Posts

মাওলানা আবদুর রাজ্জাক।  আমাদের ফেনীর আঞ্চলিক ভাষায় একটি প্রবাদ আছে, “ক্ষুদ খাই হেড নষ্ট করে লাভ নাই “ বাক্যটির মর্ম হলো, তুচ্ছ কিছু গ্রহণ করে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হওয়াতে কোন উপকার নেই। আলোচিত বিষয়ে প্রবাদটির মর্ম দাড়ায় ৬৯৫৯টি কওমী মাদরাসা সরকারি আট কোটি একত্রিশ লাখ টাকার সহায়তা থেকে মাদরাসা প্রতি ১১৯৪১টাকা গ্রহণ করলে একদিকে মাদরাসার ঐতিহ্য, বৈষিষ্ট্য ও শত শত বছরের গৌরব ধ্বংস হবে। অপর দিকে কওম অর্থাৎ জনসাধারণ এতদিন যেটা জানতো যে, কওমী মাদরাসা সরকারি কোন অনুদানে চলে না। তাই তারা নিজেরা কওমী মাদরাসায় দান – অনুদান দিয়ে পরিচালনাকে নিজেদের দায়িত্ব মনে করত। এখন সরকার ১১হাজার টাকা করে অনুদান দিয়ে তিলকে তাল বানিয়ে যখন প্রচার করবে তখন জনসাধারণ ভাববে সরকার তো কওমী মাদরাসায় অনুদান দিচ্ছে এখন আর আমাদের দেয়ার প্রয়োজন নেই। তখন কওমী মাদরাসা জনসাধারণের লক্ষ লক্ষ টাকা দান-অনুদান থেকে বঞ্চিত হবে। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সরকারের ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ আলীয়া মাদরাসা করে না, স্কুল-কলেজের নাস্তিক্যবাদী সিলেবাসের প্রতিবাদও করতে হয় কওমী আলেমদেরকে। অনুদান গ্রহণ করার পর নাস্তিকরা সরক...
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাবে সৃষ্ট বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে উঠতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অগ্রাধিকারযোগ্য বাজারে (জিএসপি সুবিধা) প্রবেশাধিকার এবং বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলারের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি এবং সহযোগিতা নিয়ে শুক্রবার ফোনে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন। ফোনে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য তিনি রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। প্রকল্প সহায়তা, খাদ্য সহায়তা এবং পণ্য সহায়তা হিসেবে এযাবৎ ৪.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার জন্য এবং কোভিড-১৯ প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়ামূলক কর্মসূচিতে ৩.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরুরি সহায়তার জন্যও তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষ ও অর্থনীতির জন্য ১১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যা জিডিপির ৩.৫ শতাংশ। এই প্যাকেজের অর্থ ব্যয়ে জনসাধারণের ব্যয় বৃদ্ধি, সামাজিক সুরক্ষা জালকে প্রশস্ত করা এবং আর্থিক সরবরাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে জোর দেয়া হ...
উবায়দুর রহমান খান নদভী। সারাদেশে প্রায় সাড়ে চার লাখ মসজিদের কার্যক্রম ভীষণ রকম সীমিত। বিশ্বব্যাপী মানবজাতি আগে আর কখনো এমন কঠিন পরীক্ষার মধ্যে পড়েছে বলে স্মরণকালে দেখা যায় না। আমাদের দেশের ৯৮ ভাগ মসজিদের আর্থিক অবস্থা জনগণের আন্তরিকতা উদারতা ও অংশ গ্রহণের ওপর নির্ভরশীল। মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে মসজিদের জরুরি ব্যয় কীভাবে নির্বাহ হচ্ছে, ঈমানদার মানুষ মাত্রকেই খবর রাখতে হবে। মসজিদ আমাদের ঈমানের প্রতীক। আমাদের জাতীয় গৌরব। আমাদের বৈশিষ্ট্য ও পরিচয়। জুন জুলাই আগস্ট পর্যন্ত সার্বিক পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে এখনো বলা যাবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তো সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী ইশারা দিয়ে রেখেছেন। সবই নির্ভর করছে এই ভয়ঙ্কর বালা মুসিবতটির গতিবিধির ওপর। অন্তত চলতি বছর ভরেই মসজিদের খবরাখবর আমাকে-আপনাকে রাখতে হবে। যে সাহায্য সহযোগিতা আগে করতেন, এরচেয়ে বেশি এবার করতে হবে এবং গিয়ে পৌঁছে দিতে হবে। আল্লাহর ঘরে নীরবে অনালোকিত থেকে যাবে, আর আল্লাহর কাছে আমাদের উদাসীনতার নালিশ করবে, তা হতে পারে না। মসজিদের বিদ্যুৎ, পানি, পরিচ্ছন্নতা, খেদমত, ইমাম-খতীব-মুয়াজ্জিন-খাদেম এবং আনুষঙ্গিক খাতের...
