যুগে যুগে করোনার ধ্বংসাত্মক প্রভাব!

মুহাম্মদ আল-আমিন।
বর্তমান বিশ্ব এখন করোনায় কম্পমান। বাংলাদেশেসহ সারা পৃথিবীর মানুষ আতঙ্কগ্রস্হ।শেষ পরিনতি কোথায় গিয়ে দাড়াবে মহান আল্লাহ ভালো জানেন।

এই করোনার গল্প শুধু বিশ শতকের নয়।বরং মানব সভ্যতার প্রতিটি শতকেই বিভিন্ন করোনা মহামারীর উপস্তিতি পাওয়া যায়। পৃথিবীতে যুগে যুগে এসব মহামারিতে মানব সমাজ বিপন্ন ও বিপর্যস্ত হয়েছে।মৃত্যু হয়েছে কোটি কোটি মানুষের।লাশের স্তুপে পরিনত হয়েছে বিভিন্ন জনপদ।

এসব প্রাণঘাতী ব্যাধির মধ্যে রয়েছে প্লেগ, ইবোলা,জিকা ভাইরাস,হলুদ জ্বর,কুষ্ঠরোগ,কালাজ্বর, বসন্ত, কলেরা,ইনফ্লুয়েঞ্জা, ম্যালেরিয়া,যক্ষা, টাইফয়েড, হাম ইত্যাদি।

মানুষ যখন আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয় তখন তাদের সরল সঠিক পথের সন্ধান দিতে এ ধরনের মহামারী দেখা দেয়।আল্লাহ তায়ালা বলেন “জহারাল ফাসাদু বিল বাররি ওয়াল বাহরি বিমা কাসাবাত আইদিন্নাস।” অর্থাৎ জলে স্হলে যে বিপর্যয় দেখা দেয় তা মানুষের কৃতকর্মের ফল।

ভূতত্ববিদ বিজ্ঞানীরা বলছেন ১০০ বছর পর পর প্রকৃতিতে বড় ধরবের পরিবর্তন ঘটছে।এর ফলে মহামারি ব্যাপক আকার ধারন করছে।আমরা যুগে যুগে ঘটে যাওয়া মহামারি এবং মানবসভ্যতায় তার প্রভাবের নিদর্শন জানতে পারি। এমনকি মহাবিশ্বের বিস্ময়, মহাগ্রন্থ আল কুরআনে বিভিন্ন জাতির নাফরমানির কারনে মহামারিতে ধ্বংসের কথা পাওয়া যায়। এসব মহামারির কারন অধিকাংশ ভাইরাস রোগ জনিত।

ভাইরাস কি?

ভাইরাস হল অতি ক্ষুদ্র অনুজীব। ভাইরাস অর্থ বিষ।আদিতে যে কোনো ধরনের বিষাক্ত পদার্থকে ভাইরাস বলা হত।ভাইরাস নামক শব্দটি আবিস্কারের পূর্বে বিভিন্ন মহামারীতে হাজার হাজার নগরসভ্যতা বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

আজ যখন করোনা ভাইরাসে গোটা বিশ্ব আতঙ্কিত, তখন আমাদের অবশ্যই আলোচনা করা দরকার অতীতের মহামারী ও সেগুলোর ধ্বংসাত্মক প্রভাব এবং আমাদের করনীয় ও শিক্ষা।

যুগ যুগান্তরে বিশ্বসভ্যতার কিছু গুরুত্বপূর্ণ মহামারির হৃদয়বিদারক ইতিহাস আপনাদের জন্য তুলে ধরা হল।

ইবোলাঃ ভয়াবহ ইবোলা ভাইরাসের মৃতুহার ৫০ শতাংশের মত।ইবোলা ভাইরাসে সংক্রমিত বেশির ভাগ ক্ষেএে মৃুত্যু অবধারিত।মধ্য ও প্রশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিশেষ করে সুদান,গাবন,ও আইভেরিকোষ্টে এই ভাইরাসের প্রকোভ বেশি। এই ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে কোনো সংক্রমিত পশুর রক্ত বা শরীর রস এর সংস্পর্শে। ২০১৪ ও ২০১৬ সালের মধ্যে আফ্রিকায় বড় প্রাদুর্ভাবে প্রায় ১১ হাজার মানুষ মারা যায়।

