চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া আহসানাবাদ কওমীয়া মাদরাসার শায়খে বুখারী হযরত মাওলানা শিহাবুদ্দিন আশরাফ ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
আজ (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তিনি দারুল উলূম খাদেমুল ইসলাম গওহরডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ মাদরাসায় হাইআতুল উলয়ার পরীক্ষার প্রধান নেগরান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থতাবোধ করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেখানে তিনি ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো আনুমানিক ৮০ বছর। তিনি চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া আহসানাবাদ কওমীয়া মাদরাসার শায়খে বুখারী ও এ মাদরাসার প্রবীণ উস্তাদ ছিলেন। এর পূর্বে তিনি জামিয়াতুস সুন্নাহ শিবচর, মাদারীপুর মাদরাসার শায়খুল হাদীস ছিলেন।
ইন্তেকালের সময় তিনি তিনজন পূত্র সন্তান ও স্ত্রী রেখে গেছেন। যারা সকলেই হাফেজ, আলেম এবং মুফতী।
জানা গেছে – তার মৃতদেহ প্রথমে গহরডাঙ্গা মাদরাসা ফরিদপুর থেকে চরমোনাই মাদরাসায় আনা হবে। সেখান থেকে তার নিজ গ্রামের বাড়ি কাঠালিয়া থানার কৈখালি গ্রামে নেওয়া হবে। তার গ্রামের বাড়ি কাঠালিয়া উপজেলার (জেলা ঝালকাঠি) ১ নং চেচরিরামপুর ইউনিয়নে।
তার জানাযা নামাজের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে – আজ আছরের নামাজের পর চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে তার জানাযা নামাজ সম্পন্ন হবে।
মাওলানা শিহাব উদ্দীন আশরাফের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের কওমী মাদরাসা শিক্ষা সংস্থা আল হাইআতুল উলয়া কর্তৃপক্ষ।
মাওলানা শিহাবউদ্দীন আশরাফ একজন নিভৃতচারী ও প্রচারবিমূখ আলেমেদীন। জীবনের দীর্ঘ সময় তিনি হাদিসের খেদমতে কাঁটিয়েছেন। চরমোনাই মাদরাসার শায়খুল হাদিস ছিলেন প্রায় এক যুগ। তিনি একাধিক গ্রন্থের লেখকও ছিলেন। ছাত্রদের কাছে প্রবল জনপ্রিয় একজন শিক্ষক হিসেবেও তিনি ছিলেন সমাদৃত। আমলে-ঈমানে তিনি সবার কাছেই ছিলেন শ্রদ্ধার পাত্র।
এমন একজনন মহিরূহ আলেমের ইন্তেকালে আমরা শোকপ্রকাশ করছি।
source https://deshdunianews.com/%e0%a6%9a%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%87-%e0%a6%95%e0%a6%93%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b6%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a6%96%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a7%81/
0 Comments