Posts

মাওলানা আবদুর রাজ্জাক। আমরা বাংলাদেশের মুসলমান। আমাদের মাঝে বিভিন্ন ফেরকা আছে। বিভিন্ন দল আছে। রাজনৈতিকভাবেও আমাদের মাঝে মতানৈক্য আছে। কিন্তু এক জায়গায় আমরা সবাই এক। আমরা সবাই হানাফী। হানাফীয়্যাতকে কেন্দ্র করে আমাদের মাঝে মহাঐক্য বিদ্যমান ছিল। আমাদের কেউ আওয়ামীলীগ ও কেউ বিএনপি, জামাত, যে যাই হোক আমরা সবাই হানাফী। আমাদের এই মহাঐক্যের উপর সর্বপ্রথম আঘাত করে আহলে হাদিস নামের লা-মাযহাবীরা । আর দ্বিতীয়তে  আঘাত করলেন আপনি আজহারী সাহেব! আমরা কওমী মাদ্রাসার ওলামা-তলাবারা সব মাযহাবের মাসাআলা আমরা পড়ি। শুধু মাসআলা অধ্যয়ন করি না করি তাই নয় বরং সব মাযহাবের দলিলও আমরা অধ্যায়ন করি। আমাদের মা-লা-বুদ্দা থেকে শুরু করে কুদুরী, শরহে বেকায়া, হেদায়া এসব কিতাবে সব মাযহাবের আলোচনা আছে। আমরা সিহাহ-সিত্তাসহ হাদিস এর যেসব কিতাব অধ্যয়ন করি এখানেও সব মাযহাব বিশ্লেষণ করি। সব মাযহাবের দলিল-প্রমাণ অধ্যয়ন করি। কিন্তু আমরা জনসম্মুক্ষে শুধু আমাদের হানাফী মাযহাব নিয়ে আলোচনা করি। হানাফী মাযহাব মতে আমরা ফতোয়া প্রদান করি। হানাফী মাযহাব মতে আমরা মাসআলা বর্ণনা করি। আমাদের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে উচ্চতর ইফতা ব...
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষ কক্সবাজারের জিন্নাত আলী আর নেই। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহে রাজিউন) জিন্নাতের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার বড় ভাই ইলিয়াস আলী। তিনি বলেন, মস্তিস্কে টিউমার আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো-সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন জিন্নাত। সোমবার রাত ৩টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। চমেক হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. নোমান খালেদ চৌধুরী জানান, নিউরো-সার্জারি বিভাগে আনার আগে থেকেই জ্ঞান ছিল না জিন্নাত আলীর। তার মস্তিস্কে টিউমারটি এতোই বড় ও জটিল অবস্থায় ছিল যে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তা অপসারণ করা সম্ভব ছিল না। প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মানুষ কক্সবাজারের জিন্নাত আলী। তার উচ্চতা ছিল ৮ ফুট ৬ ইঞ্চি। শৈশব থেকে হরমোনের জটিলতায় ভুগছিলেন জিন্নাত আলী। এ কারণে তিনি অস্বাভাবিক উচ্চতা নিয়ে বেড়ে ওঠেছেন। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল নানা শারীরিক জটিলতা। ২০১৮ সালের অক্টোবরে জিন্নাত আলীর চিকিৎসায় সহায়তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শে...
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় একদি রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৪৬২ জনে। এছাড়াও নতুন করে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫৫ জনে। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলে বাড়ানো হয় সতর্কতা। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য মার্চেই ব্যবস্থা নেয় বাংলাদেশ সরকার। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। পঞ্চম দফায় সেই ছুটি বাড়ানো হয়েছে আগামী ৫ মে পর্যন্ত। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়ার্ল্ডোমিটারে তথ্যানুসারে বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ৬৪ হাজার ৮১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস এখন পর্যন্ত ২ লাখ ১১ হাজার ৬০৩ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ লাখ ২২ হাজার ৩৮৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ...
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: গতকাল (২৬ এপ্রিল) জামালপুর সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ ইউনিয়নে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তির (বয়স ৫০) দাফনকার্য সম্পন্ন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জামালপুর জেলা শাখা ও ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা। আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী জামালপুর সদর উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ঘোড়াধাপ বাজার সংলগ্ন কবরস্থানে মৃত ব্যক্তির নামাজে জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হয়। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মারা যাওয়া ঐ ব্যক্তি ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি গত ১৩ এপ্রিল হার্টের সমস্যা নিয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে যে অক্সিজেনটি ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়, সেটা পূর্বে যে রোগী ব্যবহার করেছিলো তার শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া যায়। তারপর ওই ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে তার স্যাম্পল টেস্ট করালে করোনা পজিটিভ আসে। এরপর তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ক...