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ! জাতীর এই ক্রান্তিকালে নিশ্চই আপনি উম্মাহের চিন্তায় সময় অতিক্রম করছেন। মুহতারাম, করোনার কারণে গোটা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে গেছে। কয়েক কোটি মানুষ খাদ্যাভাবে ক্ষুধার্ত সময় কাটাচ্ছে। উপার্জনের নিয়মিত উপায় হারিয়েছে আরো কয়েকশ কোটি মানুষ। করোনার পরে একটি অর্থনৈতিক মন্দা ও দুর্ভিক্ষের ব্যাপারে বিশ্বের প্রায় সকল বিশেষজ্ঞ একমত। বাংলাদেশের অবস্থাও কতটা খারাপ তা আপনারাই দেখছেন। মুহতারাম, আপনি নিশ্চই জানেন যে, বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ আলেম ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বেকার সময় কাটাচ্ছে। আলেমদের বড় একটি অংশ আর্থিক সংকটে খেয়ে-না খেয়ে জীবন কাটাচ্ছে। অনলাইনে দেখতে পাই আলেমদের নাম করে ত্রাণ সংগ্রহ ও বিতরন করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির যে অবস্থা তাতে আরো কতদিন এই অবস্থা চলবে তার কোন নিশ্চয়তা নাই। এর অর্থ হলো, লক্ষ লক্ষ উলামায়ে কেরামের ভবিষ্যত সম্পুর্ন অনিশ্চিত। মুহতারাম, দ্বীনি শিক্ষার ধারা বিস্তৃত করা এবং আলেমদের একনিষ্ঠভাবে ইলম প্রচার ও প্রসারে নিয়োজিত রাখতেই হয়তো মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কোন রকম বৃত্তিমূলক শিক্ষা দেয়া হয় না এবং কওমী শিক্ষার্থীদের বৃত্তিমূলক কর্মে নিয়োজিত হওয়াকে নিরুৎসাহিত ক...
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:  নুরানি মাদরাসা, হিফজখানা ও ইয়াতিমখানাসহ সকল প্রাইভেট কাওমি মাদরাসা আগামী ৫ মে থেকে খুলে দেয়ার আবেদন করে “চট্টগ্রাম প্রাইভেট মাদরাসা এসোসিয়েশন” নামের সংগঠন গতকাল ২৯ এপ্রিল ২০২০ ইং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এর মধ্যস্ততায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। স্মারকলিপিতে বলা হয়, করোনা মহামারির ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী গত ১৭ মার্চ থেকে বাংলাদেশের নুরানি মাদরাসা, হিফজখানা ও ইয়াতিম খানাসহ প্রায় ৫০ হাজার প্রাইভেট কাওমি মাদরাসা বন্ধ রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাগ্রহণ করছে প্রায় ৫০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী। তাদের পড়ালেখার সীমাহীন  ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। তাছাড়া ভাড়া ঘর/বিল্ডিংয়ে পরিচালিত সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীদের বেতন-খোরাকী নির্ভর এসব প্রাইভেট কাওমি মাদরাসা বিগত ২ মাস যাবৎ বন্ধ থাকায় মাদরাসার বিল্ডিং ভাড়া এবং শিক্ষক কর্মচারীর বেতন প্রদানে সম্পূর্ণ অপারগ হয়ে পড়েছে। বেতন না পেয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা অর্থনৈতিক মহা সংকটে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশের নুরানি মাদরাসা, হিফজখানা ও ইয়াতিম খানাসহ প...
ডক্টর তুহিন মালিক।  এতদিন শুনেছি, ‘আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র।’ এবার দেখছি, ‘আগে উন্নয়ন পরে জীবন!’ দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, সবাই যেভাবে লকডাউন ভেংগে বের হয়ে যাচ্ছি, তাতে সরকারের সেই পুরোনো ‘আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র’ নীতির প্রতিফলই দেখা যাচ্ছে। সবাই যেন আজ প্রচন্ড অস্থির! ধৈর্যচ্যুত! ‘জীবন ও জীবিকার লড়াইয়ে’ জীবনকেই যেন পেছনে ফেলে হাঁটছি। ভাবছি, জীবন জীবিকার এ লড়াইয়ে জীবন যাবে তো গরীবের; তাই বলে কি উন্নয়নের চাকা থামানো ঠিক হবে! নাহলে, কি করে আমরা দলবল নিয়ে কৃষকের মাঠে কাঁচা ধান কাটার ফটোসেশন করতে পারি? কি করে আমরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই শত শত গার্মেন্টস খুলে দিয়ে, করোনার ঝুঁকি নিয়ে চাকরি বাঁচাতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের কাজে আসতে বাধ্য করতে পারি? কি করে আমরা সামান্য জিলাপী খাওয়ার লোভ সংবরণ করতে না পেরে ইফতারির বাজার খুলে দিতে পারি? এতো দেখছি, ‘আগে উন্নয়ন পরে জীবন নীতি’কেও হার মানিয়ে ‘আগে জিলাপী পরে জীবন’ নীতিকেই বেশী পছন্দ করছি! পৃথিবীর খোঁজখবর কি রাখছি আমরা? বিশ্বে প্রথম ৯০ দিনে মারা গেছে যে একলাখ মানুষ। কিন্তু পরের মাত্র ১৫ দিনেই মারা গেছে আরও একলাখ মানুষ। আমাদের দেশেও এখন আক্রান্ত ৭ হাজ...
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:  কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সৃষ্ট বৈশ্বিক বিপর্যয়ে সংক্রমন রোধে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো আমাদের দেশেও লকডাউন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এতে সকল ধরণের অর্থনৈতিক কার্যক্রমেও সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। কাজের অভাবে নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে নিত্যপ্রয়োজন মেটানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পের খাদ্য সহযোগিতার পরিমান অভাবী মানুষের সংখ্যার তুলনায় অপ্রতুল। তারপরও যা বরাদ্ধ হচ্ছে, একশ্রেণির লুটেরা তা গ্রাস করে নিচ্ছে। তাই দেশের প্রতি দায়বদ্ধ ছাত্র সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন বিপর্যয়ের শুরু থেকেই ত্রাণ ও সুরক্ষা উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে কম সামর্থবান মানুষদের পাশে থেকেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ২৯ এপ্রিল ২০২০ইং বুধবার ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি এম হাছিবুল ইসলামের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বর এলাকায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক এম এম শোয়াইব, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবি সভাপতি মাহমুদুল হাসান, শুরা সদস্য আল আমিন সিদ্দিকী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢ...