করোনা ও কয়েকটি প্রসঙ্গ – নূরুল করীম আকরাম

দেশ দুনিয়া নিউজ
করোনা ও কয়েকটি প্রসঙ্গ – নূরুল করীম আকরাম

করোনা ও কয়েকটি প্রসঙ্গ

বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব প্রায় স্থবির। কোথাও কোন কোলাহল নেই। আছে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ভয়। যানচলাচল কাজকর্ম বন্ধ। জীবজগতে নেই চিরচেনা সেই প্রাণের স্পন্দন। এক জীবানু’র সক্রিয় অবস্থান শক্তিধরদের পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় করে ফেলেছে।

কিন্তু করোনা ভাইরাস কি, কোথা থেকে উৎপত্তি, কারা এর উদ্ভাবক, তাদের উদ্দেশ্য কি; এসব প্রশ্ন নিয়ে নানান মত নানান মন্তব্য সৃষ্টি হয়েছে।
১. ধারণা করা হয়েছিলো, বাদুড় থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি। চায়নিজদের অরুচিকর খাদ্যাভ্যাসই এই বিপদ ডেকে এনেছে।
২. কেউ বলছেন, চীন তার গবেষণাগারে জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্র তৈরি করতে গিয়ে ভুল করে এই ভাইরাসের জন্ম দিয়েছে।
৩. অথবা চীন এই ভাইরাস পরিকল্পিতভাবে সৃষ্টি করে প্রথমে নিজেদের সাময়িক কিছু ক্ষতি মেনে নিয়ে তার শত্রুশক্তিগুলোর মাঝে তা ছড়িয়ে দিয়েছে। যার ফলে চীন খুব দ্রুত উত্তরণ করে ফেলেছে, যা শক্তিধর অনেকের পক্ষেই সম্ভব হচ্ছেনা।
৪. কারো মন্তব্য এটা চীনের বিরুদ্ধে পরিচালিত জৈব রাসায়নিক অস্ত্র। যা এখন গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।
৫. কেউ বলছেন, সাইবেরিয়ার বরফেখন্ডের ভেতর জমাট হয়ে থাকা কয়েক হাজার বছরের পুরোনো বিভিন্ন বিষাক্ত প্রাণী; যা এখন বৈশ্বিক জলবায়ূ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে গলতে শুরু করেছে, তারই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে এসব ভাইরাসের সৃষ্টি।
৬. আরও একটি মন্তব্য বিশ্বশক্তিগুলো কে ভাবিয়ে তুলেছে, চীন তার দেশের উইঘুর মুসলিমদের ওপর যে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের অভিষাপই করোনারূপে দেখা দিয়েছে।

◑ মন্তব্য যাই হোক! বিশ্বব্যাপী যে অনাসৃষ্টি বিগত এক শতাব্দী ধরে মানুষ করে এসেছে, পৃথিবী যে পাপ-পঙ্কিলতায় ভারি হয়ে উঠেছে, সকল প্রাণী ও প্রাণজগতের ওপর যে অত্যাচার মানুষ করেছে; সব মিলিয়ে উপরওয়ালার যে অসন্তুষ্টি লাভ করা গেছে; এটা তারই প্রভাব বলা যায়।

