Posts

দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:   ভারতে দেওবন্দ প্রতিষ্ঠাকালে অলঙ্ঘনীয় যে ‘উসূলে হাশতেগানা’ তথা আট মূলনীতি নির্ধারণ করা হয়, তার অন্যতম একটি হলো ‘যে কোন পরিস্থিতিতে সরকারী অনুদান গ্রহণ করা যাবে না”। কওমী মাদ্রাসার ছাত্ররা আলিয়া মাদ্রাসাকে খারাপ চোখে দেখে, কারণ তাদের ভাষায়, আলিয়া মাদ্রাসাগুলো নাকি সরকারি সাহায্য গ্রহণ করতে করতে ‘দরবারী আলেম’ হয়ে যায়, আর দরকারী আলেম আর থাকতে পারে না। খবরে দেখলাম- প্রায় ৭ হাজার কওমী মাদ্রাসাকে সোয়া ৮ কোটি টাকা অনুদান দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। গড় হিসেব করলে হয়ত প্রতি মাদ্রাসায় মাত্র ১১ হাজার টাকা করে হবে। কিন্তু এই হিসেব করে লাভ নেই। বরং কওমী মাদ্রাসায় কতগুলো মাথা বা নেতা আছে, (যাদের ঠাণ্ডা রাখলে গোয়েন্দা তথ্য মোতাবেক হয়ত পুরো কওমী মাদ্রাসাকেই ঠাণ্ডা রাখা সম্ভব) তাদের হিসেব করে দিলে হয়ত টাকার পরিমাণ জনপ্রতি ১০-২০ লাখও হতে পারে। একটি কথা না বললেই নয়- বর্তমান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী কিছু কওমী আলেমদের প্রায়ই সরকারী কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে, মাঝেমাঝেই সরকারী নির্দেশনার পক্ষে বিভিন্ন ফতওয়া জোগার করে নিচ্ছেন, এটা নিয়ে কিন্তু অনেক সমালোচনা হয়। এমনকি কওমী মাদ্রাসার
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পারায় সন্তানকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন এক দম্পতি। এরপর সন্তান বিক্রির ২৫ হাজার টাকা দিয়ে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন তারা। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নজরে আসলে ওই শিশুটিকে তার বাবা-মার কাছে ফেরত এনে দেয়া হয়। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ি এলাকার সেন্ট্রাল হাসপাতালে। স্বামীর নাম মো. শরীফ। তারা এনায়েতপুর এলাকা বসবাস করেন। দুজনেই স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। শনিবার গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ওই দম্পতি পোশাক কারখানার কর্মী। দারিদ্রতার কারণে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে পারছিলেন না। পরে তাদের সন্তানটিকে বাধ্য হয়ে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। সেই টাকা দিয়ে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে বাড়ি ফিরে যান তারা। এলাকাবাসী জানান, গত ২১ এপ্রিল গর্ভবতী অবস্থায় কেয়া খাতুন নামে এক নারী কোনাবাড়ী এলাকায় সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই সিজারের মাধ্যমে তার একটি ছেলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। কেয়া খাতুন ওই হাসপাতালে ১১ দিন ভর্তি ছিলেন। এতে হাসপাতালের বিল আসে ৪২ হাজার
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:   পেশোয়া নামুস। পাকিস্তানে জন্ম নেয়া ৮ বছরের শিশু। এ ছোট্ট বয়সে মাত্র ৪ মাসে পুরো কুরআন মাজিদ মুখস্ত করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে সে। এ প্রসঙ্গে তার গর্বধারিনী মা বলেন, ‘পেশোয়া নামুস একনিষ্ঠভাবে কুরআনের সবক মুখস্ত করতে বসলে ঘরের দরজা বন্ধ করে পড়তে বসতো। যতক্ষণ তার সবক মুখস্ত না হতো ততক্ষণ সে দরজা খুলতো না, কারো সঙ্গে কথা বলতো না এমনকি খাবারও গ্রহণ করতো না সে।’ পেশোয়ার মা আরও জানান, মহান আল্লাহ তাআলার একান্ত রহমতেই খুব অল্প সময়ে পেশোয়া নামুস পবিত্র কুরআন মাজিদ মুখস্ত করতে সক্ষম হয়েছে। কারণ আমি একবার রাত ৩টায় ঘুম থেকে উঠে দেখি পেশোয়া নামাজের বিছানায় বসে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করছে। এ থেকে বুঝা যায়, দ্রুত পুরো কুরআন মুখস্তে পেশোয়ার প্রতি আল্লাহর বিশেষ রহমতও কাজ করেছে। পেশোয়া নামুস তার ১৭ জন সহপাঠীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে সবার আগে পুরো কুরআন মাজিদ মুখস্ত করে। পেশোয়া নামুসের বড় দুই বোনও পবিত্র কুরআনের হাফেজ। কুরআনের প্রতি ৮ বছরের শিশু পেশোয়া নামুসের রয়েছে অনেক ভালোবাসা ও আবেগ। তাইতো পেশোয়া কুরআনের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনে, কুরআনের আদব রক্ষায় এবং অন্তরে হেফাজতে ব্যাপারে
