শরীফুজ্জামানঃঃ (কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি) উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এর ফলে ইতোমধ্যে ছোট-বড় পাঁচশ চর ও দ্বীপচর পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে। এতে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছে। আর এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভাঙছে নদ-নদী। ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েছে নয়টি উপজেলার নদী তীরবর্তী বসবাসরত মানুষজন।
রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়নের চতুরা ও কালিরহাট এলাকায় তিস্তা নদীর পানির প্রবল স্রোতে নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে। এ এলাকায় অসংখ্য পরিবার নদীর পাড়ে বসবাস করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। নদী ভাঙনের ফলে ওই এলাকাটি যে কোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে। ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকার কালিরহাট বাজারসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ। ভয় ও আতঙ্কে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে অনেকে ৷ চরম ঝুঁঁকিতে রয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এসডি মাহমুদ হাসান জানান, শুক্রবার সকালে ধরলায় সেতু পয়েন্টে ও ব্রহ্মপুত্র চিলমারী পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্ট ১৭ সেন্টিমিটার, ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম সদর পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, এগুলো উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের। প্রতিবার বছর ঘুরলেই এই সময় নদ-নদীর পানি বেড়ে নতুন নতুন এলাকা ভাঙতে শুরে করে। ভাঙনকবলিত এলাকায় যথাযথ ব্যবন্থা নেওয়া হবে।
source https://deshdunianews.com/%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%bf%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%87-%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%bf-%e0%a6%a2%e0%a6%b2%e0%a7%87/
0 Comments