Posts
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্কঃ দেশের করোনার মহামারী চলছে। কর্মহীনতার কারণে বাবার পকেট খালি। অবুঝ ছোট শিশু সেটা বোঝার কথা নয়। সে শুধু এতোটুকুই বুঝে- ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই নতুন জামা কাপড় পরিধান করা। একসময় করোনা থাকবে না। বাবার অর্থনৈতিক দৈন্যতাও হয়তো কেটে যাবে। কিন্তু কোন এক ঈদে বাবা নতুন জামা কিনে দিতে না পারার এই গ্লানি কচি-কাঁচা মন থেকে হয়তো দীর্ঘদিনেও মুছবে না। ইসলামী যুব আন্দোলন চেষ্টা করেছে এমন কিছু সাময়িক সমস্যাগ্রস্থ বাবার আদরের সন্তানের হৃদয় যাতে এমন দুঃখ-কষ্ট দাগ না থাকে তা দূর করতে। সীমিত সামর্থে কয়েক হাজার কচি মুখে মুখে হাসি ফোটাতে। আজ ২২ মে’২০, শুক্রবার ইসলামী যুব আন্দোলন কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬৪, ৬৬ ও ৬৭নং ওয়ার্ডসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দরিদ্র মানুষের মাঝে দিনব্যাপী ঈদ বস্ত্র বিতরণ করা হয়। ইসলামী যুব আন্দোলন কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই বিতরণ অনুষ্ঠানের মধ্যমনি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম মহাসচিব হাফেজ মাওলানা অধ্যক
মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী: ঈদের নামাজ ঈদগাহে পড়া সুন্নত। বৃষ্টির কারণে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার মসজিদে পড়েছিলেন, তাই কারণবশত ঈদের জামাত মসজিদে পড়া যায়। বিশ্বব্যাপী শহরে নগরে জনসংখ্যা অনুপাতে ঈদগাহ ও উন্মুক্ত মাঠের অপ্রতুলতাও এসময় মসজিদে নামাজ অনুষ্ঠান সুন্নাহসম্মত হওয়ার একটি কারণ। অবশ্য ঈদগাহ ও উন্মুক্ত মাঠে ঈদের জামাত পড়া নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সারাজীবনের আমল। এ বছর লোকজনের অধিক চলাচল ও সমাগম রোধে সরকার মাঠে ঈদের জামাত অনুমোদন করে নি। তাই মসজিদে পড়াই কর্তব্য আর এটিও সন্দেহাতীত ভাবে সুন্নাহসম্মত। কোভিড১৯ এর মধ্যে সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ মসজিদে পড়ুন। প্রতি জামাতের জন্য আলাদা ইমাম নির্ধারন করে প্রয়োজনে একাধিক জামাত করুন। নিজের জায়নামাজ, হাজী রুমাল, পাক করে ধোয়া তোয়ালে, গামছা বা বেডশিট সাথে নিয়ে মসজিদে কেবল নিজের নামাজের জায়গাটুকুতে বিছিয়ে নামাজ পড়ুন। এতে প্রতি জামাতের ফাঁকে ফাঁকে মসজিদের ফ্লোর নতুন করে সেনিটাইজ করতে হবে না। জটলা পাকিয়ে না দাঁড়িয়ে এবং অযথা ঘোরাঘুরি না করে, কেবল ঈদের মূল ইবাদতটি আমরা পালন করি। যারা
ইঞ্জিনিয়ার কামরুল হাছান:: স্থান-নাম (Toponym) বলতে কোন লোকালয়, অঞ্চল বা ভূ-পৃষ্ঠের অন্য কোন অংশের (প্রাকৃতিক অংশ, যেমন- নদীর নাম, কিংবা মনুষ্যনির্মিত অংশ, যেমন- শহরের নাম) নামকে বোঝায়। অনেকে বলেন,নামে কি আসে যায়? কর্মইতো আসল ।আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি , নামেও অনেক কিছু আসে যায়। কারণ, প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী স্থান-নামগুলি কোন অঞ্চলের পেছনের মনুষ্য ইতিহাসের স্বাক্ষর বহন করে। নাম হচ্ছে, চিহ্ন। নামের মধ্যে থাকে তার আত্মপরিচয় অর্থাৎ শিকড়ের সন্ধান। কোন স্থানের নাম যখন বিকৃত হয়ে যায়, তখন, ঐ জনপদের মানুষ তার শিকড় থেকে দূরে সরে যায় ও আত্নপরিচয়ের সংকটে ভূগে। মহাগ্রন্থ আল কুরআন আমাদেরকে নামকে বিকৃত, উপহাস করতে, অথবা মন্দ নামে ডাকতে নিষেধ করে। যেমন কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, “তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। (সূরা হুজরাত, আয়াত: ১১) আমাদের উপজেলার শিকড়ের সন্ধান করতে গেলে এর নামটি আমাদেরকে অনেক ভাবায়। নামটির যদি সন্ধি বিচ্ছেদ করি তাহলে হয়, ছাগল +নাইয়া হয়। ছাগল একটা প্রাণী, আর নাইয়া অর্থ মাঝি বা নাবিক। মাঝি বা নাবিকের সাথে ছাগলের সম্পর্ক নে
