দেশ দুনিয়া নিউজ
চলছে লকডাউন, বাড়ছে ধর্মবিমুখতা; প্রতিরোধে করণীয়
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে মানুষ অনুগ্রহের দাস। বিভিন্ন দূর্যোগ ও দূঃসময়ে মানুষ যার নিকট থেকে সঙ্গ ও সহায়তা লাভ করে এবং বিপদে যাকে পাশে পায় আজীবন তাকে স্বরণ রাখার চেষ্টা করে।ধীরে ধীরে বিপদে পাশে পাওয়া ব্যক্তিটির চিন্তা ও চেতনা এবং আর্দশ ও সাংস্কৃতি সে-ও তার মননে লালন করতে শুরু করে।এটাই মানুষের চিরাচরিত স্বভাব। আর এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে থাকে মানবতার তথাকথিত ধ্বজাধারি খ্রিষ্টান মিশনারি ও ইহুদিদের পরিচালিত এনজিও গুলো।
আর আমরা মানবতার নবী সা. এর প্রিয় উম্মত হয়েও হাত গুটিয়ে বসে থাকি।
পৃথিবীর বুকে মানবতার সবচেয়ে উত্তম ও শ্রেষ্ঠ উদাহরণ ছিলেন আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ইসলাম পৃথিবীতে মানবতা শিখিয়েছে। গরীব, অসহায় ও দরিদ্র ও দুস্থদের সাথে কিভাবে সহায়তা ও মানবতার হাত বাড়িয়ে দিতে হয় সেটা শিখিয়েছে। আমরা জানি, রাসুল সা হিলফুল ফুজুল নামক সংগঠন কেন তৈরি করেছিলেন?
গরীব অসহায় ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। সমাজ থেকে অন্যায় অবিচার দূর করার লক্ষ্যে। মানবতার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পৃথিবীতে মানবতার প্রশিক্ষণ দিয়ে গেছেন। সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন রাসুলের সা. প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাদের একজন হলেন খলিফা হযরত উমর (রাঃ)।
খলিফা হবার আগেও তিনি গরিব-দুঃখীদের খোঁজ খবর নিতেন। তাদের পাশে এসে দাঁড়াতেন।গরিব-দুঃখীদের খবর নেবার জন্যে তাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করার জন্য হযরত উমর (রা) রাতের গভীর মহল্লায়-মহল্লায় ঘুরে বেড়াতেন। একাকী।
আজ আমাদের কাজগুলো করছে ইহুদি ও খ্রিস্টানদের এনজিও ও সেবা সংস্থার লোকেরা।আর এই সেবার আড়ালে তারা মুসলমানসহ হিন্দু, সাঁওতাল ও বৌদ্ধদের খ্রীষ্টান ধর্মে দীক্ষিত করছে।আর এভাবেই আপনার আমার ঈমানি ভাইদের চিরকালের জন্য জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
কিছুটা ধর্মীয় জ্ঞানের এবং বেশির ভাগ দারিদ্র্য আর সরলতার সুযোগে তারা এসব কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের চরাঞ্চল ও বর্ডার এলাকাগুলোতে।যেখানে বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র।এর মধ্যে রয়েছে দিনাজপুর পঞ্চগড় ঠাকুরগাঁও লালমনিরহাট কুড়িগ্রাম ইত্যাদি জেলা।
তাই আসুন, আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিয়ে আমার ভাইদেরকে এই দুর্যোগের সময় ঈমান রক্ষার জন্য পাশে দাঁড়াই।এসব এলাকার মানুষগুলো সহায়তা পাওয়ার অধিক হকদার। কিন্তু এদিকে কারুরই নজর পড়ে না।আর এর পাশাপাশি অন্য ধর্মাবলম্বীদের পাশেও দাঁড়ানো উচিত।যেন তারা ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে যায়।এই অসিলায় একসময় হয়তো ঈমান নসীব হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
পুনশ্চ: দুর্যোগের এই সময়ে ধর্ম ও বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে সকলের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দ্বীনি ঈমানী দায়িত্ব। আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। আল্লাহ তাআলা আমাদের মানবসেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত পালনে আত্ননিয়োগ করার সহায় ও সামর্থ্য দান করুন।
লেখকঃ মাওলানা ইব্রাহীম সাঈদ
ঠাকুরগাঁও
চলছে লকডাউন, বাড়ছে ধর্মবিমুখতা; প্রতিরোধে করণীয়
deshdunianews
source https://deshdunianews.com/%e0%a6%9a%e0%a6%b2%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a6%89%e0%a6%a8-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a7%9c%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%a7%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%ac%e0%a6%bf/
0 Comments