ডিজিজ এক্স: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পৃথিবীব্যাপী মহামারি ঘটাতে পারে এমন তালিকায় নতুন রসহ্যময় অসুখ ডিজিজ এক্স এর নাম অর্ন্তভুক্তি করেছে।এটা এখনো বিজ্ঞানীদের কাছে অজানা।
অজানা ভাইরাসের সংক্রমণে হওয়া এই রোগের ব্যাপারে বলা হচ্ছে ডিজিজ এক্স হল এমন কোন রোগ যা মানব জাতির কাছে এখনো অজানা, কিন্তু তা আন্তর্জাতিকভাবে মহামারি রুপ নিতে পারে

সার্স ও মার্স : সার্স অর্থাৎ সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি ভাইরাসের উৎপত্তি চীনে। বিজ্ঞানীরা বলছেন খাটাশ জাতীয় বিড়াল থেকে ভাইরাসটি এসেছে। তবে এটি বাদুড়ের দেহেও পাওয়া গেছে। ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে দুবার এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। আট হাজারের বেশি আক্রান্তের মধ্যে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়।

ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে ভয়াবহ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এ রকম আরেকটি ভাইরাস হচ্ছে মার্স। এটি সার্সের একই গোত্রীয় একটি ভাইরাস। ২০১২ সালে প্রথম সৌদি আরবে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয় এবং সেখানে আক্রান্তদের ৩৫ শতাংশ মারা গেছেন।

এই রোগের নাম দেয়া হয় মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সংক্ষেপে মার্স। করোনা ভাইরাস গোত্রীয় বলে ভাইরাসটির নাম মার্স করোনা ভাইরাস। সৌদি আরব ছাড়াও এর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে বিভিন্ন দেশে।

জিকা : জিকা ভাইরাস হচ্ছে ফ্ল্যাভিভাইরিডি পরিবারের ফ্ল্যাভিভাইরাসগণের অন্তর্ভুক্ত। এই পরিবারের অন্যান্য ভাইরাসের মতো এটি আবরণযুক্ত ও আইকসাহেড্রাল আকৃতির একসূত্রক আরএনএ ভাইরাস।

এটি প্রথম ১৯৪৭ সালে উগান্ডায় রেসাস ম্যাকাক বানরের দেহে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে উগান্ডা ও তানজানিয়াতে মানবদেহে প্রথমবারের মতো শনাক্ত করা হয়। এই ভাইরাস যে রোগ সৃষ্টি করে তার সঙ্গে ডেঙ্গু জ্বর এর কিছুটা মিল রয়েছে। বিশ্রাম নেওয়া হলো প্রধান চিকিৎসা। এখনো এর কোনো ওষুধ বা টিকা আবিষ্কৃত হয়নি।

যে সব নারী জিকা জ্বরে আক্রান্ত তাদের গর্ভের সন্তান মাইক্রোসেফালি বা ছোট আকৃতির মাথা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এ ছাড়া বড়দের ক্ষেত্রে গিলেন বারে সিনড্রোম করতে পারে। ১৯৫০ সাল থেকে এই ভাইরাস আফ্রিকা থেকে এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত।

এইডস : এইচআইভি সংক্রমণে মানবদেহে এইডস রোগের সৃষ্টি হয়। মূলত এইডস একটি রোগ নয় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাবজনিত নানা রোগের সমাহার।

এইচআইভি ভাইরাস মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়, ফলে নানা সংক্রামক রোগ ও কয়েক রকম ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রোগী মৃত্যু মুখে ঢলে পড়ে। এইচআইভি ভাইরাস শরীরে ঢোকার পর অনাক্রম্যতা কমতে কমতে এইডস ঘটাবার মতো অবস্থায় পৌঁছতে অনেক বছর লাগে।

তবে শরীরে এই ভাইরাস একবার সংক্রমিত হলে তা কমানো সম্ভব হলেও সম্পূর্ণ দূর করা এখনো সম্ভব নয়, তাই শেষ পর্ষন্ত সেই রোগীর এইডস হওয়া বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে বিশ্বের খুব অল্প সংখ্যক অঞ্চলের কিছু লোকেদের শরীরে কিছু জিনে খুঁত থাকে যার ফলে এইডস ভাইরাস তাদের শরীরে সফলভাবে সংক্রমণ করতে পারে না।

