ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে নবী অবমাননা; নিরব মুসলিম বিশ্ব

দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের ম্যাগাজিন শার্লি এবদো’র সবশেষ সংস্করণের প্রচ্ছদে প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে ব্যঙ্গ করে আঁকা ১২টি কার্টুন ছাপা হয়। এর পক্ষকাল পরে ফ্রান্সের একজন স্কুল শিক্ষক ক্লাসে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মহানবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ কার্টুন প্রদর্শন করেন। সেখানকার মুসলিম কমিউনিটি এর বিরোধিতা করে। একজন ইমাম মসজিদ থেকে এর বিরুদ্ধে অনলাইনে প্রতিবাদের ডাক দেন।

এর মধ্যে গত শুক্রবার ওই শিক্ষক চেচেন এক যুবকের ছুরিকাঘাতে হত্যা হয়। তাকে সেখানেই গুলি করে হত্যা করা হয়। তারপর থেকে ফ্রান্সের জুড়ে চলছে মুসলিম কমিউনিটির বিরুদ্ধে সরকার ও বিভিন্ন উগ্র জাতীয়তাবাদীদের হামলা ও কঠোর সব পদক্ষেপ। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওই ইমামের মসজিদ বন্ধ করে দেন, বিভিন্ন ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়, চারদিকে ধরপাকড় শুরু হয় এবং প্রকাশ্য জনসভায় তিনি মহানবীর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ জারি রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এর আগে এ মাসের শুরুতে তিনি ইসলাম ধর্ম সংকটে বলে পশ্চিমা বিশ্বে বিতর্ক তৈরি করেন এবং ফ্রান্স থেকে ইসলামকে মুছে ফেলার হুমকি দেন। এর ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর অবমাননাকর পোস্টার সাঁটানো হচ্ছে বিভিন্ন বহুতল ভবনে এবং বিশ্বনবীর শানে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতে মুসলমানরা প্রতিবাদমুখর হলে সেখানেই ধরপাকড় জেল জুলুম ও হত্যা করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, তিনি ইসলামকে মুছে ফেলার যে হুমকি দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়নের জন্য নবী অবমাননাকেই হাতিয়ার রূপে গ্রহণ করেছেন।

উল্লেখ্য, ব্যঙ্গাত্মক কার্টুনগুলো ২০০৫ সালে প্রথম প্রকাশ করেছিল ডেনমার্কের জিল্যান্ড পোস্ট পত্রিকা। এরপর কয়েকবার ফরাসি এই শার্লি এবদো ওই ব্যঙ্গাত্মক কার্টুনগুলো ছাপায়। ২০১৫ সালে মহানবীকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুনগুলো প্রকাশের পর বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়। সারা বিশ্বের মুসলমানেরা বিক্ষোভ করেন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে ইমানুয়েল ম্যাক্রোর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান। এর প্রতিবাদে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামাজিকভাবে ফরাসি পণ্য বর্জনের ডাক চলছে। কাতারের সামাজিক সংগঠনগুলো ফরাসি পণ্য প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।

কিন্তু পশ্চিমা দোসর গণমাধ্যমগুলো এ খবর প্রকাশ করছে না। বিশ্বের ইসলামী নেতারা এখনো বেখবর। মহানবীর বিরুদ্ধে বেয়াদবি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে করা হোক, কোনো মুসলিম সেটা জেনে বসে থাকতে পারে না।



source https://deshdunianews.com/%e0%a6%ab%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%b8%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b7%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%aa%e0%a7%83%e0%a6%b7%e0%a7%8d/

0 Comments