দেশ দুনিয়া নিউজ :: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শুভেচ্ছা বাণীতে পীর সাহেব চরমোনাই দেশের সর্বস্তরের জনগণকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারক জানিয়ে সকলের মঙ্গল কামনা করেন। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের পয়গাম নিয়ে মাহে রমজান এসেছিল। পবিত্র রমজান সকলকে হিংসা-বিদ্বেষ, মারামারি, পরনিন্দা ও চোগলখোরী ছেড়ে দিয়ে আত্মসংযম অর্জন করতে শিখায় এবং আল্লাহর ভয় অর্জনের শিক্ষা দেয়। সকল প্রকার ফেৎনা-ফাসাদ ছেড়ে দিয়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সত্যিকার দেশপ্রেমিক হিসেবে ইসলাম, দেশ ও মানবতা কল্যাণে কাজ করার শিক্ষা দেয়। সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলকে মানবতার কল্যাণে কাজ করা উচিত। তিনি বলেন, এ বছর এমন এক মুহুর্তে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে, যখন পুরো বিশ্ব করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত। তিনি বলেন, এ বছর প্রকৃত অর্থে কোন মানুষের মনে আনন্দ না থাকলেও মুমিন মুসলমানদের প্রকৃত আনন্দ হচ্ছে আল্লাহর তা’য়ালার নির্দেশ মানার মধ্যে। যে যত বেশি আল্লাহর আনুগত্য বা ইব
দেশ দুনিয়া নিউজ :: এবার সমাজের অবহেলিত সম্প্রদায় হিজড়া ও বেদেদের পাশে দাঁড়ালো তরুণ আলেমদের সামাজিক সংগঠন ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন। মঙ্গলবার ফাউন্ডেশনটির পক্ষ থেকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং বেদে পল্লীর প্রায় ২৫০ পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার প্রদান করা হয়। এর আগে সোমবার শ্যামপুর হিজড়া বাড়িতে ঈদ উপহার বিতরণ করেন সংস্থাটির তরুণ আলেমরা। ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ ও যুগ্ম-সচিব ইমতিয়াজ উদ্দিন সাব্বিরের নেতৃত্বে এসব উপহার প্রদান করা হয়। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে হিন্দু-বৌদ্ধ রাখাইন ও সর্বস্তরের খেটে খাওয়া মানুষদের নগদ অর্থ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী সহায়তা করেছে তরুণ আলেমদের এই সামাজিক সংগঠনটি। মুফতি হাবিবুর রহমান মিছবাহ বলেন, হিজড়া ও বেদে সম্প্রদায়ের কথা কেউ ভাবে না। সমাজের সবচেয়ে বেশি অবহেলিত সম্প্রদায় তারা। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। হয়ত এই সুযোগে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনারও একটা সুযোগ পেতে পারি।’ তিনি বলেন, লকডাউনের শুরু থেকেই জনসচেতনতায় স
দেশ দুনিয়া নিউজ:: মহামায়া গণ পাঠাগার, চাঁদগাজী, ছাগলনাইয়া, ফেনী এর উদ্যোগে গরীব দুস্থদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। আজ (২১ মে) রোজ বৃহস্পতিবার, মহামায়া গণ পাঠাগারের উদ্যোগে মোঃ ইউনুছ খান -এর সভাপতিত্বে ঈদ সামগ্রী বিতরণে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন জনাব মোশারফ হোসেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, চোদ্দগ্রাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব নুরুল আমিন, অফিসার ছাগলনাইয়া কৃষি ব্যাংক। জনাব কামরুল হাছান, পাঠাগারের আজীবন সদস্য ও সমাজকর্মী। উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক নুরুল করিম, মোরশেদ আলম, সহ-সম্পাদক। জাকির হোসেন কোষাধক্ষসহ গণ পাঠাগারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। source https://deshdunianews.com/%e0%a6%ae%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a6%be-%e0%a6%97%e0%a6%a3-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%a0%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%89%e0%a6%a6%e0%a7%8d/
মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহমানঃ আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে তাঁর বিভিন্ন শাগরিদ এ কথা যেমন বর্ণনা করেছেন যে, তিনি দুই ঈদের নামাযে ৯টি করে তাকবীর দিতেন তেমনি একাধিক সূত্রে এর ব্যাখ্যাও বর্ণিত হয়েছে। আর উভয় ধরনের বর্ণনাই হাদীসের কিতাবে কমবেশি বিদ্যমান আছে। ১ একটি বর্ণনা এই أخبرنا محمد بن أبان، عن أبي إسحاق، عن أبي الأحوص، عن عبد الله بن مسعود رضي الله عنه أنه كان يكبر في العيدين تسعاً تسعاً : كان يبتدئ بالتكبيرة التي يفتتح بها الصلاة، ثم يكبر ثلاثاً ثم يقرأ، ثم يكبر الخامسة فيركع بها، ثم يسجد، ثم يقوم فيقرأ، ثم يكبر ثلاثاً، ثم يكبر الرابعة فيركع بها. অর্থাৎ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান রাহ. মুহাম্মাদ ইবনে আবান থেকে, তিনি আবু ইসহাক (আমর ইবনে আবদুল্লাহ সাবিয়ী) থেকে, তিনি আবুল আহওয়াছ থেকে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি (ইবনে মাসউদ রা.) দুই ঈদের নামাযে ৯টি করে তকবীর দিতেন। যে তাকবীর দ্বারা নামায শুরু করতেন সেই তাকবীর দ্বারা ৯ তাকবীরের প্রথম তাকবীর দিতেন। তারপর ৩ তাকবীর দিয়ে কুরআন পড়তেন। ৫ম তাকবীর দ্বারা রুকু করতেন। তারপর সেজদা করতেন। (দ্বিতীয় রাকাতের জন্য) দ