আইনুদ্দীন আল আজাদ;হৃদয়ের গভীরে যার স্থান

মুফতি সালাহুদ্দীন আইয়ুবী

আজ ১৮ই জুন। ২০১০ সালের আজকের এই দিনে নাটোরের লালপুর থানাধীন পালিদেহা নামক স্থানে বাদ ফজর এক সড়ক দূর্ঘটনায় পরপারে পাড়ি জমান আমার প্রিয় শিল্পী আইনুদ্দীন আল আজাদ (রহ.) ৷

ইসলামী সংগীত জগতে একজন মানুষকে পছন্দ করতাম ৷ তার সংগীত শুনতাম ৷ ক্যাসেট কিনে কিনে জমা রাখতাম ৷ তার সংগীত যেভাবে জিহাদী চেতনা জাগায় তেমনি হৃদয় বিগলিত হয়ে অশ্রুঝরায় ৷ তার সংগীত জালিমশাহীর বিরুদ্ধে দ্রোহের আগুন জ্বলায় ৷ একই সাথে আল্লাহ প্রেমিকদের হৃদয়ে অশকের আগুন জালায় ৷
তার হাত ধরেই বাংলাদেশে ইসলামী সংগীত চর্চার যাত্রা শুরু হয়ে ছিল ৷ ইসলামী সংগীতকে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে তিনি অবিরাম কাজ করে গিয়েছেন ৷ বাংলাদেশের বহু মানুষ গান-বাদ্য শোনার অভ্যাস ছেড়ে ইসলামী সংগীত সোনায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন একমাত্র তার উচিলায় ৷ অনৈসলামিক সংগীত এর মোকাবেলায় ইসলামী সংগীতের জাগরণ সৃষ্টি করে ছিলেন ৷

তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের নেতা হয়েও সর্বমহলে জনপ্রিয় ছিলেন ৷ গ্রহণযোগ্য ছিলেন ৷ ভালোবাসার পাত্র ছিলেন ৷
তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ইসলামী সংগীত জগতের কিংবদন্তী ৷

তিনি ছিলেন মুফাসসীরে কুরআন, গীতিকার, সুরকার, ইসলামী সংগীত শিল্পী এবং ইসলামী হুকুমত কায়েমের এক অকুতোভয় সৈনিক ৷
জীবনে একবার দেখা হয়ে ছিল প্রিয় মানুষটির সাথে ৷ ভালবাসা জমে উঠার আগেই আল্লাহ তা’য়ালা তাঁকে নিজের কাছে ডেকে নিলেন ৷
তারপর আর ইসলামী সংগীত জগতে কাউকে ভালবাসা হয়নি ৷ হয়তো হবেওনা ৷ বর্তমানে যারা ইসলামী সংগীত চর্চা করে তাদের অধিকাংশের কার্যক্রম ইসলামী সাংস্কৃতির সংজ্ঞায় পড়ে কিনা সন্দেহ ৷ তার রেখে যাওয়া “কলরব” দ্বিধাবিভক্ত ৷

প্রিয় মানুষটি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন আজ ১০ বছর হতে চলেছে ৷ কিন্তু এখনো মানুষের হৃদয়ের কত গভীরে তিনি অবস্থান করছেন তা সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর দিলে উপলব্ধি করা যায় ৷

সকাল থেকে ফেসবুকে সর্বমহলে তার স্মৃতিচারণ দেখে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারলাম না ৷ বারবার প্রিয় মানুষটিকে হারানোর ব্যথা অনুভব করছি ৷
আল্লাহ এই ইসালামী সংগীত যোদ্ধা’কে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন ৷ আমিন ৷

লেখক: সহযোগী সম্পাদক, দেশ দুনিয়া নিউজ



source https://deshdunianews.com/%e0%a6%86%e0%a6%87%e0%a6%a8%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a6%e0%a7%80%e0%a6%a8-%e0%a6%86%e0%a6%b2-%e0%a6%86%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a6%e0%a6%b9%e0%a7%83%e0%a6%a6%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0/

0 Comments