সূত্রপাত যেভাবেই হোক, কোভিড-১৯ বিশ্ববাসী কে বেশ কিছু প্রশ্ন, চিন্তা ও নতুন তত্ত্বের মুখোমুখি করেছে।
১. পরমাণু আবিস্কারক, পরাশক্তির মহড়া নেয়া মহাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর করোনায় নাজেহাল আবস্থা পরবর্তী বিশ্ব নেতৃত্ব ঠিক কোন দিকে মোড় নিবে?
২. global climate বা বৈশ্বিক জলবায়ু যে পরিমাণ imbalance হয়েছে ইতোপূর্বে, সে ক্ষতি কি পুষিয়ে উঠতে পারবে পরবর্তি বিশ্ব?
৩. জৈব রাসায়নিক মারণাস্ত্রের গবেষণা কি বন্ধ হবে? নাকি পারষ্পরিক সন্দেহের এই মারমুখী অবস্থান রাসায়নিক মারণাস্ত্রে ভরপুর নতুন কোন বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলবে?
৪. করোনায় বিশ্ববাজারে যে স্থবিরতা ও অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে; তা থেকে কি খুব শীঘ্রই উত্তরণ করা সম্ভব হবে?
৫. করোনা থেকে উত্তরণ ও পরবর্তি বিশ্ব কাঠামো বিনির্মানে ইসলামের কার্যকরিতা প্রমানে মুসলিম বিশ্ব ও ইসলামী নেতৃত্ব কি কোন ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে?
বাংলাদেশের প্রেক্ষিতেও প্রাসঙ্গিক উক্ত প্রশ্নগুলোই এখন বাস্তববাদীদের মনে।

◑ প্রশ্নোত্তর যাই হোক; করোনা এখন সত্য। আজ পর্যন্ত গোটা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৬লাখ এবং মৃতের সংখ্যা ৩০হাজার। যার বেশিরভাগ পর্যায়ক্রমে ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইরান ও স্পেনের। ভাববার মতো বিষয় হচ্ছে, পরাক্রমশালী এক্সট্রা প্রোটেক্টিভ হাই সিকিউরড দেশগুলো এই তালিকায় এগিয়ে। সে তুলনায় অনুন্নত বা সল্পোন্নত দেশগুলোতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক কম।

এক্ষেত্রে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের যে বক্তব্যগুলো সামনে এসেছে তা হচ্ছে,
১. অধিক তাপমাত্রায় করোনা ছড়াতে পারে কম। তাপমাত্রা কম বা শীতপ্রধান দেশগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
২. যেসব দেশ করোনার ব্যাপকতা সম্পর্কে আন্দাজ করতে পারেনি, শহরগুলো লকডাউন করে সংক্রমণ রোধ করতে পারেনি, তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশি।
৩. যারা জনগন কে করোনার প্রকোপ সম্পর্কে সচেতন করে ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ এ রাখতে পারেনি, তারাই প্রাণ হারিয়েছে বেশি।

◑ আরও একটি মন্তব্যও এখানে গুরুত্বের সাথে উঠে এসেছে। তা হলো, গত শতাব্দিতে যারাই ইসলামের ওপর সামরিক মানসিক জ্ঞানতাত্ত্বিক আগ্রাসন চালিয়েছে বেশি, তাদের ওপরই সবচে বেশি করোনার অভিশাপ চেপে বসেছে।

করোনা ও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ

বাংলাদেশের ভাগ্য অতি সুপ্রসন্ন যে, আমরা অতিমাত্রায় অসতর্ক ও খামখেয়ালি মেজাজের হওয়ার পরও আমরা বড় বড় বিপদগুলো থেকেও বেঁচে যাই।
বিলম্বে হলেও চীন যখন তাদের আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করলো, তখন থেকেই ক্রমান্বয়ে সব দেশ সতর্ক হতে শুরু করলো। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যস্ত থাকলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী নিয়ে। ধীরলয়ে আক্রান্ত দেশের সংখ্যা বাড়তে থাকলো, চীন পেরিয়ে ইয়োরোপ, ইয়োরোপ পেরিয়ে এশিয়ার দেশগুলোতেও যখন করোনা থাবা বসাতে শুরু করলো; আমরা তখনো ছিলাম নির্বকার।
জন্মশতবার্ষিকীর মেহমান দাওয়াত করা, দাওয়াত কার্ড ছাপানো, পোস্টার লাখানো, কাউন ডাউন ক্লক সেট করা, বাস ট্রাক রিজার্ভ করা, আতশবাজি কেনাসহ অনেক কাজ ছিলো আমাদের সামনে।

