Posts

মুফতি সালাহুদ্দীন আইয়ুবী ইয়ামিনউদ্দৌলা আবুল কাসিম মাহমুদ ইবনে সবুক্তগিন ৷ সাধারণভাবে মাহমুদ গজনভী, সুলতান মাহমুদ গজনভী নামে পরিচিত ৷ ছিলেন গজনভী সাম্রাজ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শাসক। ৯৯৭ থেকে ১০৩০ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি পূর্ব ইরানীয় ভূমি এবং ভারত উপমহাদেশের উত্তর পশ্চিম অংশ (বর্তমান আফগানিস্তান ও পাকিস্তান) জয় করেন। সুলতান মাহমুদ সাবেক প্রাদেশিক রাজধানী গজনীকে এক বৃহৎ সাম্রাজ্যের সমৃদ্ধশালী রাজধানীতে পরিণত করেন। তার সাম্রাজ্য বর্তমান আফগানিস্তান, পূর্ব ইরান ও পাকিস্তানের অধিকাংশ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ছিল।(উইকিপিডিয়া) তিনি অত্যন্ত উদার ও ন্যায়পরায়ণ সুলতান ছিলেন৷ পাশাপাশি একজন বিচক্ষণ,দূরদর্শী ও সাহসী যোদ্ধা ছিলেন ৷ স্বীয় পিতা সুবক্তগীন এর মৃত্যুর পর খেলাফতের পদে অধিষ্ঠিত হন এবং অত্যন্ত বিচক্ষণতা ও সাহসিকতার সাথে শাসনকার্য পরিচালনা করেন ৷ তিনি ১০০০ -১০২৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ১৭ বার ভারতে সেনা অভিযান পরিচালনা করেন ৷ তার ১৭ বার ভারত আক্রমণের পিছনে ভারতীয় রাজাগণ কর্তৃক সন্ধি-চুক্তি ভঙ্গ, তার আনুগত্য অস্বীকার এবং ভারতীয় মিত্রকে উৎপীড়ন প্রভৃতি ছিল অনিবার্য কারণ ৷ সুলতান মা
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্কঃ বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই দুর্যোগকালীন সময়ে ভর্তির পর শিক্ষার্থীদের মাদরাসায় অবস্থান না করার পরামর্শ দিয়েছে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ-বেফাক। আজ (১ জুন) সোমবার সকালে বেফাকের মহাপরিচালক অধ্যাপক মাওলানা যােবায়ের আহমাদ চৌধুরী এ কথা জানান। তিনি বলেন, কাওমি মাদরাসাসমূহে ভর্তির বিষয়ে সরকারের সাথে আলােচনার পর এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কওমি মাদরাসায় ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে কোনাে বাধা নেই। তবে ভর্তির পর কোন ছাত্র/ছাত্রী কিছুতেই প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করতে পারবে না। তিনি আরো জানান, কেন্দ্রীয় পরীক্ষা গ্রহণ, মাদরাসায় ক্লাস পরিচালনা, হােস্টেলে ছাত্র/ছাত্রী অবস্থানের বিষয়ে নির্দেশনা পরবর্তীতে জানানাে হবে। মাদরাসা খোলার বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের এ পরিস্থিতিতে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেয় আমরাও সে অনুযায়ী পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। এদিকে গতকাল রোববার সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা আলাপ আলোচনার পর সম্মিলিত কওমি মাদরাসা শিক্ষা সংস্থা ‘আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক::   ভারত-চীনের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা চরমে। গত প্রায় ২৫ দিন ধরে লাদাখ সীমান্তে মুখোমুখি ভারত ও চীন সেনা। এমতাবস্থায় সীমান্তে নিজেদের ঘাঁটিতে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ করা শুরু করে দিয়েছে দুই দেশই। ফলে পরিস্থিতি যে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সীমান্তে সেনাদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়লেও দুই দেশের সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসার ও কূটনৈতিক আধিকারিকরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আলোচনা চালাচ্ছেন। চীনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক আছে। যদিও এর পরেও সীমান্তে নিজেদের ঘাঁটিতে আর্টিলারি, ইনফ্রান্ট্রি কমব্যাট ভেহিকেল ও আরও অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুত করে ফেলেছে। পাল্টা ভারতের তরফ থেকেও একাধিক ভারী যুদ্ধ ক্ষেপণাস্ত্র সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বায়ুসেনার তরফ থেকেও সীমান্তে নজরদারি চালানো হচ্ছে। পূর্ব লাদাখের সীমান্ত উত্তেজনা মেটানোর প্রচেষ্টা চলছে জানিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, ‘আমি দেশেকে নিশ্চিত করতে চাই, আমরা ভারতের অহংকারকে কোনও অবস্থাতেই আহত হতে দেব না। ভারত তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুস
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক::   ফেনীর সোনাগাজীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বদ্ধ ঘরে মৃত্যু হওয়া সাহাব উদ্দিনের (৫৫) মৃত্যুর পূর্বে বীভৎস চিত্র প্রকাশ পেয়েছে। মৃত্যুর আগে পরিবারের লোকজন তাকে ঘরে একা রেখে বাইরে থেকে দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে রাখে। দেওয়া হয়নি দুপুরে খাবার। মৃত্যুর সময় পানি চেয়েও পায়নি। মৃত্যুর পরও কাছে আসেননি স্ত্রী, ছেলে–মেয়ে ও জামাতাসহ কোন স্বজন। মৃত্যুর পর পায়নি স্থানীয় মসজিদের খাটিয়া, কেউ দেয়নি কবর খোঁড়ার কোদালও। মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া এলাকার বাসিন্দা সাহাব উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে একটি পেট্রলপাম্পে চাকরি করতেন। কিছুদিন আগে সাহাব উদ্দিনের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। একই সঙ্গে জ্বর ও কাশি ছিল। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে তিনি সুস্থ হয়ে যান। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গত বুধবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসেন। গত শনিবার রাত থেকে তার শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও কাশি বেড়ে যায়। এর পরদিন রোববার সকালে তিনি হাসপাতালে গিয়ে কোভিড–১৯ আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে আসেন। সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী, তিন ছেলে, তিন মেয়ে ও তিন জামাতা রয়েছেন। দুই ছেলে কাজের সূত্রে গ্রামের বাইর
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক ::  ধর্ম অবমাননা নিরোধ আইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রভাষকের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল মুলতান প্রদেশের একটি আদালত এ রায় দেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী এ রায়ের প্রতিবাদ জানিয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জুনাইদ হাফিজ (৩৩) মুলতানের বাহাউদ্দীন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাষক ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করার দায়ে ২০১৩ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুলতানের একটি কারাগারে বিচারকাজ চলছিল। গতকাল রায় দেওয়ার সময় ওই কারাগারের ভেতরে-বাইরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর সরকারি আইনজীবীরা ‘আল্লাহু আকবার’ ও ‘ধর্ম অবমাননাকারীদের মৃত্যু হোক’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় তাঁদের নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়। এদিকে জুনাইদের কৌঁসুলি আসাদ জামাল এ রায়কে ‘চরম দুর্ভাগ্যজনক’ অভিহিত করে বলেছেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, জুনাইদের মৃত্যুদণ্ডের রায় ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে আদালতের লজ্জাজনক ব্যর্থতা। সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক গবেষক রাবিয়া ম
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক::   জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে প্রতিদিন মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গদের তীব্র প্রতিবাদ চলছে। সেই প্রতিবাদের ঢেউ এসে লেগেছে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউজের বাইরেও। সেখানে শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ এত ভয়ানক ছিল যে একঘণ্টার জন্য নিরাপত্তার স্বার্থে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল মাটির তলার বাঙ্কারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১ ঘণ্টা মাটির তলার বাঙ্কারে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কারণ, প্রতিবাদের তীব্রতা। আগের দিন শনিবার রাত থেকে খবর আসতে থাকে, হোয়াইট হাউজের সামনে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার প্রতিবাদী। তারা বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে টানা প্রতিবাদ করে চলেছেন। রোববার রাতে হোয়াইট হাউজের সামনে আগুন লাগার ঘটনা প্রথমে সামনে আসে। রাত ১১ টার পর জড়ো হন সাধারণ মানুষ। হোয়াইট হাউজের কাছেই একাধির উৎস থেকে আগুন চোখে পড়ে। দেখা যায় একটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্টে দেখা গিয়েছে, সাধারণ মানুষ জড়ো হয়ে‌ কোথাও গ্রাফিতি আঁকছেন, কোথাও জ্বলছে আতশবাজি। তবে এর পরেও ট্রাম্প সুর নরম করতে চান না। প্রতিবাদীদের বিরু
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:: গণপরিবহনের ভাড়া দ্বিগুণ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেশে নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। (৩১ মে) এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনার দোহাই দিয়ে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ের যে প্রস্তাব এটা জনগণের পকেট কাটার শামিল। এধরণের প্রস্তাবে সাধারণ মানুষের সঙ্কটের অন্ত থাকবে না। এমনিইতো নিম্ন ও মধ্যবিত্তের মানুষ আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে মারাত্মক সমস্যায় আছে। এমতাবস্থায় গণপরিবহণে ৮০ ভাগ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার জনদুর্ভোগ লাঘব না করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে, যা দেশ ও জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে না। নেতৃবৃন্দ বলেন, পরিবহণ সেক্টরে যে সীমাহীন দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি চলে তা বন্ধ করলে এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে মিল রেখে তেলের দাম নির্ধারণ করলে ভাড়াবৃদিধ কোন প্রয়োজন হবে না। নেতৃবৃন্দ বলেন, সঙ্কট সৃষ্টি করা নয়, সরকারের উচিত সঙ্কট ও দুর্ভোগ লাঘব করা। এমনিতেই সাধারণ মানুষ আর্থিক অনটনে দিশেহারা। তার ওপর দ্বিগুণ ভাড়ার চাপ