Posts
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস সেখানকার সমস্ত রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের মধ্যে জোরালো ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। গতকাল (বৃহস্পতিবার) ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা বিষয়ক এক অনলাইন বৈঠক হয়। তাতে ইসমাইল হানিয়া বলেন, ফিলিস্তিনকে কেন্দ্র করে আমেরিকা, ইসরাইল এবং আরব নেতারা যে সমস্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে তার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে ইতিহাস বদলে দেয়া এবং ফিলিস্তিনের ভৌগলিক অবস্থানকে মুছে দেয়া। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষ থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণমূলক প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার। তিনি সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা দেন- ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের শত্রুই থাকবে এবং এক ইঞ্চি জমিও তাকে ছেড়ে দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, আমেরিকা “ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং বিশ্বাসঘাতক আরব সরকারগুলো ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা মোকাবেলার জন্য ফিলিস্তিনের সমস্ত রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের মধ্যকার মতভেদ ভুলে যেতে হবে।” লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অবস্থিত ফিলিস্তিনি দূতাবাস থেকে ইসমাইল হানিয়া অনলাইন বৈঠকে যোগ দেন। তিনি বলেন, “আমরা আজ ঐক্
এস.কে নাজমুল হাসান দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা (ইউএনও) নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে মারাত্মকভাবে জখমকারী ও এ মামলার প্রধান আসামি আসাদুলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ইউএনও কে হামলাকারীদের ধরতে র্যাব ও পুলিশের গঠিত একটি যৌথ টিম তৈরি করা হয়। আজ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে র্যাব ও পুলিশের যৌথ টিম আসাদুলকে গ্রেফতার করে। তাকে গ্রেফতারে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাকিমপুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ। পুলিশ জানায় ০৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোর ৫টা দিকে হাকিমপুর থানার হিলি কালীগঞ্জ এলাকা থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলার ওসমানপুর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে আসাদুলকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ আরও জানায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের মাথা হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছে আসাদুল। তবে কি কারণে সে এই নৃশংস হামলা চালিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। মূল ঘটনা জানতে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। উল্লেখ্য গতকাল ০৩ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা ইউএনও ওয়াহিদা খানমের উপর হামলা হয় তার বাসায়, এতে ওয়াহিদা খানমের বাবাও আহত হয়েছেন। ওয়াহিদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এম্বুলেন্সেে করে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। হামলায় তার মাথার হাড় ভেঙ্গে ব্রেনে ঢুকে গিয়েছ
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে মাইকে আজান দেয়া নিষিদ্ধ করে রায় দিয়েছে দেশটির আদালত। ডারবানের মাদ্রাসা তালেমুদ্দীন অ্যান্ড ইসলামিক ইন্সটিটিউটের জামে মসজিদের মাইকে উচ্চস্বরে আজান দেয়া হলে আশপাশের লোকদের জন্য তা বিরক্তকর ও শব্দ দুষণের কারণ উল্লেখ করে সম্প্রতি স্থানীয় খ্রিষ্টান ধর্মালম্বী কয়েকজন ডারবান হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে দুই সপ্তাহ শুনানির পর সোমবার আদালত রায়ে মসজিদের মাইকে উচ্চস্বরে আজানের পরিবর্তে মসজিদের ভিতরে এম্পিফায়ার সিস্টেম ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারক সিডওয়েল মঙ্গাদি বলেন, আবেদনকারীর ব্যক্তিগত জীবন ও কাজের বিঘ্ন ঘটাচ্ছে উচ্চস্বরে মাইকের আজান। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, মসজিদের আজান ও নামাজের আওয়াজ আবেদনকারীর বাড়ির মধ্যে যাবে না এবং তিন মিনিট সময়ের মধ্যে শেষ করে নিতে হবে। এর আগে মসজিদের বিপরীতে বসবাসকারী কিছু অমুসলিম ধর্মাবলম্বী মুসলমানদের প্রতিষ্ঠানটিকে পুরোপুরি বন্ধের জন্য আদালতে আবেদন করেছিল। বিশেষ করে জোহরের আজান তাদের দৈনন্দিন কাজের বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলিম নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান ফয়সাল সুলিম