এমতাবস্থায়ও মোদির আগমণ নিয়ে সৃষ্ট যৌক্তিক আন্দোলন দমনে হুশিয়ারি উচ্চারণ ও চা বিক্রেতার খাতিরদারিতে কোন কসুর না করার অভিপ্রায়ও ব্যক্ত করছিলেন মাননীয় মন্ত্রীরা। শেষমেষ যখন জনমত কে আর উপেক্ষা করা যাচ্ছিলোনা, WHO যখন আমাদের কে চোখ রাঙানি দিয়ে বসলো, তখন দিনে দিনেই দু’জন করোনা রোগি শনাক্তের ঘোষণাও আসলো, গোমূত্রওয়ালার সফরও বাতিল হলো। কিন্তু তাতে কি? ততোদিনে যা হওয়ার তা হয়ে গেল। পূর্বে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে প্রবাসীরা যা আসার অবাধে চলে আসলেন। কোয়ারেন্টাইনে না থেকে অব্যবস্থাপনার ফলে তারা ঘোরাফেরা, বিয়ে সাদী, বাজার সদাই সব করলেন। ইতালী ফেরতদের ব্যাপারে রাষ্ট্রের হঠাৎ মারমুখী সিদ্ধান্তে সারা দেশে প্রবাসীরা এক মূর্তমান আতঙ্কে পরিণত হলেন। ফলশ্রুতিতে প্রবাসী সন্দেহে লোকজন একজন কে ধরে গণধোলাই দিলো পর্যন্ত। প্রবাসী প্রবেশ নিষেধ লেখে চায়ের দোকানে পর্যন্ত ফেস্টুন টানালো।

এখানে যে কয়েকটি কথা বলা দরকার, তা হলো-
১. প্রবাসীদের স্বদেশ ফেরা : এটা নিতান্তই স্বাভাবিক যে মানুষ মৃত্যু উপত্যকা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইবে। যদিও যেখানে আছে সেখানে থাকাটাই নিয়ম। দেশেরও নিয়ম ইসলামেরও নিয়ম। তাপরও মা বাবা আত্মীয় সজনের মায়া বড় জিনিষ!
কিন্তু কথা হচ্ছে, আপনি কোথা থেকে কোথায় ফিরে আসছেন? আরব ইয়োরোপ থেকে বাংলাদেশে। এখানে উন্নত চিকিৎসার অভাব, ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি। অথচ সেখানে সবকিছু অবারিত। তাও যেহেতু এসেই পড়েছেন, কেন আপনি ইমিগ্রেশনে টাকা দিয়ে ছুটকারা নিচ্ছেন? সেটা না হয় নিলেন। বাড়ি এসে কেন আপনি কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন না? তাও না হয় বেরুলেন। কেন আপনি সেজেগুজে বিয়ে করতে ছুটলেন? এগুলো ঠিক হয়নি।
অপরদিকে সরকার আগমন রোধ না করে প্রবাসীদের সঙ্গে যাচ্ছে তা আচরণ করেছে, নবাবজাদা বলে উপহাস করেছে। এটা চরমতম অন্যায় হয়েছে।

২. অব্যবস্থাপনা : প্রয়োজনীয় কীট সংগ্রহে বিলম্ব। ডাক্তারদের পিপিই না দিয়ে আশঙ্কার মুখে ঠেলে দেয়া। আইইডিসিআর এর সুষ্ঠু তদারকির অভাব। যথাসময়ে পদক্ষেপ না নিয়ে পরে প্রশাসন জনগণ কে মুখোমুখি করে দেয়া। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় অস্পষ্টতাসহ নানান অব্যবস্থাপনা। সব মিলিয়ে যখন দেশে একপ্রকারের নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, মানুষের যখন ত্রাহিত্রাহি অবস্থা; সরকার তখন করুণা করে খালেদা জিয়া কে জামিনে মুক্ত করে দিলো। এতদিন যারা সরকারের সমালোচনায় মূখর ছিলো, এখন তারা করুণা পেয়ে খুশিতে গদগদ।
তাও এক ধরণের আঁতলামি থেকে বাঁচা গেল। তা হচ্ছে, কিছু মানুষ কেমন যেন করোনা কে জোরপূর্বক দেশে ধরে নিয়ে আসতে চায় এবং আক্রান্তের সংখ্যা কম শুনলে তারা মানতেই চায়না। মনে হচ্ছিলো করোনার সংখ্যাবৃদ্ধি জাতে ওঠার একটা মাধ্যম। সেই তাদের অতিরাজনীতি থেকে মুক্তি পাওয়া গেল।