গুটিবসন্ত : গুটিবসন্ত বা স্মল পক্স ভ্যারিওলা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হতো এবং এটি অত্যন্ত মারাত্মক এক ব্যাধি ছিল। মানবদেহে প্রথমে এক ধরনের গুটি বের হয় যা পরবর্তী সময়ে তিল বা দাগ, কুড়ি, ফোস্কা, পুঁজবটিকা এবং খোসা বা আবরণ ইত্যাদি পর্যায়ের মাধ্যমে দেহে লক্ষণ প্রকাশ করে।

গুটিবসন্তের টিকা আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৭৯৬ সালে। অথচ টিকা আবিষ্কারের প্রায় ২০০ বছর পরও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে ভারতে। ১৯৭০ সালে লক্ষাধিক মানুষ রাতারাতি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

পরবর্তী কয়েক বছরে ভারত সরকার এবং জাতিসংঘের সহায়তায় গঠিত একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৫ সালেই ভারতকে গুটিবসন্ত মুক্ত ঘোষণা করা সম্ভব হয়।

ডেঙ্গু : গত বছরে এশিয়ার কয়েকটি দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে। ফিলিপাইনে প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ মানুষ মারা গেছে। বাংলাদেশের মতো থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াতেও ছড়িয়ে পড়ে ডেঙ্গু। একটি এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ।

এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়। উপসর্গগুলোর মাঝে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশিতে ও গাঁটে ব্যথা এবং গাত্রচর্মে ফুসকুড়ি।

দুই থেকে সাত দিনের মাঝে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী আরোগ্য লাভ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি মারাত্মক রক্তক্ষয়ী রূপ নিতে পারে যাকে ডেঙ্গু রক্তক্ষয়ী জ্বর (ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বলা হয়)।

ইনফ্লুয়েঞ্জা : ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস অর্থোমিক্সোভিরিডি ফ্যামিলির একটি ভাইরাস, যা ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জন্য দায়ী। বিভিন্ন সময়ে এটা লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে এসেছে।

১৯১৮ থেকে ১৯১৯ সাল সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫ কোটি মানুষ মারা যায়। ভয়াবহ এই মহামারীকে তখন নাম দেওয়া হয় ‘স্প্যানিশ ফ্লু’। এটি ‘দ্য ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিক’ নামেও পরিচিত। গ্রিক বিজ্ঞানী হিপোক্রেটিস প্রথম ২৪,০০ বছর আগে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণ লিপিবদ্ধ করেন।

এরপর বিশ্বব্যাপী ইনফ্লুয়েঞ্জা ঘটিত নানা মহামারী ঘটার প্রমাণ রয়েছে। মাত্র এক বছরেই ইনফ্লুয়েঞ্জা প্যানডেমিক কেড়ে নেয় কোটির বেশি মানুষের প্রাণ! সে সময় দেশে দেশে সরকার সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরিধানের জন্য আইন পাস করে, দীর্ঘদিনের জন্য বড় জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়।

পোলিওমাইলিটিজ এক ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। সচরাচর এটি পোলিও নামেই সর্বাধিক পরিচিত। এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি এ ধরনের ভাইরাসের মাধ্যমে আক্রান্ত হন।

এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি সাময়িক কিংবা স্থায়ীভাবে শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হন ও তার অঙ্গ অবশ বা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। ১৯১৬ সালে পোলিও রোগ প্রথম মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। সে বছর নিউইয়র্কে ৯ হাজার মানুষ পোলিওতে আক্রান্ত হয় যার মধ্যে ৬ হাজার মানুষই মৃত্যুবরণ করে!

নিউইয়র্ক শহর থেকে ক্রমে পোলিওর প্রাদুর্ভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। প্রতি বছর বিশ্বে কত শত মানুষ পোলিওতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় তার কোনো সঠিক তথ্যও পাওয়া যায় না। অবশেষে ১৯৫০ সালে জোনাস সাল্ক পোলিও টিকা আবিষ্কার করেন।

করোনাঃ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে আজও বিরাজ করছে করোনার তান্ডবলীলা।পুরো পৃথিবী যেন মৃত্যু নগরীতে পরিনত হবার উপক্রম অবস্থায় দাড়িয়ে।
বিজ্ঞানীদের ধারনা ভবিষ্যতে করোনা আরো ভয়াবহ রুপ ধারন করতে পারে।মৃত্যু সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে ২- ৩ কোটি বা তার বেশি।যা পূর্বের সব মহামারিকে অতিক্রম করবে।

