Posts
এস.কে নাজমুল হাসান নিজস্ব প্রতিবেদক দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ বন্যায় একটি বড় অংশ মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ লক্ষ্যে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন বন্যার্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজ ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম হাছিবুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে একটি টীম মাদারীপুর জেলা সদরে বন্যা কবলিত পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়। আজ সারাদিন মাদারীপুর জেলার বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলবে। ত্রাণ বিতরণ কালে কেন্দ্রীয় সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম বলেন, আমরা গণমানুষের দুঃখের সাথী হতে চাই। দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। ত্রাণ বিতরণ টীমে আরোও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, কওমি মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক নূরুল বশর আজিজী, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, মাদারীপুর জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, মাদারীপুর সদর উপজেলা সভাপতি হাফিজুর রহমান সহ ম
এস.কে নাজমুল হাসান নিজস্ব প্রতিবেদক মধ্যপ্রাচ্যের কিছু ক্রীড়নক আরব শাসক ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের গোপন সম্পর্ক প্রকাশ করে দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারই সমালোচনায় ইরানের বিশেষজ্ঞ পরিষদের সভাপতি ও প্রভাবশালী আলেম আয়াতুল্লাহ আহমাদ জান্নাতি বলেছেন, এই গোপন সম্পর্কের মাধ্যমে দখলদার এই অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলকে টিকিয়ে রাখা যাবে না। তিনি গতকাল ১৯ অগাষ্ট তেহরানে এক বক্তব্যে ঘাতক ইসরায়েল সরকারের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্তের প্রতি ইঙ্গিত করে এ মন্তব্য করেন। আয়াতুল্লাহ জান্নাতি বলেন, সাম্রাজ্যবাদী ও ইহুদিবাদীদের তাবেদার আরব আমিরাত সরকারের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত জঘন্য ও কলঙ্কজনক। তিনি আরো বলেন, আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের মতো তাবেদাররা বহু বছর ধরে ফিলিস্তিন জবরদখলকারী ইসরায়েলের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক বজায় রেখেছে। কিন্তু মুসলিম উম্মাহ তাদের আরবের এই বিশ্বাসঘাতকতা কখনো ভুলে যাবে না। গত বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে ইহুদিবাদী ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত নিজেদের মধ্যে স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। তেল আবিব-আবুধাবির মধ্যে এ সংক্
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দিয়েছে ভারত। হু হু করে নেমে আসছে বানের পানি। এতে পদ্মা যমুনাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আবারও বন্যার কবলে পড়ছে দেশ। বন্যায় প্লাবিত ৩৩ জেলার পানি নামতে না নামতেই আবারও আসছে এই বন্যা। দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে কবলিত এলাকার মানুষের দুশ্চিন্তা বাড়ছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে তীব্র হয় নদী ভাঙন। এতে নি:স্ব হয় শত শত পরিবার। সরকারের পক্ষ থেকে যাবতীয় সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হলেও বন্যার্তরা এতে আশ্বস্থ হতে পারছেন না। বন্যার কারণে নদী ভাঙনের ফলে অনেকে এখন সর্বহারা। নদী ভাঙন রোধে এবং ভাঙন কবলিতদের পুর্নবাসনে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে নদী ভাঙনে সর্বহারাদের পুর্নবাসনে সরকারের এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া নদী ভাঙন রোধেও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তাই বন্যার দুশ্চিন্তায় দুর্গত এলাকার মানুষের চোখের ঘুম চলে গেছে। চট্টগ্রাম থেকে শফিউল আলম জানান, বাংলাদেশে পদ্মার উজানে ভারতে গঙ্গা নদী। গঙ্গায় ঢল-বানের পানির চাপ সামাল দিতে গিয়ে ভারত বিনানোটিশে আকস্মিকভাবে ফারাক্কা বাঁধের গেইটগুলো খুলে দিয়ে থাকে। বরাবরের
আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ৫১ শয্যার সরকারি হাসপাতাল থাকলেও গড়ে উঠেছে নামে-বেনামে অর্ধশতাধিক ক্লিনিক ও ল্যাব। এসব ক্লিনিক ও ল্যাবে নেই কোনো পরিবেশ ছাড়পত্র। কর্মরত কারো কাছে নেই যোগ্যতা সনদ। এসব ক্লিনিক ও ল্যাব তদারকিতে জেলা সিভিল সার্জনের পক্ষে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুর রহমান মজুমদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়,তিনি ঐ সব ক্লিনিক ও ল্যাব পরিদর্শন করতে গেলে কোন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া না যাওয়ায় সেই সব ক্লিনিক ও ল্যাবকে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখাতে সর্বশেষ ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হলেও ১৮ আগস্ট (মঙ্গলবার) পর্যন্ত কেউ কাগজপত্র জমা দেননি বলে জানান ডা. শফিকুর রহমান মজুমদার। সারা দেশ ব্যাপি ক্লিনিক ও ল্যাবের সরকারিভাবে কাগজপত্র যাচাই করার অংশ হিসাবে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী গত ১৮ জুলাই বাঁশখালী সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং ডাক্তারদের এ ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দেন। তার এ ধারাবাহিকতা হিসাবে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুর রহমান মজুমদার ২০ জুলাই উপজেলা স
শরীফুজ্জামান কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে গত দুই দিন থেকে নদীতে ভাসছে হতভাগা এক নবজাতক শিশুর লাশ। গত সোমবার দুপুরে উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের লাল ব্রীজ এলাকায় ফুলকুমার নদীতে নবজাতক শিশুটির লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী । পরে বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার বেলা ৩ ঘটিকায় সরজমিনে গিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নদীতে স্রোত কম থাকায় শিশুটির লাশ ভাসতে ভাসতে জয়মনিরহাট ক্লাবের পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ফুলকুমার নদীর কিনারায় আটকে থাকা অবস্থায় নবজাতক শিশুটির লাশ দেখতে পাওয়া যায়। মৃত নবজাতক শিশুটি ছেলে সন্তান। এটি কারো পাপের ফসল ও দুই তিন দিন আগে ভূমিষ্ট হয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারনা।স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মান্নান জানান দুপুরে উৎসুক মহিলাদের ভির দেখে নদীর পাড়ে এসে দেখি একটি ছেলে শিশুর লাশ ভাসছে। জয়মনিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি খবর শোনা মাত্রই বিষয়টি ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ আতিয়ার রহমান জানান, ঘটনাটি শুনেছি এবং ঘটনাস্থল
আলমগীর ইসলামাবাদী চট্টগ্রাম প্রতিনিধি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে;এটি মীমাংসিত বিষয়। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী এ দাবি করেন। দেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা লিখার দাবি জানিয়েছেন “মাইনরিটি সংগ্রাম পরিষদে”র সভাপতি আশোক কুমার সাহা। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশোক কুমার ঘোষ উল্লেখিত দাবীর পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার (১৯ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, বিশ্বের যেকোনো জায়গায় ইসলামের উপর আঘাত আসলে হেফাজতে ইসলাম অতীতের ধারাবাহিকতায় আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাবে, ইনশাআল্লাহ। নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অতীতেও ছিল ভবিষ্যতেও বহাল থাকবে। এটি একটি মীমাংসিত বিষয়। বিগত সময়ে এটি নিয়ে অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম করেছিলেন দেশের উলামায়ে কেরাম ও তওহিদী জনতা। আদালতে এর সমাধানও হয়েছিল। এতদিন পর “মাইনরিটি সংগ্রাম পরিষদ”র সভাপতি আশোক কুমার সাহা এমন অবান্তর দাবি দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল
এস.কে নাজমুল হাসান নিজস্ব প্রতিবেদক স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশের সব কওমি মাদরাসাসহ স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। আজ ১৮ অগাষ্ট ২০২০ইং মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে চরমোনাই পীর এ দাবি জানান। বিবৃতিতে পীর চরমোনাই বলেন, দেশের সবকিছুই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। অফিস-আদালত, হাট-বাজার, কল-কারখানা, ব্যাংক-বীমা সবই স্বাভাবিকভাবে চলছে। এ ক্ষেত্রে কওমী মাদরাসার কিতাব বিভাগসহ স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসও খুলে দেয়ার ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে কওমী মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে পড়ালেখার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সরকারকে কার্যকরী উদ্যোগ নিতে হবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর আরও বলেন, সরকার যদি দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে না দেয় তাহলে দেশের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ শিক্ষাধারা থেকে পুরোপুরি ঝরে যেতে পারে, দেশের শিক্ষার্থীরা বিপথগামী হতে পার