Posts

তানিম ইবনে তাহেরঃ(বিশেষ প্রতিনিধি) কিশোরগঞ্জের লতিবাবাদ ইউনিয়নে জবাই করা অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয়ের এক নারীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। তবে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অাজ মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকালে কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে একটি বাঁশঝাড় থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা বলেন, উত্তর লতিবাবাদ লক্ষ্মীপুর গ্রামের জনৈক মালেক ভুঁইয়ার বাড়ির পেছনে একটি বাঁশঝাড়ের নিচে গলা কাটা অবস্থায় মাটিতে বসে থাকা এক নারীকে দেখতে পায়। এ সময় ওই নারী হাত ইশারায় বাঁচার জন্য আকুতি করছিল। তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। তাকে একটি খাতা ও কলম এনে দিলে সেখানে কিছু একটা লেখার চেষ্টা করেন ওই নারী।আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। কিশোরগঞ্জ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। তাকে গলা কাটার পর মৃত ভেবে জঙ্গলে ফেলে যায় বলে ধারণা। তিনি আরও বলেন, মেয়েটিকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। তাকে ময়মনসিংহে রেফার্ড
সাইফুল্লাহ আল-মুনির (বিশেষ প্রতিবেদক): ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর ও চরমোনাই তরীকার বতর্মান পীর, আমীরুল মুজাহিদীন, মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম এর আহ্বানে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও গঠিত হয় করোনাকালিন “স্বেচ্ছাসেবক টিম”৷ গত মার্চ মাসে গঠিত এ টিমের সকল সদস্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও তার সহযোগী সংগঠন সমূহের নেতা-কর্মী, দায়িত্বশীল৷ টিমটি ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে মিডিয়া জগতে৷ বেশ আলোচিত হচ্ছে এ টিমের কার্যক্রম ও সেবাগুলো৷ এক’শ লাশের দাফন-কাফন, ১৮২১৬টি পরিবারে পঁয়ষট্টি লাখ তেষট্টি হাজার সাতশ পঞ্চাশ টাকার ত্রাণ বিতরন, অসহায় কৃষকদের পাঁচ একর জমির ধান কেটে দেয়া, এক হাজার পিছ মাস্ক বিতরন, দশ হাজার পিছ লিফলেট বিতরনসহ  বিভিন্ন সেবা চলমান রেখে মানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার টিমটি৷ টিম প্রধান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সভাপতি মাওলানা শেখ মুহাম্মাদ জয়নাল আবেদিন বলেন, আমরা পীর সাহেব চরমোনাই এর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের সকল জেলার মত আমাদের জেলায় ও ৮টি উপজেলায় প্রথমে ৯টি টিম গঠন করি৷ পরবর্তীতে সদর, হাজীগঞ্জ, মতলব উপজেলায় আরো একটি করে
বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌ-দুর্ঘটনায় লঞ্চ ডুবে অনেক হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)। (২৯ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এটি নিছক দূর্ঘটনা নয়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরের ব্যর্থতার ফসল। প্রতিবার দূর্ঘটনার পরেই একটি তথাকথিত তদন্ত কমিটি করা হয়, যার অস্তিত্ব পরে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই এবারও দূর্ঘটনার যথাযথ কারণ উদঘাটিত হয়ে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি হবে কিনা সে ব্যাপারে যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে। তিনি নৌরুটকে সকল প্রকার দুর্নীতি ও চাঁদাবাজমুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান। দূর্ঘটনার পর ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে, আরও মৃতদেহ ভেসে গেছে বলে আশংকা করেছে ডুবুরিরা। পীর সাহেব চরমোনাই দূর্ঘটনায় নিহত সকলের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং পরিবার পরিজনকে ধৈর্য্যধারনের জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন। তিনি মৃত ও আহতদের স্বজনদের প্রত্যেককে বড় অংকের ক্ষতিপুরণ দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানান। source https://deshdunianews.com/%e0%a6%ac%e0%a7%81%e0%a7%9c%e0%a6%bf%e0%a6%97%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97%e0%a6%be-%e0%a6%a8%