আজ অব্দি পুরো পৃথিবীতে করোনায় আক্রান্ত সংখ্যা ১,১৭,৫৬, ৫০৬।মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫ লক্ষেরও উপরে। বাংলাদেশও ক্রমেই বেড়েই চলছে আক্রান্ত – মৃত সংখ্যা। আজ পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত মোট সংখ্যা ১,৭৮,৪৪৩। মৃত্যুর সংখ্যা ২২৭৫।
আল্লাহই ভালো জানেন ভবিষ্যতে আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা কেমন হবে।

করোনা ভাইরাস কি? এক ধরনের ভাইরাস যা মানুষকে সংক্রামিত করে,সাধারণত উর্ধ শ্বসনকে সংক্রামিত করে।এ পর্যন্ত সাত শ্রেনীর করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে।ভাইরাসটির বিপজ্জনক হওয়ার কারন এটি নিজেই মিউটেড করতে পারে।
মূহুর্তেই জিনের গঠন বদলে মানুষের শরীরে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

ভাইরাসটি হাঁচি ও কাশি, ব্যাক্তিগত ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ,ভাইরাস লেগে আছে এমন বস্তুর স্পর্শ এবং খুব সামান্য বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
মারাত্মক এ লক্ষ্মণগুলি সার্স ও মার্স ভাইরাসের অনুরূপ হওয়ায় এ ভাইরাসকে তাদের গ্রুপভুক্ত করা হয়েছে।নাম দেয়া হয়েছে” সার্স- কোভি- ২” যা পরবর্তীতে কোভিড ১৯ বা নোভেল করোনা ভাইরাস নামে পরিচিতি লাভ করে।যা প্রথম চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে।

জ্বর, কাশি,নিশ্বাসের দুর্বলতা,শ্বাস নিতে কষ্ট,অবসাদ,শীতলতা,মাঝে মাঝে কাঁপুনি দিয়ে শরীর ব্যাথা,মাথা ব্যাথা,গলা ব্যাথা,গন্ধ বা স্বাদ হ্রাস,বমি বমি ভাব ইত্যাদি উপসর্গ গুলি এ ভাইরাসের আক্রমণে দেখা দেয়।

এ ভাইরাসটি নিউমোনিয়া, শ্বাস প্রশ্বাসের জটিলতা, সেপটিক শক এবং সর্বশেষ মৃত্যুর কারন হতে পারে।এর মূল কারন সাইটোকাইনস রিলিজ সিন্ড্রোম যা প্রতিরোধ ব্যবস্হার রক্ত প্রবাহে সাইটোকাইনস প্রদাহজনিত প্রোটিন ভাঙগনে সহযোগিতা করে।এগুলি টিস্যু গুলিকে মেরে ফেলতে পারে এবং শরীরের যে কোন অঙ্গ ক্ষতি করতে পারে।

অ্যালকোহল ভিওিক স্যানিটাইজার,সাবান ইত্যাদি দিয়ে প্রায়শই হাত ধৌত করা,শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা,মাস্ক পরিধান করা, হাঁচি – কাশিতে রুমাল ব্যবহার করা,চোখ মুখে বার বার স্পর্শ না করা,জনসমাগম এড়িয়ে চলা,সংক্রমিত এলাকায় না প্রবেশ করা ও কেউ আক্রান্ত হলে যেখানে ভাইরাসটি সংক্রমণ ঘটায়নি সেখানে না যাওয়া, সর্বোপরি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ইত্যাদি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের কার্যকর ব্যবস্হা।

আসুন আমরা নিজে সচেতন হই। অপরকে সচেতনতায় সহযোগিতা করি।ঘটে যাওয়া আমাদের খারাপ কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর কাছে লজ্জিত ও ক্ষমা প্রার্থনা করি।আল্লাহ আমাদেরকে করোনা নামক মহামারি থেকে হেফাজত করুন!

লেখক : তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক
আল বিরুনী বিজ্ঞান ক্লাব



source https://desh-duniyanews.com/%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%97%e0%a7%87-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%82%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a4/

0 Comments