ করে এবং বিপদে যাকে পাশে পায় আজীবন তাকে স্বরণ রাখার চেষ্টা করে।ধীরে ধীরে বিপদে পাশে পাওয়া ব্যক্তিটির চিন্তা ও চেতনা এবং আর্দশ ও সাংস্কৃতি সে-ও তার মননে লালন করতে শুরু করে।এটাই মানুষের চিরাচরিত স্বভাব। আর এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে থাকে মানবতার তথাকথিত ধ্বজাধারি খ্রিষ্টান মিশনারি ও ইহুদিদের পরিচালিত এনজিও গুলো। আর আমরা মানবতার নবী সা.  এর প্রিয় উম্মত হয়েও হাত গুটিয়ে বসে থাকি। পৃথিবীর বুকে মানবতার সবচেয়ে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ উদাহরণ ছিলেন আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ইসলাম পৃথিবীতে মানবতা শিখিয়েছে। গরীব, অসহায় ও দরিদ্র ও দুস্থদের সাথে কিভাবে সহায়তা ও মানবতার হাত বাড়িয়ে দিতে হয় সেটা শিখিয়েছে। আমরা জানি, রাসুল সা হিলফুল ফুজুল নামক সংগঠন কেন তৈরি করেছিলেন? গরীব অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। সমাজ থেকে অন্যায় অবিচার দূর করার লক্ষ্যে। মানবতার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহ...
দেশ দুনিয়া নিউজ রনির প্রতিবাদ করায় পরিচয় পেলাম কিছু নতুন কওমীর জামায়াত বা মওদুদীর সঙ্গে আমাদের ‘আহলুসসুন্নাহ ওয়াল জামাতে’র উসূলী (মূলনীতিগত) ইখতিলাফ এটাই জেনেছি, পড়েছি, বুঝেছি, মুরুব্বীদের থেকে শুনেছি। আমরা দেওবন্দী, মাদানী, থানবীর অনুসারী। মওদুদী আক্বীদার সঙ্গে আমাদের বিস্তর ফরাক। আমাদের দরস, সভা-সমাবেস ও সেমিনারের আলোচ্য বিষয় ছিলো ‘মওদুদিয়্যত’। কিন্তু ১৯৯৯ সালে ইসলামী ঐক্যজোটের ব্যানারে আমাদের কয়েকজন মুরুব্বী চারদলীয় জোটে যোগদান করার কারণে ধীরে ধীরে মওদুদিয়্যত বিরোধী আলোচনা স্থিমিত হয়ে যায়। জোটের স্বার্থে একে অন্যের সঙ্গে হৃদ্যতা না হলেও দূরত্ব কমে যায়। এমনকি আমাদের কওমী অঙ্গন থেকে ‘মওদুদিয়্যত’ বিষয়ের আলোচনা বাদ পডে যায়। যার ফলে ১৯৯৯ সালে যে সব কওমী তলাবা বয়সে ছোট ছিলেন বা এর পরে জন্ম লাভ করেন তারা মওদুদিয়্যতকে মাদানী-থানবীর দৃষ্টিতে দেখেন না। বর্তমানে যেখানে মাযহাব ও ইমামের প্রয়োজন বোধ করেন না কিছু নতুন কওমী সেখানে মাদানী, থানবীর মত মুরুব্বী আবার কেন মানবে আধুনিক কওমীরা? ফলে মুরুব্বিদের তাহক্বীক এখন বাদ। এখন উদারতার চশমা পরে তাহক্বীক করতে হবে। এখন কওমী তলাবাদের কাছে তার মুরুব্বী...
দেশ দুনিয়া নিউজ বিশেষ প্রতিবেদন: লকডাউনে কর্মহীন খেটে খাওয়া মানুষদের দুঃখের কথা নিজাম উদ্দীন আলগাজী:  সকালে ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে সারা কঠোর খাটুনি খেটে কাজ শেষে উপার্জিত অর্থ দিয়ে পরিবারের যতসামান্য নিত্যপ্রয়োজন মেটানো। পরের দিন আবার কাজের সন্ধানে বের হওয়া। এই জীবনচক্রের মধ্যে থাকা শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা দেশে প্রায় ২ কোটি; যাদের নেই কোনো সঞ্চয়। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস লকডাউনে প্রথম আঘাত খেটে খাওয়া এ দরিদ্র মানুষগুলোর উপরই এসেছে। কয়েক দিন ধরে কর্মহীন জীবন পার করছেন নিম্ন আয়ের এসব মানুষ। করোনাভাইরাসের ঝুকি এড়াতে সরকার ২৬ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে। সকল প্রতিষ্ঠানের সাধারণ ছুটি চলছে। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। সবকিছু থমকে থাকায় কাজে বের হতে পারছেন না কুলি-মুটে, নির্মাণ ও আবাসন শ্রমিকসহ সব ধরনের দিনমজুর। দেশে মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশই অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত। এ খাতের বড় অংশই দৈনিক, চুক্তিভিত্তিক মজুরি এবং নিয়োগপত্র ছাড়াই কাজ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য শ্রমিক কাজ করছেন মুদি কিংবা বিভিন্ন দোকানে। এর পাশাপাশি...