৩. যাদের বয়কট করা উচিৎ : এদেশে যতো বড়বড় কোম্পানি; হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে প্রতি অর্থবছরে। যারা মানুষের রক্ত শুষে বিত্তবান হয়েছে, তারা মানুষের এই দুর্দিনে এগিয়ে আসেনি। ইউনিলিভারসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তো নির্ধারিত বাজারমূল্যের চেয়েও পন্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের জন্য একদলা থুথু একরাশ অভিশাপ। তাদের সামগ্রিকভাবে বয়কট করা দরকার।

৪. গুজব রটনা : দেশ-জাতির এমন দূর্দিনেও কিছু বিকৃতমস্তিষ্ক নানান গুজব রটিয়ে ভোগান্তিটা কে যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের জন্যও আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে রাখলাম।

৫. আশার খবর : এত অপ্রাপ্তি আর হাহাকারের মধ্যেও কিছু ভাল মানুষ কে দেখেছে বাংলাদেশ। সম্ভবত প্রথম একজন ন্যায্যমূল্যের মাস্ক বিক্রি করে এই ধারাটা শুরু করেছিলো। তারপর বাড়িভাড়া লাঘব করা, নিজ উদ্যোগে পিপিই তৈরি, স্বেচ্ছাসেবায় মাস্ক হ্যান্ডওয়াস স্যানিটাইজার বিলি ও সর্বশেষ আকিজ গ্রুপের হাসপাতাল বিনির্মানের ঘোষণা। গোটা বাংলাদেশ তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।

করোনা ও ধর্ম প্রসঙ্গ

করোনায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, ঘরে থাকতে হয়, জটলা করা উচিৎ না, আক্রান্তের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হয়; এগুলো সত্য এবং অবশ্য পালনীয়।
তারপরও মানুষের আল্লাহতে বিশ্বাস, ধর্মভক্তি, বিপদে ক্ষমাপ্রার্থনা ও পাপ থেকে ফিরে আসার ব্যাপারে নিজের সাথে প্রতিশ্রুতিসহ এমন অনেক বিষয় আছে, যা মহাসত্যি এবং হাজার বছরের বাঙালির লালিত সংস্কৃতি। উক্ত দুটি বিষয়ে বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির অন্ত ছিলোনা। বিশেষতঃ ইসলাম বিদ্বেষ যাদের রুটিরুজির প্রধান হাতিয়ার তারা তিল কে তাল বানিয়ে ছেড়েছে। মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে এবং কিছু মানুষ একত্রিত হয়ে প্রার্থনা করা নিয়ে।

এখানে বলে রাখা ভালো, জমায়েত এবং মসজিদে জামাতে নামাজ নিয়ে সারা বিশ্বের ইসলামবেত্তাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত হয়েছে। অতএব এক্ষেত্রে কেউ সিদ্ধান্ত না মানলে তার ব্যাপারে আইনী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। আর যে বা যারা জনগণ কে উস্কে দিচ্ছে, কুরআনের অপব্যাখ্যা করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করছি। সাথে সাথে যারা শুধু মসজিদ আর জমায়েত নিয়ে কটুক্তি করছে, কিন্তু মন্দির আর গির্জার কথা বলছেনা; তারা স্পষ্টত ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়। তাদের ব্যাপারেও আইনী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

