Posts

ইঞ্জিনিয়ার কামরুল হাসান। সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার (সুরা বাকারাহ আয়াত ১৭৭) কোভিড-১৯ বা নভেল করোনা ভাইরাসের অশুভ ছোবলে আজ আক্রান্ত আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। প্রায় ৩ সপ্তাহের অধিক পর্যন্ত জনজীবন স্থবির হয়ে আছে। ইতিমধ্যে সরকার সময় আরো বর্ধিত করেছে এবং কেউই জানিনা এই লকডাউন কখন শেষ হবে। এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ শ্রেণীর খেটে খাওয়া মানুষগুলো। যারা “দিন এনে দিন খেয়ে” জীবিকা নির্বাহ করে তাদের করুন আর্তনাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দুই/তিন দিন যাবত এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে অসহায় এই মানুষগুলোর পাশে দাড়াঁনোর জন্য আমাদের কাছে নানারকম আবেদন-ন
মতামত কলাম:  বর্তমান সময়ে পুরো বিশ্ব করোনা মহামারীতে আক্রান্ত। থেমে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। স্থবিরতা নেমে এসেছে মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে।বিশ্বের ব্যস্ততম নগরীগুলোতে এখন রাজ্যের নীরবতা। সবাই ঘরবন্দী। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। হঠাৎ এই দুর্যোগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের নানা শ্রেণির মানুষও চরম বিপাকে পড়েছে। সবকিছু স্থবির হয়ে পড়া এই সময়ে মানুষের জীবিকা নির্বাহের বিষয়টি হয়ে গিয়েছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়। করোনাভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচতে পারলেও না খেয়ে মরার শঙ্কায় রয়েছেন অনেকে। তবে সরকারী-বেসরকারী নানা উদ্যোগের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ কিছু ত্রাণ পাচ্ছে। যা দিয়ে তারা প্রাথমিকভাবে করোনার ধাক্কা সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন। তবে বিপদের গভীরতা বোঝা যাবে সময় গড়ালে। সংকটপূর্ণ এই সময়ে যারা বেশি বিপাকে পড়েছেন তাদের অন্যতম হলেন কওমি ও প্রাইভেট মাদরাসার শিক্ষক,মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরা। তাঁদের সামাজিক অবস্থান ও ইলমি আত্মমর্যাদাবোধের কারণে তাঁরা না পারছেন কারো কাছে বলতে, না পারছেন সইতে। বিশেষ করে আজকে আমার লেখার মূল বিষয় কওমি মাদরাসা শিক্ষকদের নিয়ে। যারা নিরবে নিভৃতে দেশ
মিজানুর রহমান আজহারী নামের একজন সাড়া জাগানো তরুণ বক্তা বেশ কিছু গলত মাসআলা জনসম্মুখে প্রচার করে। যার কারণে দেশের হক্কানী ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে তার এসব বিতর্কিত সালাত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হয় বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন সেখান থেকেও তিনি বিভিন্ন বিতর্কিত মাসআলা দিয়ে যাচ্ছেন। গতকাল তিনি রমজান উপলক্ষে তার দেয়া লাইভ বক্তব্যে সুন্নাত ও নফল নামাজে কোরআন শরীফ দেখে দেখে পড়া জায়েজ সংক্রান্ত একটি ভুল মাসআলা পেশ করেন। মুসলিম উম্মাহ কে তার এই ভুল মাসালা থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে আমরা এ সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা করলাম। (১) ইমাম আযম আবু হানিফা রাহ. এর মতে নামাযের মধ্যে দেখে দেখে কিরাত পড়লে নামায নষ্ট হয়ে যায়। পরিমাণে অল্প হোক বা বেশি, চাই একাকী নামাজ পড়ুক বা ইমাম হয়ে নামাজ পড়ুক। সর্বাবস্থায় কিরাত দেখে দেখে পড়লে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। (তাবয়ীনুল হাকায়েক, ১/১৫৮) ইমাম আবু হানিফা রহ. এর মতের সাপেক্ষে দুটি কারণ উল্লেখ করেন (ক) কুর’আন শরীফ দেখে পড়ার জন্যে মাসহাফ হাতে ধরতে হয়, পৃষ্ঠা পরিবর্তন করতে হয়। যা আমলে কাছীর হওয়া স্পষ্ট আর আমলে কাছীর নামায ভঙ্গের কারণ। (খ) নামাযের মধ্যে মাসহাফ দেখে পড়
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: ফেনী সোনাগাজী উপজেলার আওতাধীন নবাবপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের আলেম-উলামাগণের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সামাজিক সংগঠন নুসরাতুল মুসিমীন ফাউন্ডেশন  এর ব্যবস্থাপনায় উপদেষ্টা, দায়িত্বশীল ও সদস্যদের অর্থায়নে প্রতি বছরের মত এবারও আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয় ৷ নুসরাতুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনের অস্থায়ী কার্যালয় থেকে নির্বাহী পরিষদের দায়িত্বশীলদের মাধ্যমে তালিকা সংগ্রহ করে প্রত্যেকের ঘরে ঘরে গোপণীয়তার সাথে সসম্মানে ইফতার সামগ্রী পৌছে দেয়া হয় ৷ এ ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তানুযায়ী আলেম-উলামা ও দীনদার শ্রেণীকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাধ্যানুযায়ী বুট, মুড়ি পেঁয়াজ,তৈলসহ অন্যান্য ইফতার সামগ্রী প্রত্যেকে হাতে হাতে পৌছে দেয়া হয় ৷ এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মুফতি রফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারী মুফতি নিজাম উদ্দিন, জয়েন্ট সেক্রেটারী মুফতি সালাহুদ্দীন আইয়ুবী, মাওলানা বেলাল হোসেন ফারুকী,অর্থ সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসেন, সহ অর্থ সম্পাদক মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত সহ অন্যন্য দায়িত্বশীলবৃন্দ ৷ উল্লেখ্য, ইফতার সামগ্রী বিতরণের সময় গ্রহণকারীদের কোন ছবি সংগ্
