Posts

দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:  করোনার আঘাতে বিপর্যস্ত অভিবাসন খাত। নতুন করে প্রবাসযাত্রা যেমন থেমে গেছে, তেমনই কাজ হারিয়ে ফিরতে হচ্ছে লাখ লাখ প্রবাসীকে। যার প্রভাব পড়েছে প্রবাসী আয় ও তাদের ওপর নির্ভরশীল অসংখ্য মানুষের জীবনযাত্রায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংকট কাটাতে প্রয়োজন সরকার ও সচেতন মহলের সমন্বিত উদ্যোগ। কোটি প্রবাসীর কাছে করোনার এ লড়াই কেবল রোগের বিরুদ্ধে নয়, তারা লড়ছেন জীবিকা বাঁচাতে, স্বজনদের অন্ন যোগাতে। করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বের নানা দেশে থাকা প্রবাসীদের অন্তত ৫০ ভাগ কাজ হারিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে হাঁটছেন। ২ লাখের বেশি প্রবাসী ছুটিতে এসে আর ফেরত যেতে পারেনি। অধিকাংশের ফেরার পথও বন্ধ। প্রবাসী এক বাংলাদেশি বলেন, ‘কোম্পানী জানিয়ে দিয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দেশেই থাকতে হবে।’ আরেক প্রবাসী বলেন, ‘চেয়েছিলাম সিঙ্গাপুরে আর কিছুদিন থেকে ফ্যামিলিকে সাপোর্ট দিতে। এখন পরিবারকে সাপোর্ট দেয়ার কেউ নেই।’ বিশেষজ্ঞরা বলছে, অক্টোবরের মধ্যে বিশ্বের অনেক দেশই করোনার প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে উঠবে। তখন তারা জনশক্তি আমদানি করবে। তবে বাংলাদেশ করোনামুক্ত না হলে সে সম্ভাবনা কাজে লাগানো কঠ...
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্কঃ মুসলমানরাই  করোনা ছড়াচ্ছে বলে হিন্দুত্ববাদিদের সৃষ্ট গুজবের কারণে ভারতের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এর জেরে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার চন্দননগরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে কয়েকশ’ মুসলমানের বাড়িঘর। সর্বস্ব হারিয়ে আশ্রয় শিবিরে জায়গা হয়েছে তাদের। ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলোর সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার থেকেই উত্তপ্ত হতে থাকে পরিস্থিতি। মঙ্গলবার সেটা চরমে পৌঁছায়। দাঙ্গায় মুসলিমদের পাশাপাশি হিন্দুদের বাড়িঘরও পোড়ানো হয়েছে। তবে যেহেতু ওই এলাকায় মুসলিমদের বসতি বেশি, তাই মুসলিমরাই আক্রান্ত হয়েছে বেশি। ঘরের সবকিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়ার ফলে এখন আশ্রয় শিবিরেই থাকতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের দু`দিন পরে গতকাল বৃহস্পতিবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে পরিস্থিতি এখন শান্ত। তবে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ১২৯ জনকে তারা গ্রেপ্তার করেছে, আটক করা হয়েছে আরও ২১ জনকে। ওই এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে যাতে কেউ গুজব ছড়িয়ে অশান্তি না বাড়াতে পারে। চটকল এলাকার কয়েকশো ঘর দাঙ্গায় জ্বল...
ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কে এম আতিকুর রহমান বলেন, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায় এড়াতে এবং ত্রাণ বিতরণে সরকারদলীয় নেতাদের দুর্নীতির খবর ঢেকে রাখতে নানামুখী অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আওয়ামী সরকার অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সাহসী মানুষের কলম স্তব্ধ করে দিতে চায়, তাই তারা ডিজিটাল সিকিউরিটি নামের কালো আইনের অপপ্রয়োগ শুরু করেছে। এভাবে দমন-পীড়ন চালিয়ে ব্যর্থতার দায় ধামাচাপা দেয়া যাবে না। আজ ১৪ মে (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সরকারের চরম ব্যর্থতা, ত্রাণ বিতরণে দুর্নীতি, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে দমন পীড়নের প্রতিবাদ এবং করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সকলকে প্রণোদনার আওতায় আনার দাবিতে আয়োজিত যুব বন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সরকারের মন্ত্রীদের অযোগ্যতা আর অব্যবস্থাপনার কারণে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে, তারা চিকিৎসক ও সেবা কর্মিদের নিরাপত্তাটুকু নিশ্চিত করতে পারে নাই। এমনকি করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালের কর্মিদের খাবার সংকটের মত দুঃখজনক ঘটনাও দেখতে হয়েছে। কেন্দ্রীয় সভাপতি আরো বলেন, সরকার প্...