ইফতেখার সিফাত। আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক রহিমাহুল্লাহ। উনার মর্যাদার ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের কোন ঘরণারই দ্বিমত নেই। মুসলিম উম্মাহর একজন বিখ্যাত সালফে সালিহ তিনি। যমানার শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস, মুত্তাকী এবং মুজাহিদ ছিলেন। উনার মানাকিব বর্ণনা করা আমার উদ্দেশ্য না। রিজালের গ্রন্থগুলোতে সবাই উনার মানাকিব নিয়ে সমৃদ্ধ আলোচনা করেছেন। উনারই বিখ্যাত একটি গ্রন্থ হল “কিতাবুল জিহাদ”। দুঃখজনক হলেও সত্য এই কিতাবটিও আমাদের দেশে নিষিদ্ধ পর্যায়ের গ্রন্থ। মানে উগ্রবাদী বই। আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক রহিমাহুল্লাহ এই যমানার কোন ব্যক্তি না। ১১৮ হিজরীতে উনার জন্ম। জঙ্গিবাদ টার্মের আবিষ্কার তো এই সেদিন হল। আব্দুল্লাহ ইবনুল মোবারক রহিমাহুল্লাহও কি তাহলে জঙ্গি হয়ে গেলেন? উনিও কি কুরআন সুন্নাহর অপব্যাখ্যা করে জঙ্গিবাদ উস্কে দিয়েছেন? উগ্রবাদী বই নিয়ে আমাদের অধিকাংশ প্রতিবাদের সুরটা এমন যে, জিহাদ সংশ্লিষ্ট বই হলে পুলিশ গ্রেপ্তারের অধিকার রাখে। কিন্তু ফাজায়েলে আমল, জ্বীনদের ইতিহাস এগুলো তো জিহাদ সংশ্লিষ্ট বই না। এটা মূলত আমাদের পরাজিত মানসিকতার পরিচয়। ইসলামের এক অকাট্য বিধান নিয়ে আমরা হীনমন্যতায় ভুগছি। আমরা
এস.কে নাজমুল হাসান ব্রিটেনের জনপ্রিয় ইউটিউবার জে পালফ্রে ইসলাম গ্রহণ করেছেন এই শিরোনামে পাকিস্তানের রোজে জাঙ্গে পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। জনপ্রিয় এই ইউটিউবারের পুরো নাম জর্জ উইলিয়াম পালফ্রে। কিন্তু জে পালফ্রে নামে তিনি বেশি পরিচিত। সম্প্রতি এই ইউটিউবার তুরস্ক ভ্রমণ করেন। ভ্রমণকালে তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের সুলাইমানিয়া মসজিদ পরিদর্শন করেন এবং এই ভ্রমণ শেষে জে পালফ্রে ইসলাম গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে তার একটি ভিডিও থেকে। জে পালফ্রে ইসলাম গ্রহণ করার পর ইউটিউবে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যার শিরোনাম ছিল অামি মুসলমান হয়ে গেছি(i converted to Islam)। ভিডিওতে তিনি বলেন আমি মুসলমান হয়েছি এই বিষয়টি আসলে কারো শেয়ার করতে চাইছিলাম না। তবে ইসলামে প্রবেশের এই সফর আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে তাই ভাবলাম এটা শেয়ার করি তাতে অনেকেই অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এজন্যই ভিডিওটা শেয়ার করলাম। তিনি ওই ভিডিওতে আরও বলেন ইসলামের সু-মহান আদর্শ সকলের সামনে প্রকাশ করা আমার কর্তব্য মনে করি। তিনি একথাও বলেন ইসলাম একত্ববাদ,ভালোবাসা ও শান্তির বার্তা। ইসলাম গ্রহণের মুহূর্তটা শেয়ার করতে গিয়ে জে পালফ্রে বলেন,
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্কঃ দখলদার ইসরায়েলের কোন বিমানকে আকাশসীমা ব্যবহারের সুযোগ দেবে না কুয়েত। কুয়েতের বিখ্যাত দৈনিক পত্রিকা ‘আলকাবাস’ সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে । ইসরাইলী বিমান সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার সময় কুয়েতের আকাশসীমা ব্যবহার করেছে বলে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দেশটি তা প্রত্যাখ্যান করে। কুয়েত বলেছে, ইসরাইলী বিমান কুয়েতের আকাশ ব্যবহার করেছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে তা গুজব ও ভিত্তিহীন। কুয়েত কোন দিনই ইসরাইলকে তার আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি। এছাড়া কুয়েত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। দখলদার ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে গত সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। সউদী আরব ওই বিমানকে আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গোটা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বিশেষত মজলুম ফিলিস্তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করে গত ১৩ আগস্ট ইহুদীবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ঘোষণা দেয় আরব আমিরাত। এরপর বিমান চলাচল শুরু হয়। প্রথম ফ্লাইটে যাত্রী হিসেবে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জারেড কুশনার। এছাড়া
ইসলামী ঐক্যজোটের সহকারী মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ গুলজার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এ যোগদান করেন। আজ (২ সেপ্টেম্বর) চরমোনাই মাদরাসায় উপস্থিত হয়ে ইসলামী আন্দোলনের সদস্য ফরম পূরণ করে শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম এর হাতে হাত রেখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এ যোগদান করেন। এ সময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, ইসলাম বিজয়ের ধর্ম। বিজয় হওয়ার জন্যই ইসলাম দুনিয়ায় এসেছে। দেশ, ইসলাম ও মানবতার দুর্দিনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরীক হতে হবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। তাই সকল দেশপ্রেমিক ও ইসলামপ্রিয় জনতাকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত উন্নত কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এগিয়ে আসতে হবে। ইসলাম ছাড়া মানবতার মুক্তি নেই। মুফতি মুহাম্মদ জুনায়েদ গুলজার ইসলামী ঐক্য জোটের সহকারী মহাসচিব এবং ইসলামী যুব খেলাফতের কেন্দ্রিয় সেক্রেটারি পদে ছিলেন। তিনি গত শনিবার (২৯ আগস্ট) ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইসলামী ঐক্যজোট থেকে পদত্যাগ করেন। মুফতি জুনায়েদ গুলজার বলেন, ‘স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি। ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও খেলাফতে ই