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:  রমজানে মসজিদে তারাবির নামাজ আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে জামাতে সর্বোচ্চ ১২ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন। ধর্মমন্ত্রী সবাইকে তারাবিহসহ অন্যান্য ইবাদাত নিজ বাসায় পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, আবেগ তাড়িত হয়ে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করলে গোনাহগার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মাহে রমজান বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ আর রহমতের এ মাস। আত্মার পরিশুদ্ধি, পাপাচার থেকে মুক্তিলাভের আশায় সিয়াম সাধনার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করেন ধর্মপ্রাণরা। তবে অপেক্ষার শেষটা এবার খুব সুখকর নয়। করোনাভাইরাসের প্রভাবে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মসজিদে গিয়ে অন্যান্য নামাজের মত তারাবীর নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রেও সীমাবদ্ধতার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।  জুমা’য়ার নামাজের মতো ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ মসজিদ সংশ্লিষ্ট সর্বোচ্চ ১২ জন জামায়াতে উপস্থিত থাকতে পারবেন। দেশ ও জাতিকে মাহামারী থেকে রক্ষায় সরকারের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী। ধর্মমন্ত্রী বলেন, নামাজ পড়তে গিয়ে অন্য কাউকে আক্রান্ত না করে বাসায় নামাজ পড়ুন। তারা
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ভিআইপিদের জন্য ঢাকার শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল প্রস্তুত হচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে বুধবার দিনভর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “ভিআইপিদের জন্য আলাদা হাসপাতাল, সরকারের ভাবনায় এমন কিছু নেই। সবার চিকিৎসা সব হাসপাতালে হবে। এখানে ধনী-গরিব, সাধারণ-ভিআইপি বলে কিছু নেই।”  স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যেসব হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি সবার চিকিৎসা সেখানেই হবে। মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে এটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি। আমরা কোনো মন্ত্রী, এমপি বা কোনো শিল্পপতির জন্য আলাদা হাসপাতাল প্রস্তুত করার কথা বলিনি। এরপরও বিষয়টি নিয়ে যদি কেউ কিছু বলে থাকেন তাহলে তিনি তার নিজ দায়িত্বে বলেছেন। এটা মন্ত্রণালয়ের অবস্থান নয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে অনুরোধ করেছিল, বিদেশি কেউ আক্রান্ত হলে কোথায় চিকিৎসা করাবে, তাদের জন্য আলাদা একটা হাসপাতালে ব্যবস্থা করা যায় কি না। তাদের একটা ডিমান্ড ছিল। এজন্য আমরা প্রাথমি
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বিশ্বব্যাপী করোনভাইরাস মহামারী এবং এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আলোচনা করেছেন। বুধবার টেলিফোনে তাদের মধ্যে এই আলোচনা হয় বলে হোয়াইট হাউস ও পাক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে। এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে পাক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টা নিয়েও দুই নেতা আলোচনা করেছেন। ট্রাম্পের সাথে আলোচনায় ইমরান খান আফগান শান্তি প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের সমর্থন আবারও নিশ্চিত করেছেন এবং আফগান সরকার ও তালেবানদের আলোচনার প্রাথমিক সূচনা পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন। গত সপ্তাহে মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি জালমেই খলিলজাদ থমকে যাওয়া শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে দোহায় তালেবানদের সাথে ও ইসলামাবাদে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। দশকব্যপী চলা এই যুদ্ধের মীমাংসার জন্য আফগানিস্তান থেকে পর্যায়ক্রমে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান চুক্তি হয়। মার্চের ১০ তারিখ থেকে এই সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়। তবে কার