মাওলানা আবদুর রাজ্জাক: সময় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দেয়া একটি নেয়ামত। সময় মানব জীবনের অমূল্য সম্পদ। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু সময়কে একত্রিত করলে যা হয় সেটাই একজন মানুষের জীবন। নেক আমলের মাধ্যমে ব্যয় করা প্রতিটি মুহূর্ত জান্নাত লাভের পাথেয় আর বদ আমলে নষ্ট করা সময় যতই ক্ষুদ্র হোক তা জীবনেরই একটি অংশ। অতিবাহিত হয়ে যাওয়া সময় কখনও ফিরে আসে না। এ জন্য অনেকে সময়কে তুলনা করেন স্রোতর সঙ্গে। নদীর স্রোত যেমন ফিরে আসে না সময়ও ফিরে আসে না। কবি ইকবাল মানুষের জীবনকে বাতাসের সাথে তুলনা করেছেন। “জীন্দেগী ইনসান কী এক দম কে সাওয়া কুছহী নাহী-দম হাওয়া কী মওয হায় রম সাওয়া কুছ্হী নাহী”। মানুষের জীবন হলো সামান্য বাতাস ছাড়া কিছুই না। বাতাসের কোন স্থায়িত্ব নেই। সময় তথা জীবন বরফ গলার মত গলে যাচ্ছে। জলন্ত সিগারেটের ন্যায় নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। সময়কে ভালো কর্মের মাধ্যমে ব্যয় করার অর্থ হলো জীবনকে গড়া জান্নাতের জন্য। আর সৎকর্মহীন সময় নষ্ট করার অর্থ হলো জীবনকে ধ্বংস করা, জাহান্নামের জন্য তৈরি করা। মনে রাখবে সময় তথা জীবন কিন্তু নির্ধারিত। মহান আল্লাহ তাআ’লা বলেন “প্রত্যেক উম্মতের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় আছে। যখন তাদের...
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: মাও. খালিদ ও হাফেজ ইবরাহিমের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর নেতৃবৃন্দ। আজ ১৪ মে ২০২০ইং বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি রিদুয়ানুল হক শামসী এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ নাজিম উদ্দীন বলেন, “দেশে আজ মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। দেশের এই কঠিন মুহূর্তে যখন মানুষ ঠিকমত দু’বেলা খাবার নিয়ে চিন্তিত, পবিত্র রমজান মাস চলমান; তার মধ্যেই এই ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। আওয়ামী ক্যাডারদের প্রভাব বিস্তারের বলি হতে হয়েছে আজ নিরীহ নিরপরাধ দু’জন মাদরাসা শিক্ষার্থীকে।” নেতৃদ্বয় বলেন, ‘আমরা তীব্র হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, অনতিবিলম্বে খুনিদের সনাক্ত করে গ্রেফতার ও তদন্তপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করা না হলে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতাকে নিয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’ উল্লেখ্য, গত (১২ মে) রাত সাড়ে ৯টায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন জন্টু ও মদীনা ব্রিক ফিল্ডের মালিক নুরু...
দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক: এইচআইভির মতো করোনাও একটি আঞ্চলিক কিংবা কোনো গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে একটি প্রচলিত রোগ হিসেবে থেকে যেতে পারে। কাজেই রোগটির প্রাদুর্ভাব কতদিন থাকবে তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা যাবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে কোভিড-১৯ রোগটি প্রতিরোধে ব্যাপকভিত্তিক উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জেনেভাভিত্তিক সংস্থাটির জরুরি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান।- খবর রয়টার্সের তিনি বলেন, জনগোষ্ঠীর মধ্যে এটি আরেকটি সাধারণ ভাইরাস হিসেবে থেকে যেতে পারে, যেটি কখনোই পুরোপুরি নির্মূল হয়ে যাবে না। এই বিষয়টি আলোচনার টেবিলে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিশেষজ্ঞ বলেন, এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ যে আমরা বাস্তববাদী এবং কাজেই কখন রোগটি সম্পূর্ণভাবে বিনাশ হয়ে যাবে, তা নিয়ে কেউ ভবিষ্যদ্বাণী দিতে পারে বলে আমি মনে করি না। ‘ভাইরাসটির মধ্যে এমন কোনো সম্ভাবনা নেই বলে আমি মনে করি, এমন কোনো তারিখও নেই। এটি একটি দীর্ঘ সমস্যা হিসেবে দেখা দিতে পারে কিংবা নাও হতে পারে।’ মাইক রায়ান বলেন, রোগটি কীভাবে সামাল দেবে, তা নিয়ে বিশ্বের এক ধরনের সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু একটি টিকা উদ্ভাবন হলেও ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যাপ...
মুফতি রবিউল ইসলাম: মাহে রমযানে ইতিকাফ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। রমযানের ফযিলত ও মর্যাদা লাভের অন্যতম এক মাধ্যম। বিশেষত লাইলাতুল কদরের বরকত ও ফযিলত পাওয়ার জন্য ইতিকাফের গুরুত্ব আপরিসীম। রাসুল সা. মাদানী জীবনে মাত্র একটি রমযানে ইতিকাফ করেননি। মূলত জিহাদের ব্যস্ততায় সে বছর ইতিকাফের সুযোগই হয়ে ওঠেনি। এছাড়া কোনো বছরই রাসুল সা. এ মর্যাদাপূর্ণ আমল ছেড়ে দেন নি। বোখারী শরীফে হযরত আবু হুরায়রা রা. সূত্রে বর্ণিত, كان النبي صلى الله عليه و سلم يعتكف فى كل رمضان عشرة أيام فلما كان العام الذى قبض فيه اعتكف عشرين يوما রাসুল সা. প্রত্যেক রমযানে দশ দিন ইতিকাফ করতেন।তবে ইন্তেকালের বছর বিশ দিন ইতিকাফ করেছিলেন। -বোখারী : ২০৪৪ অপর বর্ণনায় এসেছে, إن النبي صلى الله عليه و سلم كان يعتكف فى العشر الأواخر من رمضان রাসুল সা. রমযানের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করতেন। -বোখারী : ২০২৫, -মুসলিম : ২৬৭০ ইতিকাফের ফযীলত রাসুল সা. এরশাদ করেন, من اعتكف يوما ابتغاء وجه الله تعالى جعل الله بينه و بين النار ثلاث خنادق أبعد مما بين الخافقين যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এক দিন ইতিকাফ করবে,আল্লাহ তায়ালা তার ...