আল্লামা আহমদ শফির জানাযা: কিছু বিশৃঙ্খলা ও কারণ

  • দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক   

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির, বাংলাদেশের সর্বচ্চ ধর্মীয় রাহবার,শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রাহিমাহুল্লাহ’র শেষ বিদায়ের জন্য সারা দেশ থেকে ছুটে আসেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ ৷ ফলে তার জানাযাটি মানবস্রোতের রূপধারণ করে ৷ এমনকি হেফাযত আমিরের জানাযাটি স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জানাযা বলেও মন্তব্য করেন ৷ গতকাল রাত থেকেই সারা দেশ থেকে মানুষের ঢল ছুটতে থাকে ৷ ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টায় জানাযার ঘোষণা থাকলেও সকাল থেকেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় হাটহাজারী ৷ মাদ্রাসার বিশাল বিশাল ভবণ, সাত তলা মসজিদ ও মাঠ ছাড়িয়ে ডাক বাংলা মোড় , স্টেশন রোড় সহ আশপাশের এলাকা জুড়ে শুধু সাদা সাদা পাঞ্জাবী আর টুপি!

এ বিশাল জন সমাগম মোটেই অকল্পনীয় ছিলনা; বরং আল্লামা আহমদ শফি’র বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন অর্জিত ব্যাপক জনপ্রিয়তার স্বাভাবিক বহির্প্রকাশ মাত্র ৷ কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় যে, এ মহান নায়কের শেষ কীর্তি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য তেমন উল্লেখ যোগ্য কোন প্রস্তুতি লক্ষ্য করা যায়নি ৷

দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসল্লীগণ অনেকেই অভিযোগ করে বলেছেন, কর্তৃপক্ষের অবস্থানের কারণে ভালোবাসার মানুষটিকে শেষবারের মতো এক নজর দেখার সুযোগ হয়নি হাজারো ভক্ত-শিষ্যের ৷ গাজীপুর থেকে জানাযায় শরিক হতে আসা শহিদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, অনেক আশা ছিল হযরতকে শেষ বিদায়ের পূর্বে এক নজর দেখে মনকে শান্তনা দেব কিন্তু সিস্টেম করতে না পারায় কয়েক বার কাছাকাছি গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি ৷

দ্বিতীয়ত সাউন্ড সিস্টেমের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনা না থাকায় যোহরের সময় জামাত চলাকালীন কিছুটা বিশৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হয়েছে ৷ মসজিদের ভিতরে জামাত শুরু হওয়ার আগেই বাহিরে থেকে এক্তেদাহ করার দৃশ্যও নজরে এসেছে ৷

তৃতীয়ত: পরিচালনায় দূর্বলতা ছিল লক্ষ্য করার মত ৷ যিনি পরিচলানার জিম্মাদারী পালন করেছেন সঠিক ভাবে দিক-নির্দেশনা দিতে সক্ষম হননি ৷ তাছাড়া আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলার কারণে অনেক কিছুই স্পষ্ট করে বুঝা যায়নি ৷ পাশাপাশি এত বিশাল আয়োজনের শৃংখলা রক্ষার্তে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা উচিত ছিল যা কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভাবে দিতে পারেননি ৷

সর্বশেষ জানাজা শুরু হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে জানাজা শুরুকরা নিয়ে যে বিরক্তির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা না বললেই নয় ৷ বার বার শুধু ঘোষণা করা হচ্ছে যে, “জানাজা শুরু হচ্ছে কাতার সোজা করুন” ৷ কিন্তু নামাজ তো শুরু হয়না শুধু ঘোষণা-ই হচ্ছে ৷ ফলে মানুষ বিরক্ত বোধ করেছে কারণ বারবার ঘোষণা করা সত্ত্বেও অহেতুক সময়ক্ষেপণ করা হয়েছে এবং শ্রুতিকটু বিভিন্ন উচ্চবাচ্যের শব্দ মানুষের কানে এসেছে পৌঁছেছে যা কাম্য ছিল না ৷ স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিলো যে জানাযা নিয়ে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হচ্ছে যদিও পরবর্তীতে এ প্রতিবেদককে সামনে উপস্থিত একজন বলেছেন যে স্থানীয় এমপি আনিস সাহেব ও ঢাকার মাওলানা মামুনুল হক সাহেব বক্তব্য দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু কর্তৃপক্ষের পূর্বঘোষিত নিয়মের বিপরীত হওয়ায় সেখানে সাময়িক বিশৃংখলার সৃষ্টি হয় ৷ দেশ সেরা এই কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব জানাযায় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত দৃশ্য মোটেই কাম্য ছিলনা ৷



source https://deshdunianews.com/%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a6%b9%e0%a6%ae%e0%a6%a6-%e0%a6%b6%e0%a6%ab%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%be/

0 Comments