তবে যারা বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে করোনায় মৃতদের পোড়ানোর কথা বলছেন, তাদের প্রতি প্রশ্ন হচ্ছে-
১. চিকিসকরা তো দাফন তথা কবরস্থ করা কে অবৈজ্ঞানিক বলেন নি এবং এটাকে অনেক বেশি প্রটেক্টিভ ও বলেছেন।
২. বিপরিতে পোড়ানোর জন্য কাঠের প্রয়োজন, তেলের প্রয়োজন, কাঠের জন্য গাছ কাটা (পরিবেশের ক্ষতি) প্রয়োজন। এসবের ব্যবস্থাপনায় আরও বেশি মানুষের প্রয়োজন। অতএব সংক্রমণের ঝুঁকিও তো অনেক বেশি।
৩. ইতালী যদি পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে একদিনে কতো মানুষ কে পোড়াতে হবে? কি পরিমান আগুন প্রজ্জ্বলিত হবে? এবং মানুষ পোড়ানোর গন্ধে কি পরিমাণ বায়ুদূষণ হবে? সব মিলিয়ে পরিবেশ ও জলবায়ুর কতো টা ক্ষতি হবে, ভাবা যায়? এটা কেমন বিজ্ঞান হলো তা আমাদের বোধগম্য না। এসকল বিজ্ঞানীদের মস্তিষ্ক ঠিক কোথা হতে পুষ্টি লাভ করে সেটাও আমাদের কৌতুহল।

🖤 দুঃখের মাঝেও সুখ হচ্ছে, বৈশ্বিক বিপর্যয়ের এই ধাক্কায় আমরা মানুষ রা পাল্টাচ্ছি। ধনী-গরিবের প্রার্থক্য রেখা দূর করতে শিখছি। সৃষ্টিকর্তার কথা মনে পড়ছে। পরকালের দিকে ঝুঁকছি। এক কথায় শুদ্ধ হচ্ছি।
শুনেছি কক্সবাজারসহ পৃথিবীর অনেকগুলো সমুদ্র সৈকতে ডলফিন সহ নাম না জানা অনেক প্রাণী খেলা করছে। সাইবেরিয়ার বরফের পাহাড় আবার জমতে শুরু করছে। বায়ূ ও পরিবেশ দূষণের হার অস্বাভাবিক রকম কমে এসেছে। যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলা বন্ধ আছে আপাতত। শক্তির মহড়া দেয়া পাগলগুলো চুপসে গেছে। এইতো আমরা ভাল আছি।

পরিশেষে একটু করে বলে রাখি- রাসায়নিক মারণাস্ত্র এই পৃথিবীবাসী এবারই প্রথম দেখছে তা কিন্তু নয়। এই রাসায়নিক জীবাণু অস্ত্রের আঘাতে সিরিয়ার একেক টা জনপদ বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে অনেক আগেই। সেই জীবাণুতে এখন আমাদের জীবন নাকাল।
লকডাউনের কি যাতনা তা আমাদের বোঝা দরকার। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ফিলিস্তিনের মুসলিমরা লকডাউনে কেমন থাকে; তা অনূভব করার জন্য।
বাইরে বেরুলেই আক্রান্তের ঝুঁকি ও পুলিশের মারের ভয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে কতোটা ভাল থাকা যায় সে উপলব্ধিও আমাদের হওয়া উচিত। উইঘুর ও কাশ্মিরের মুসলিমরা মানবেতর কোয়ারেন্টাইনে থেকে কিভাবে দিন গুজরান করেছে তা বোঝার জন্য।

তাই আসুন! বিপদের দিনগুলোতে সচেতন হোন সচেতন করুন। দোআ করুন। আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন।

নূরুল করীম আকরাম
সেক্রেটারি জেনারেল, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন

করোনা ও কয়েকটি প্রসঙ্গ – নূরুল করীম আকরাম
deshdunianews



source https://deshdunianews.com/%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%93-%e0%a6%95%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%97/

0 Comments