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক :: করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশে যখন শোকাবহ অবস্থা বিরাজমান এমতাবস্থায় শতাধিক পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এল বুড়িগঙ্গায় মর্নিং বার্ড লঞ্চডুবির ঘটনায়। প্রায়শই দেখা যায় বুড়িগঙ্গা নদীতে একাধিক লঞ্চ প্রতিযোগীতামূলকভাবে চলছে। এসব ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ‘র সুষ্ঠু তদারকি না থাকায় আজ কেরানীগঞ্জের ডকইয়ার্ডটি অসতর্ক হয়ে এমন ঘটনার জন্ম দিল। সোমবার  (২৯ জুন) ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরাম এক শোকবার্তায় উপরোক্ত কথা বলেন। লঞ্চডুবিতে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন এবং এর সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। নেতৃদ্বয় বলেন, গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সকাল পৌনে ৮টার দিকে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথে ফরাশগঞ্জ এলাকায় একটি ডকইয়ার্ড থেকে মেরামত শেষে নদীতে নামানোর সময় ময়ূর-২ নামের লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ডুবে যায় সেটি। এই ঘটনাকে সাধারণ কোনো দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিলে চলবে না। বরং অসতর্ক হয়ে লঞ্চ নামানোর মাধ্যমে গণহত্যা করা হয়েছে। ‘ আমরা এই ঘটনা
ডক্টর তুহিন মালিক। ১. ‘ঢাকা মেডিক্যালে এক মাসে খাওয়ার বিল ২০ কোটি টাকা কী করে হয়?’ আজ সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার প্রশ্নের জবাবে উল্টা প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ এই দূর্নীতির কথা দেশের প্রায় সব মানুষ জানলেও ‘দিবা-নিশি সজাগ থেকে সব কিছু মনিটরিং করা’ প্রধানমন্ত্রী নাকি কিছুই জানেন না! তাই বিস্ময় প্রকাশ করে উল্টা প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর। তবে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, ‘এটা খতিয়ে দেখা হবে।’ আর এই ‘খতিয়ে দেখার’ বিল যে আরো কত কোটি টাকা দেখানো হবে, সেটা হয়ত কেউ জানতেও পারবে না! ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয়ে কেউ হয়ত তা জানাতেও যাবে না। যেমনটা এবারের বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের খরচের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিদিন ১০ কোটি টাকা। তাই ঢাকা মেডিক্যালে মাসে খাওয়ার বিল ২০ কোটি টাকা হলে প্রধানমন্ত্রী বিস্মৃত হলেও উনার নিজের জন্য দৈনিক ১০ কোটি টাকা খরচে কোন বিস্ময় বা প্রশ্ন নেই! কারন উনার জন্য প্রস্তুত রেখেছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। তাই এখন আর কেউ প্রশ্ন করে না, ‘প্রধানমন্ত্রীর দৈনিক খরচ ১০ কোটি টাকা কী করে হয়?’ ২. এদিকে আজ সংসদে অর্থবিল ২০২০ পাস হয়। মুঠোফোন সেবার ও
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক : ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাশেম সোলেইমানির হত্যার দায়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ইরানের একটি আদালত। সোমবার (২৯ জুন) এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। তেহরানের প্রসিকিউটর আলি আলকাসিমেহর জানান, শুধু ট্রাম্প নয়, হত্যা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের দায়ে আরো অন্তত ৩০ মার্কিনির বিরুদ্ধে কার্যক্রমের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি জানান ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির জন্য তদবির করছে ইরান। এর মাত্র কয়েকমাস আগেই ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাশেম সোলেইমানির গাড়িবহরে ড্রোন হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র। বাগদাদ বিমানবন্দরের সামনের রাস্তায় সেই হামলায় নিহত হন জেনারেল কাশেম সোলাইমানি। তবে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির করার সম্ভাবনা খুব কম। কারণ সংস্থাটির নির্দেশিকায় রাজনৈতিক প্রকৃতির কোনও হস্তক্ষেপ বা কর্মকাণ্ডে ইন্টারপোল জড়িত হতে পারবে না। source https://deshdunianews.com/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%ae-%e0%a6%b8%e0%a7%8b%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%ae%e0
মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী ১. করোনা পরিস্থিতি ভেঙে দিয়েছে দেশের আর্থসামাজিক শৃঙ্খলা। পাল্টে দিয়েছে মানুষের জীবনযাত্রার গতি ও ছন্দ। অসংখ্য আলেম ও দীনদার পরহেজগার মানুষের মধ্যে এক ধরনের বিচলন দেখা গেছে। এবার উলামায়ে কেরামের জন্যও সময়টা বেশ অস্বাভাবিক। সারাদেশ থেকে অসংখ্য আলেম উলামা আমাকে এসব বিষয় নিয়ে কিছু বলতে ও লিখতে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। যারা ভালো আছেন, তাদের ততটা চিন্তা থাকার কথা নয়। অনেকে সবাইকে নিয়ে চিন্তা করেন। ভাবেন, কী করে উলামায়ে কেরামের জীবন যাত্রার মৌলিক জরুরতটুকু পুরা হতে পারে। ২. এক্ষেত্রে অধমের আরজ থাকবে এই যে, ছাত্ররা কষ্ট করে হলেও পড়াশোনা চালিয়ে যান। একান্ত অপারগ না হলে আয় উপার্জনে ব্যাস্ত হবেন না। কারণ ছাত্র জীবন মানবজীবন অমূল্য সময়। দুনিয়ার সব পাওয়া যায়, কিন্তু ছাত্র জীবন সময় হারিয়ে আর পাওয়া যায় না। ৩. যারা আলেম উলামা হাফেজ কারী ও ইমাম, তারা দীনি কাজে নিজেকে উৎসর্গ করে থাকলে, এই কাজটিকেই জীবনের লক্ষ্য বানান। অল্প আয়ের ওপর সন্তুষ্ট থেকে সাধনার জীবন যাপন করুন। কাজের ক্ষতি না হয় এমন কোনো বাড়তি পেশা অবলম্বন করতে পারেন, তবে খুব খেয়াল রাখবেন, যেন এ পেশা আপনার জীবন