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:   কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় গোলাবিনিময় বেড়ে যাওয়ার পর পাকিস্তান তার ক্ষেপনাস্ত্র ও কৌশলগত অস্ত্রসম্ভার ভারত সীমান্তের কাছে সরিয়ে নিয়েছে। স্যাটেলাইটের ছবিতে দেখা যায় ক্ষেপনাস্ত্রগুলোর অবস্থান এখন সীমান্তের অনেক কাছে। চীনের তৈরি এলওয়াই-৮০ নামের ক্ষেপনাস্ত্রগুলো লাহোরের একটি ঘাঁটিতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে মনে করা হয়, যা ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে। এসব ক্ষেপনাস্ত্রের আরেক সাংকেতিক নাম এইচকিউ১৬এ। এগুলো আকাশ পথে ছুটে আসা টার্গেট ঘায়েল করতে পারে এবং ৪০ মিটার দূরে থাকতেই বাধা দিতে পারে। ২০১৭ সালের মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এসব ক্ষেপনাস্ত্র প্রথম ব্যবহার করে। এলওয়াই-৮০ ক্ষেপনাস্ত্রগুলো এক সারিতে তিনটি করে দুই সারিতে মোট ছয়টি কনটেইনারের মধ্যে আবদ্ধ থাকে। এগুলো ঘন্টায় ৬০০ মাইল বেগে ছুটতে পারে। কাশ্মির নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করার প্রেক্ষাপটে ভারত সীমান্তের কাছে ক্ষেপনাস্ত্রগুলো সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তকে হুমকির মনোভাব হিসেবে দেখা যেতে পারে। কাশ্মিরে স্বাধীনতা আন্দোলন উষ্কে দিতে সেখানে পাকিস্তান জঙ্গিদের পাঠাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়...
প্রশ্ন : জনাব কামরুল সাহেব রমজান মাসে গ্রামের বাড়ি খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন, গ্রাম থেকে খুলনা শহর পাঁছ কিলোমিটার দূরত্ব। শহরে এসেই নিজেকে মুসাফির মনে করে রোযা ভেঙ্গে ফেলল, অতঃপর তার মনে পড়ে যে মূল্যবান মোবাইল রেখে চলে এসেছেন, তাই পুনরায় বাড়িতে যান সেখানে গিয়ে কিছু খাবার খেয়ে পুনরায় রওনা দেন। আমার জানার বিষয় হলো উক্ত রোযার হুকুম কি?  উত্তর : শরীয়াহ মতে ৪৮ মাইল তথা তিন দিনের দুরত্বে সফর করার নিয়তে কোন ব্যক্তি রওয়ানা হয়ে নিজের এলাকা অতিক্রম করে ফেললে তার জন্য মুসাফিরের হুকুম আহকাম প্রযোজ্য হয়, নামাজ কসর করতে হয়, রোযা ভাঙলে কাফফারা দিতে হয় না । সুতরাং প্রশ্নে বর্ণিত সুরতে জনাব কামরুল সাহেব যেহেতু শরয়ী সফরের নিয়তে বের হয়ে নিজ এলাকা অতিক্রম করে শহরে পৌঁছে মুসাফির অবস্থায় রোযা ভেঙ্গেছেন, তাই তাকে উক্ত রোযা শুধু কাযা করতে হবে, কাফফারা দিতে হবে না। উল্লেখ্য, রোযা অবস্থায় সফর শুরু হলে একান্ত প্রয়োজন ব্যতীত রোযা ভাঙ্গা উচিত নয়, এর কারণে রোযা ভঙ্গ করার গুনাহ হয়। (আল ফেকহুল হানাফী ১/৪৩৭) – মুফতি নিজাম উদ্দীন আল গাজী source https://deshdunianews.com/%e0%a6%b8%e0%a6%ab%e0%a6%b0...
সিয়াম এলো ইব্রাহিম হাসান হৃদয় সিয়াম এলো মুছতে সবার পাপের যত কালি, খোদার রহম নাও লুপে ঐ হৃদয় যাদের খালি। হৃদয় জুড়ে আছে যাদের গুনাহর পাহাড় জমা, সিয়াম এলো করতে মাফি করতে তাদের ক্ষমা। রহমতের ঐ বার্তা নিয়ে সিয়াম এলো ফের, প্রভুর রহম নাওনা লুটে আর করোনা দের। সিয়াম এলো বছর ঘুরে বরকতের ঐ গানে, খুশির ছোঁয়া বইছে দেখ সব মুমিনের প্রাণে। সিয়াম এলো নাজাত নিয়ে সব পাপীদের দ্বারে, সিজদাতে যাও প্রভুর তরে মুক্তি পরোপারে। source https://deshdunianews.com/%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%8f%e0%a6%b2%e0%a7%8b-%e0%a6%87%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%bf%e0%a6%ae/