আজান থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো জার্মান আদালত

  • দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক

দীর্ঘ পাঁচ বছর আইনি বিরোধের পরে জার্মান শহরে একটি মসজিদে উচ্চস্বরে আজান দেয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। আজান দিতে এখন থেকে লাউডস্পিকার ব্যবহার করতে পারবেন মুয়াজ্জিন।

আলজাজিরা জানায়, জার্মানির পশ্চিমের একটি শহরে আজান দেওয়া নিষিদ্ধ করেছিল একটি আদালত। উচ্চ আদালত সেই রায় নাকচ করে দিল।
মসজিদে আজান ধর্মীয় অধিকার। রাষ্ট্র সেখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এবং এই অধিকার অন্য ধর্মের অধিকারেও হস্তক্ষেপ করে না। জানিয়ে দিল জার্মানির একটি আদালত। ২০১৮ সাল থেকে সেখানে আজান নিষিদ্ধ হয়েছিল। বুধবার জার্মানির ওই আদালত জানিয়ে দিয়েছে, সপ্তাহে একদিন যে ভাবে সেখানে আজান দেওয়া হতো, তা আগের মতোই করা যাবে।

মসজিদটির অবস্থান উত্তর রাইন-ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যে ওরে-এরকেনশিক শহরে।

জুমার নামাজের জন্য শুক্রবার পনের মিনিটের জন্য লাউডস্পিকার ব্যবহার করত মসজিদটি। আজান দিয়ে স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দাদের নামাজের জন্য আহ্বান করা হতো।

কিন্তু ২০১৮ সাল নাগাদ জার্মানির মনস্টার শহরে এক ক্রিস্টান দম্পতি আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি মসজিদ আছে। সেখানে সপ্তাহে একদিন আজান দেওয়া হয়। যা এক কিলোমিটার দূর থেকে শোনা যায়। তাঁরা ক্রিস্টান, ওই আজানের শব্দ তাঁদের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করে। ওই দম্পতির আইনজীবী আদালতে বলেছিলেন, চার্চের ঘণ্টার সঙ্গে মসজিদের আজানের তুলনা চলে না। কারণ, ঘণ্টায় কোনও ধর্মীয় শব্দ থাকে না। কিন্তু আজানে ধর্মীয় বাক্য থাকে। ফলে যে অমুসলিমদের কানে সেই শব্দ পৌঁছচ্ছে, তাঁরা তা শুনতে নাও চাইতে পারেন।

২০১৮ সালে নিম্ন আদালত ওই অভিযোগের ভিত্তিতে রায় দিয়েছিল যে, মসজিদে লাউড স্পিকারে আজান দেওয়া যাবে না। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে স্থানীয় মুসলিম সংগঠন উচ্চ আদালতে গিয়েছিল।

এই অভিযোগের সুরাহা হতে লেগে যায় পাঁচ বছর এবং এতদিন মসজিদটিতে বন্ধ ছিল লাউডস্পিকারে আজান দেয়াও। মুনেস্টারের একটি আদালত ওই দম্পতির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। ফলে স্থানীয় তার্কিশ ইসলামিক কমিউনিটির (দিতিব) মসজিদটিতে লাউডস্পিকারে আজান দিতে আর বাধা থাকল না।

ধর্মীয় অধিকারের স্পষ্ট ব্যাখ্যাও দিয়েছে আদালত। বলা হয়েছে, অন্যের ধর্মের আচারের সংস্পর্শে আসা কখনো নিজের ধর্মে হস্তক্ষেপ হতে পারে না। ফলে ওই ক্রিস্টান দম্পতির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।



source https://deshdunianews.com/%e0%a6%86%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a8-%e0%a6%a5%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%87%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%be-%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b2/

0 Comments