আজারবাইজানের ব্যাপক সাফল্যে মূল ভূমিকা রেখেছে তুর্কি ড্রোন

  • দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক   

আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার যুদ্ধে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে আজারবাইজান। আর এই সাফল্যে মূল ভূমিকা রেখেছে তুর্কি ড্রোন।

নাগার্নো-কারাবাখে আর্মেনিয়ার সাথে চলমান যুদ্ধে বেশ ভাল অবস্থানে রয়েছ আজারবাইজান। এই প্রথমবারের মতো আজারবাইজান স্বীকার করলো যে তারা যুদ্ধে তুর্কি মনুষ্যবিহীন ড্রোন ব্যবহার করছে বলে জানায় মিডল ইস্ট আই।

মিডল ইস্ট আই এক প্রতিবেদনে জানায়, গতকাল সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহান আলিয়েভ ‍তুর্ক সংবাদ মাধ্যম টিআরটি হাবের কে বলেন, অত্যাধুনিক ড্রোনের জন্য তুরস্ককে অসংখ্য ধন্যবাদ। মনুষ্যবিহীন ড্রোনগুলোর কারণে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি বেশ কম হয়েছে। এই ড্রোনগুলো তুরস্কের সক্ষমতার প্রমাণ দেয়ার পাশাপাশি আমাদেরও শক্তিশালী করেছে।

দুই সপ্তাহ ধরে চলমান যুদ্ধে উভয় পক্ষই সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তিন শতাধিক সামরিক ও বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ক্ল্যাশ রিপোর্ট নামে একটি টুইটার একাউন্টে বলা হয়, আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে আজারবাইজান তুরস্কের তৈরি বায়রাক্তার টিবি২ নামক ড্রোন ব্যবহার করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, ড্রোনগুলো তুরস্ক সিরিয়ার ইদলিব ও লিবিয়ায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিল।

আলিয়েভও তার বক্তব্যে বলেছেন, তিনি তার দেশের সেনাবাহিনীকে তুর্কি সেনাবাহিনীর আদলে গড়ে তোলতে ইচ্ছুক, যাতে আজারবাইজানও তুরস্কের মতো শক্তিশালী হতে পারে।

তুরস্ক ও আজারবাইজানের সেনাবাহিনী আগস্টে একটি যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছিল, যেখানে তুর্কি সেনারা সিরিয়া ও লিবিয়ায় প্রাপ্ত শিক্ষা, কৌশল ও অভিজ্ঞতা আজারবাইজানের সেনাবাহিনীর সাথে আলোচনা করেছে।

আঙ্কারার কিছু বিশ্লেষকের ধারণা, আজারবাইজানের সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করতে বেশ কিছু তুর্কি সামরিক কর্মকর্তা দেশটিতে অবস্থান করছে।

তুরস্কের একটি সূত্র গত জুনে ডিয়েন্স নিউজকে জানিয়েছিল, আজারবাইজান বেয়রাকতার টিবি২ ড্রোন কিনতে আগ্রহী ছিল। তারা তুরস্ক থেকে এই মডেলের ছয়টি ড্রোন চেয়েছিল।

এদিকে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী নাগানো-কারাবাখের গুরুত্বপূর্ণ জাব্রাইল জেলা মুক্ত করার পর সোমবার একই জেলার শিখালী আগালি, সারিজালি এবং মেজ্রে নামক তিনটি গ্রাম আর্মেনিয়ান বাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত করেছে বলে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহান আলিয়েভ।

এর আগে আরো ২২ এলাকা আর্মেনিয় দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করে বলে জানায় তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। হামলা নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টা দাবিতে সঙ্কট আরো বাড়ছে। যুদ্ধ দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়ালেও বিতর্কিত নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে লড়াই থামার কোন লক্ষণ নেই। এরই মধ্যে ৩০০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।

সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পর থেকেই এই অঞ্চলে দুই দেশের বিরোধ চলছে। ১৯৯০ এর দশকে আর্মেনিয়ান নৃগোষ্ঠী আজারবাইজানের কাছ থেকে কারাবাখ দখল করে। এ নিয়ে সঙ্ঘাত ছড়িয়ে পড়ে সে সময়ই। শুরু হয় যুদ্ধ, যাতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩০ হাজার মানুষ। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্য যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সরাসরি সঙ্ঘাতের ইতি ঘটলেও এ নিয়ে দুই দেশের বিবাদ অব্যাহত ছিল। নিজেদের অঞ্চল আবার দখলে বেশ কয়েকবারই হুমকি দিয়েছে আজারবাইজান।



source https://deshdunianews.com/%e0%a6%86%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a6%95-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%ab%e0%a6%b2/

0 Comments