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: “আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ঘরের মধ্যে, খরের পালার মধ্যে চাল, খাটের মধ্যে তেল পাওয়া যাচ্ছে। জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান মেম্বার এবং আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মসাৎ করছে। প্রতিদিন সারাদেশে ত্রাণের চাল, ডাল, তেল ধরা পড়ছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে। দেশ যখন মহামারীতে বিপর্যয়ে পড়ে তখন আওয়ামী লীগ আলাদিনের চেরাগ পেয়ে যায়। তাদের ভাগ্য খুলে যায়। জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ আত্মসাৎ করে নিজেদের পকেট ভারি করছে। আর মানুষ না খেয়ে হাহাকার করছে। এভাবে দেশ চলতে পারেনা। আজকে গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতা নেই বলেই সরকার এসব অন্যায় অনিয়ম করতে পারছে।” শনিবার (২ মে) সকালে ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেনের উদ্যোগে উত্তরখান থানায় ত্রাণ বিতরণের সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকারের অন্যায় অনিয়মের প্রতিবাদ করলে সমস্যা। করোনা মোকাবেলায় সরকারের ব্যবস্থাপনা অপ্রতুল। মুগদা জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ ধরনের একটা সত্য কথা বলাতে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অনেক ডাক্তারদের বহিষ্কার করা
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশটিতে লকডাউন চলছে। লকডাউনের মধ্যেই মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের গ্রেফতার শুরু হয়েছে। এতে দেশটিতে ঘরবন্দি প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে। শুক্রবার দেশটির কুয়ালালামপুরস্থ সিটি ওয়ান প্লাজা, শ্রীলঙ্গার ম্যানশন ও মালয় ম্যানশনে ইমিগ্রেশন পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশিসহ ৭ শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে মিয়ানমারের অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থীও রয়েছেন। কুয়ালালামপুর থেকে নির্ভর যোগ্য সূত্র এতথ্য নিশ্চিত করেছে। কুয়ালালামপুর থেকে ভেস্ট মার্কেটিং এসডিএন বিএইচ ডি’র ডিরেক্টর মো. রুহুল আমিন জানান, শুক্রবার দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ সিটি ওয়ান প্লাজাসহ কয়েকটি ভবনে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু বাংলাদেশিসহ ৭ শতাধিক অবৈধ অভিবাসী কর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিয়ে গেছে। এতে দেশটিতে ঘরবন্দি অসহায় প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের মাঝে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, দেশটিতে মহামারীর মধ্যে যেখানে মানুষের চলাচল ও ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে সেই মুহূর্তে এমন আটকের ঘটনা উদ্বেগের। রুহুল
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্কঃ অবশেষে সৌদি আরবের প্রধান দুই মসজিদ এবং মুসলমানদের প্রাণকেন্দ্র মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববী সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। সৌদি গ্যাজেটের সংবাদে বলা হয়, প্রায় এক মাস ১০ দিন সাধারণ মুসল্লীদের জন্য মসজিদ দু’টিতে প্রবেশের ওপরে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরে অবশেষে আজ শুক্রবার থেকে সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে করোনা সংক্রমণ রোধে আগত মুসল্লীদের জন্য কিছু নিয়মনীতি বেঁধে দেয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়টির পক্ষ থেকে। ১.সবাই নিজের জায়নামাজ সঙ্গে আনবেন। জায়নামাজ ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। ২.মসজিদের কুরআন ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়োজনে বাসা থেকে কুরআন সঙ্গে আনতে হবে। ৩.দুই মুসল্লীর মাঝে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ৪.মসজিদের ওয়াশরুম বন্ধ থাকবে। অজু-ইস্তেঞ্জা বাসা থেকে সেরে আসতে হবে। ৫. মাস্ক পরে আসতে হবে। ৬.মসজিদের সামনে রাখা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ থেকে সৌদি সরকার মসজিদ দুটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাধারণ মুসল্লীদের প্রবেশের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। source ht
মাওলানা আবদুর রাজ্জাক।  আমাদের ফেনীর আঞ্চলিক ভাষায় একটি প্রবাদ আছে, “ক্ষুদ খাই হেড নষ্ট করে লাভ নাই “ বাক্যটির মর্ম হলো, তুচ্ছ কিছু গ্রহণ করে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হওয়াতে কোন উপকার নেই। আলোচিত বিষয়ে প্রবাদটির মর্ম দাড়ায় ৬৯৫৯টি কওমী মাদরাসা সরকারি আট কোটি একত্রিশ লাখ টাকার সহায়তা থেকে মাদরাসা প্রতি ১১৯৪১টাকা গ্রহণ করলে একদিকে মাদরাসার ঐতিহ্য, বৈষিষ্ট্য ও শত শত বছরের গৌরব ধ্বংস হবে। অপর দিকে কওম অর্থাৎ জনসাধারণ এতদিন যেটা জানতো যে, কওমী মাদরাসা সরকারি কোন অনুদানে চলে না। তাই তারা নিজেরা কওমী মাদরাসায় দান – অনুদান দিয়ে পরিচালনাকে নিজেদের দায়িত্ব মনে করত। এখন সরকার ১১হাজার টাকা করে অনুদান দিয়ে তিলকে তাল বানিয়ে যখন প্রচার করবে তখন জনসাধারণ ভাববে সরকার তো কওমী মাদরাসায় অনুদান দিচ্ছে এখন আর আমাদের দেয়ার প্রয়োজন নেই। তখন কওমী মাদরাসা জনসাধারণের লক্ষ লক্ষ টাকা দান-অনুদান থেকে বঞ্চিত হবে। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সরকারের ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ আলীয়া মাদরাসা করে না, স্কুল-কলেজের নাস্তিক্যবাদী সিলেবাসের প্রতিবাদও করতে হয় কওমী আলেমদেরকে। অনুদান গ্রহণ করার পর নাস্তিকরা সরকারকে