সংগঠন অভিজ্ঞতা ও কর্মপন্থা- শেখ ফজলুল করীম মারুফ

দেশ দুনিয়া নিউজ
সংগঠন অভিজ্ঞতা ও কর্মপন্থা- শেখ ফজলুল করীম মারুফ

দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:  ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন সহি ধারার বৃহৎ একটি সংগঠন যা প্রচন্ড রকম নিয়মতান্ত্রিকতা, ঐহিত্যবাহী ও সর্বাধুনিক ব্যবস্থাপনা কৌশল (Management Strategy) অনুসরণ করে করে চলে।
বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর বাইরে ছাত্র আন্দোলন একটি Well planned and well organised সংগঠন।

সারাদেশ থেকে অনন্ত পাঁচ স্তরের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে উঠে আসা একদল ছেলে এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রদান করে। এদের আত্মনিবেদন, আত্মত্যাগ, দক্ষতা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শুধু প্রমাণিতই না বরং অন্যদের তুলনায় শ্রেষ্ঠ।
সেই প্রাজ্ঞ ও চুড়ান্ত নিবেদিত দলের একজন হয়ে কাজ করার সুযোগ হয়েছে আট বছর। এদের সামনে হাঁটতে বাধ্য হয়েছি দুই বছর। এছাড়াও এদের সমন্বয় করার কাজ করতে হয়েছে দুই বছর।
এই বছরগুলোতে আমি যে নীতি অবলম্বন করতাম তার একাংশ এখানে তুলে ধরা হলো। ভবিষ্যতে প্রত্যেকটা বিষয় ধরে ধরে বিশ্লেষণ করার আশা রাখি। ইনশাআল্লাহ।

চিন্তাগত দিকঃ
১. প্রতিনিয়ত চিন্তা, পুনঃচিন্তা এবং প্রথা বিরুদ্ধ চিন্তা করা ও করতে উৎসাহিত করা।
২. প্রশ্ন করা, প্রশ্ন তোলা, প্রশ্ন করতে উৎসাহিত করা এবং স্বপ্রনোদিতভাবে প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া।
৩. বিপ্লবের নিরিখে শত্রুপক্ষ নির্ধারন করা। এবং মুল নজরটা সেখানেই রাখা। অন্য শক্তিগুলোকে যেকোন পন্থায় হয় পক্ষে নিয়ে আসা বা অন্তত নিরেপেক্ষ করে রাখা।
৪.সমকালের ভাষা, পরিভাষা, যুক্তি, দর্শন ইত্যাদি আত্মস্থ করা এবং সেগুলোর ব্যবহার বৃদ্ধি করা।
৫.প্রত্যেককে তার নিজস্ব প্রিন্সিপালের ভিত্তিতেই যুক্তি দেয়া।
৬. উদার মনোভাবে পক্ষকরণ।
৭.লক্ষ্যে অটুট কিন্তু পন্থায় নমনীয়তা।
৮.পশ্চিমা দর্শন ও জ্ঞানের ইসলামীকরণ।
৯. বুদ্ধিমত্তার সাথে হিপোক্রেসি।
১০. মতোভিন্নতায় উদারতা।
১১. সকলের সাথে মতবিনিময় ও যুগপৎ আন্দোলনে কৌশলের সাথে অংশ নেয়া।
১২. ইসলামের মৌলিকত্বে অটল থাকা।
১৩. প্রতিটি দাওয়াতি কার্যক্রমের আগে মাদ’উ এর মনোবিশ্লেষণ করে নেয়া এবং তার ভিত্তিতে যুক্তি, শব্দ ও বিষয় নির্ধারন করা।

প্রশাসনিকঃ
১. অধস্তনদের প্রচুর স্বাধীনতা দেয়া।
২. বুদ্ধি ও জ্ঞানগত অদৃশ্য নিয়ন্ত্রন রাখা।
৩. কতৃত্ব ও কৃতিত্ব দেয়া।
৪. প্রশংসা করা।
৫. সামনে এগিয়ে দেয়া।
৬. ব্যর্থতার দায় নিজে নিয়ে নেয়া।
৭. সাংগঠনিক ঝামেলায় অধস্তনদের বর্ম হয়ে রক্ষা করা।
৮. ক্ষমতায়ন করা।
৯. টিমওয়ার্ক ও টিমস্প্রিট গড়ে তোলা।
১০. সত্যিকারের আন্তরিকতা।
১১. বন্ধুত্বপূর্ণ আচরন।
১২. জবাবদিহিতার বদলে পর্যালোচনা তবে কখনো কখনো শক্ত জবাবদিহিতা করা।

এগুলো আমার অনুসৃত নীতি। এর কোন কোনটার সাথে কারো কারো ভিন্নমত থাকতে পারে। এবং এর বাইরেও নিশ্চয়ই আরো অনেক কার্যকর নীতি আছে। সেগুলোর সাথে এগুলো যোগ করে তুলনা করে অধিকতর কার্যকর নীতি বেরিয়ে আসুক সেই প্রত্যাশা থেকেই এই লেখার অবতারণা। ইনকিলাব-জিন্দাবাদ!

লেখক: শেখ ফজলুল করীম মারুফ
সাবেক, কেন্দ্রীয় সভাপতি; ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন

সংগঠন অভিজ্ঞতা ও কর্মপন্থা- শেখ ফজলুল করীম মারুফ
deshdunianews



source https://deshdunianews.com/%e0%a6%b8%e0%a6%82%e0%a6%97%e0%a6%a0%e0%a6%a8-%e0%a6%85%e0%a6%ad%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%93-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%aa%e0%a6%a8%e0%a7%8d/

0 Comments