রবিবার থেকে খুলছে গার্মেন্টস; যানবাহন না চলায় ভোগান্তিতে শ্রমিকরা

দেশ দুনিয়া নিউজ
রবিবার থেকে খুলছে গার্মেন্টস; যানবাহন না চলায় ভোগান্তিতে শ্রমিকরা

সালাহুদ্দীন আইয়ুবী: দেশে গণপরিবহন বন্ধের মধ্যে রবিবার কিছু গার্মেন্টস-কারখানা খোলার কথা থাকায় ময়মনসিংহ থেকে হেঁটে ১১২ কিলোমিটার দূরের ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন হাজারো শ্রমিক।

সকাল থেকে ময়মনসিংহ ব্রিজের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাজারো গার্মেন্টস শ্রমিককে ঢাকার দিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। ট্রেন-বাসসহ সব ধরণের গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নিজের দুইটি পা ছাড়া আর কোনো উপায় খুঁজে পাননি তারা-তার উপর ভরসা করেই পাড়ি দিতে নেমেছেন দীর্ঘপথ।

‘করোনাভাইরাসের ভয়ের চাইতে গার্মেন্টসের চাকরি হারানোর ভয় বেশি’-তাই এ ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে বলছেন তারা।
জুলেখা নামের এক গার্মেন্টসকর্মী বলেন, গার্মেন্ট বন্ধ ছিল তাই বাড়ি চলে এসেছিলাম। রবিবার থেকে গার্মেন্ট খোলা। ঠিকসময়ে অফিসে না গেলে চাকরি হারাবো। পেটের তাগিদেই ঢাকা রওনা হয়েছি। সব ভ’য়কে উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমেছি। চাকরি চলে গেলে তিন সন্তান নিয়ে কি খেয়ে বেঁচে থাকব? একই অবস্থা দেখা গেছে দেশের প্রায় জেলা শহরের বাসস্টান্টগুলোতে ফেনীর মহিপাল বাসকাউন্টারে দেখা গেছে চট্টগ্রাম যাত্রীদের ভীড় ৷

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২৫ এপ্রিল থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘সব নিট গার্মেন্টস’ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় বিকেএমইএ। তারা বলেছিলেন, সরকারের ‘দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে পরে কারখানা বন্ধের বিষয়ে আরও বিশদ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
অন্তত ২৫ লাখ শ্রমিকের রোজগারের প্রতিষ্ঠান দুই হাজার ২৮৩টি কারখানার সংগঠন বিকেএমইএর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রপ্তানীমুখী শিল্পকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত অর্থনৈতিক মন্দা থেকে রক্ষার জন্য বিশাল প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এই শিল্পখাতের জন্য প্রদান করেছেন।
“এমন প্রেক্ষাপটে আমাদের কারণে কোনো শ্রমিকের যেন কোনো রূপ ক্ষতি না হয়, সেজন্য কোনোভাবেই আতঙ্কিত না হয়ে, দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে বিকেএমইএ-র সদস্যভুক্ত সব নিট পোশাক কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তবে এরমধ্যে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ১০ দিন থেকে বাড়িয়ে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করেছে। তাই বন্ধ রয়েছে সব ধরনের দূর পাল্লার সব যানবাহন ৷

লকডাউনের প্রথম সপ্তাহে রাস্তায় বাস না চলাচল করলেও টুকটাক ভাড়ায় প্রাইভেট কার, মাইক্রো ও সি.এন.জি পাওয়া যেত!
কিন্তু গতকাল থেকে তা আর মোটেও পাওয়া যাচ্ছে না!  আর এ দিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গার্মেন্টস মালিকরা ০৪/০৪/২০ তারিখের পর থেকে কারখানা খোলা রাখতে পারবে, কিন্তু শ্রমিকদের সকল দ্বায়-দ্বায়িত্ব কারখানার মালিকদের নিতে হবে ৷

এঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় জম্ম দিয়েছে অলোচনা সমালোচনার, একজন লিখেছেনঃ কেন এ তামাশা সাধারণ মানুষগুলোর সাথে? একজন শ্রমিক মরলে সরকারের বড়জোর একটি ভোট কমবে আর করখানার মালিকের কমবে শত শ্রমিকের একজন! তা আপনাদের উভয়ের জন্য বড় কিছু না হলেও হয়তো ঐ লোকটিয়েই তার পরিবারের মূল ভরসা! দয়া করে এদের সুরক্ষা নিয়েও একটু ভাববেন ৷

রবিবার থেকে খুলছে গার্মেন্টস; যানবাহন না চলায় ভোগান্তিতে শ্রমিকরা
deshdunianews



source https://deshdunianews.com/%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%96%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a7%87/

0 Comments