- শফিকুন্নবী বাইজিদ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো।
দুই মাস পর গত ১ জুন থেকে অফিস আদালত সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়ার পাশাপাশি ভাড়া বাড়িয়ে গণপরিবহন চালু করা হয়। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের প্রতিবাদে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে গণপরিবহনে ৫০ শতাংশ আসনে যাত্রী নেওয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়ে আগের মতো যাত্রী নেওয়ার অনুমতি দেয় সরকার।
রাজধানীর উত্তরা, বনানী, গুলশান, গুলিস্তান, কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী ও পুরান ঢাকা ঘুরে দেখা যায় সেই চিরচেনা যানজট। থেমে থেমে চলছে গাড়ি। সিগনালে আগের মতো অপেক্ষা করতে হচ্ছে প্রতিটি গাড়িকে। পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকলেও ড্রাইভার, কন্ডাকটর আর হেল্পারেরা যাত্রীর আশায় নিয়মিত রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামছেন।
গুলিস্তান থেকে মোহাম্মদপুরগামী রজনীগন্ধা বাসের কন্ডাকটর জামাল দেশদুনিয়াকে জানান, বাস মালিকের নির্দেশে আমরা গাড়ি নিয়ে প্রতিদিন রাস্তায় নামছি। পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়ায় প্রতিদিনের টার্গেট পূরণ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এদিকে মালিকপক্ষের নিয়মিত চাপ আর ঠিকমতো বেতন না পাওয়ায় মানসিক চাপ নিয়ে নিয়মিত গাড়ি নিয়ে বের হতে হচ্ছে। তবে আগের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে বলে দেশদুনিয়ার কাছে জানান তিনি।
অপরদিকে পল্টন থেকে যাত্রাবাড়ীগামী মিডলাইন বাসের যাত্রী রাসেল দেশজামানার কাছে অভিযোগ করে বলেন, সরকার ভাড়া কমানোর কথা বললেও কিছু কিছু বাসে নিয়মিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। সরেজমিনে এই অভিযোগের কিছুটা সত্যতা পাওয়া গেলেও অধিকাংশ পরিবহনেই সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে।
source https://deshdunianews.com/%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a6%9a%e0%a7%87%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%9c%e0%a6%9f%e0%a7%87-%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%b0/
0 Comments