চরমোনাইতে ব্রিজ নির্মাণের দুই বছর না যেতেই দু’পাশে ভয়াবহ ধস

মুহাম্মাদ শাহজালাল: ( চরমোনাই প্রতিনিধি)

নির্মাণের দুই বছর যেতে না যেতেই চরমোনাই ব্রিজের দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়কে ভয়াবহ ধস নেমেছে। বরিশালের সঙ্গে চরমোনাইয়ের সড়কপথে সরাসরি যোগাযোগের লক্ষ্যে কড়াইতলা নদীর ওপর নির্মাণ করা এই চরমোনাই সেতুর দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়কে ছোট বড় মিলিয়ে বেশ কয়েকটি স্থানে ভয়াবহ ধসে আতংকিত এলাকার সাধারণ মানুষ। মানুষ কিংবা যান চলাচলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই এটিকে এখনই সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার জনসাধারণ।

জানা গেছে, ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৪ সালে এই ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। তৎকালীন সময় উচ্চতা কম হওয়ায় আপত্তির মুখে মাত্র ২৫ শতাংশ কাজ বাকি থাকতে সেতুটির নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে নতুন নকশায় ফের এ সেতুর কাজ শুরু হয়েছিলো। এরপর ২০১৮ সালে কাজ সম্পন্ন হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে সেতুটির উদ্বোধন করার কথা থাকলেও পরে নানা জটিলতায় তা হয়নি। এরপর উন্মুক্ত করা হয় এই ব্রিজে যান চলাচল। তবে এই অ্যাপ্রোচ সড়ক সঠিক নিয়মে তৈরি করা হলে দেড় বছরের মধ্যে ধসে যাওয়ার কথা নয় বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাইয়ের বাৎসরিক দুটি মাহফিলে আসা লাখ লাখ মুসল্লির সরাসরি চরমোনাই পৌঁছাতে এই ব্রিজ ব্যবহৃত হয়। তাদের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্রিজটি এখন সড়কপথের একমাত্র ভরসা। তাই যত দ্রুত সম্ভব সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই ব্রিজ দিয়ে আমরা দিনে এবং রাতে চলাফেরা করি। আলোর ব্যবস্থা না থাকায় রাতে যে কোনো সময় ব্রিজের ভাঙা অংশে পড়ে যাওয়ায় শংকা রয়েছে। চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মিলন রায় বলেন, আমি মনে করি এটার সমস্ত দায়ভার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের। কেননা সঠিকভাবে, সঠিক নিয়মে অ্যাপ্রোচ সড়কটি নির্মাণ করা হলে হয়ত এমনটা হত না। তবে এখন আমরা চাই এটা দ্রুত সংস্কার করা হোক।

সচেতন নাগরিকরা বলেন, এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন হাজারো লোকজন চলাফেরা করেন। এমনকি বরিশালের সঙ্গে সরাসরি যোগাাযোগের মাধ্যম। এমন ভাঙা যদি এখনি সংস্কার না করে তাহলে এই ভাঙার কারনে যেকোন সময় সড়ক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। বেশিভাগ অত্র অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা রাতে তাদের মালামাল সরবরহা করে থাকেন। অচেনা গাড়ি এই ভাঙ্গায় পরলে কি হতে পারে তাতো আপনারা ভালো করেই বুঝেন।



source https://deshdunianews.com/%e0%a6%9a%e0%a6%b0%e0%a6%ae%e0%a7%8b%e0%a6%a8%e0%a6%be%e0%a6%87%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%9c-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a3%e0%a7%87/

0 Comments