দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:
দীর্ঘ তিন বছর নিয়মিত পড়াশুনার পর গতকাল একত্রে দশ কেরাতের খতম সম্পন্ন করলেন হাফেজ মাওলানা মুস্তাজীবুর রহমান। মিশরের মারকায মাআসরাভী কায়রোর প্রধান শাখায় তিনি এই হিফজ সম্পন্ন করেন।
এর আগে বাংলাদেশের কেউ একত্রে পূর্ণ দশ কেরাতের খতম সম্পন্ন করেছেন বলে এখনও জানা যায়নি। সে হিসেবে তিনিই হতে পারেন বাংলাদেশের প্রথম দশ কেরাতের হাফেজ।
খতম সম্পন্ন করা উপলক্ষে কোভিড ১৯ পরিস্থিতি বিবেচনাপূর্বক গতকাল এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় জুম অ্যাপের মাধ্যমে। এতে তার পরিবার, পরিজন এবং কাছের অনেক পরিচিতজনের অংশগ্রহণে খতম অনুষ্ঠানটিকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে। তবে অনেকেই নেটজনিত সমস্যার কারণে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। তাদেরসহ সবাইকে শুকরিয়া, মোবারকবাদ ও দোয়া জানান মুহাম্মাদ মুস্তাজীবুর রহমান।
বিশেষভাবে তিনি তার এই খতমের শায়খ এবং মারকায মাআসরাভী কায়রো প্রধান শাখাসহ অন্যান্য সকল মাশায়েখ, প্রতিষ্ঠান, মা বাবা ভাই-বোন ও আত্মীয় স্বজনদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, যাদের উসিলা, মেহনত ও দুআয় এ পর্যন্ত ইলমে দ্বীন আহরণের সুযোগ লাভ করেছি, করছি তাদের কাছে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ ও ঋণী। এ ঋণ কখনো শোধ করার নয়। সর্বদা প্রার্থনা করি কায়মনোবাক্যে আল্লাহ পাকের নিকট, তিনি যেন তাদের সবার দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বক্ষেত্রে অফুরান কল্যাণ দান করেন এবং উভয় জাহানে তাদেরকে রহমত ও বরকতের চাদরে ঢেকে রাখেন। আমীন।”
উল্লেখ্য, নেত্রকোনা সদর কাইলাটি চরপাড়া (হাজী বাড়ি) গ্রামে ১৯৯০ সালে মুহাম্মদ মুস্তাজীবুর রহমানের জন্ম। ১১ বছর বয়সে নিজ বড় ভাই শায়েখ খলিলুর রহমানের কাছে হিফজ সম্পন্ন করে বেফাক পরীক্ষায় মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। এরপর ইবতিদাইয়্যায় ১৫তম, মুতাওয়াসসিতায় ৩য়, দাওরায়ে হাদীসে ১৭তম মেধাতালিকার স্থান লাভ করেন। এরপর উলূমুল হাদীস বিভাগে দেড় বছর অধ্যয়নের পর ২০১৫ সালে মিশরে গমন করেন।
মিশরের বিশ্ববিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে প্লে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উলূমুদ্দীন বিভাগে উলূমুল কুরআন ওয়াত তাফসীর বিষয়ে অনার্সে ভর্তি হন। দীর্ঘ চার বছরে কৃতিত্বের সঙ্গে অনার্স সমাপ্ত করার পাশাপাশি মিশরের বিভিন্ন প্রসিদ্ধ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান থেকে ইলমুল কেরাতের ৭টি বিষয়ে ডিপ্লোমা অর্জন করেন এবং পৃথকভাবে দশ কেরাতের (সুগরা ও কুবরা) হিফজের উপর সর্বোচ্চ সনদ লাভ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল একত্রে দশ কেরাতের (সুগরা) খতম সম্পন্ন করেন মুহাম্মদ মুস্তাজীব।
source https://deshdunianews.com/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%b6%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a5%e0%a6%ae-%e0%a6%a6%e0%a6%b6-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a4/
0 Comments