শায়খ মাহমুদ আফেন্দি ও তুরস্কে ইসলামী সভ্যতার পুনর্জাগরণ

কাজী সফি আবেদীন।

বর্তমান বিশ্বপ্রেক্ষাপটে তুরস্ক উদীয়মান শক্তি, জ্বালানীর মূল কেন্দ্রস্থল মধ্যপ্রাচ্য হওয়ায় এবং ইহুদিদের পুণ্যভূমি ফিলিস্তিনে হওয়ায় বর্তমান বিশ্বে মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্ব অপরিসীম, এক কথায় বলতে গেলে মধ্যপ্রাচ্য যার নিয়ন্ত্রণে থাকবে সেই হবে বিশ্বমোড়ল, উসমানী খিলাফতের পতনের পূর্বে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য ছিল উসমানী খিলাফতের অধীনে।
আর ইসলামের ইতিহাসে তিনটি খিলাফত ছিল সবচেয়ে বড়। উমাইয়্যা খিলাফত, আব্বাসী খিলাফত এবং উসমানী খিলাফত। এর মধ্যে উসমানী খিলাফতের ইতিহাস ছিল সবচেয়ে সমৃদ্ধ। তাদের সময়েই ইউরোপের বিশাল একটি অংশ মুসলিম শাসনের অধীনে আসে এবং সমগ্র দুনিয়াতে ইসলাম একটি অপরাজেয় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। কিন্তু মুসলিম শাসকদের ইসলামবিমুখতা এবং ইহুদিবাদীদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর এই উসমানী খিলাফতের পতন ঘটে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে লিথুনিয়া থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত ৩০টি পয়েন্টে সমগ্র দুনিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে উসমানী সেনাবাহিনী অসম বীরত্ব প্রদর্শনের পরও হেরে যায়। ১লা নভেম্বর ১৯২২ সালে তৎকালীন সুলতান, সুলতান ওয়াহদেদ্দিনকে তুরস্ক থেকে নির্বাসিত করা হয়।
এরপর’ই সেক্যুলারবাদী মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক এবং তার অধীনস্থগণ আধুনিক তুরস্ক গঠনের নামে তুরস্ক থেকে ইসলাম ও ইসলামের নিশানা মুছে দেয়ার লক্ষ্যে মুসলমানদের ওপর চরম জুলুম নির্যাতন শুরু করে। আজানকে তুর্কী ভাষায় দেওয়ার জন্য বাধ্য করে, ইসলামী শিক্ষা নিষিদ্ধ করে, টুপিওয়ালা মানুষ দেখলেই তাদেরকে হেনস্তা করা হত৷
স্পেনের মত তুরস্কের আলেমদেরকেও ধোঁকা দিয়ে শহীদ করা হয়েছিল, রাস্ট্রীয় অর্থায়নে তাদেরকে হজ্জে প্ররণ করার নামে গভীর সমুদ্রে নিয়ে গিয়ে ডুবিয়ে শহীদ করা হয়েছিল এবং যারা অবশিষ্ট ছিল তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।
অতীত ইতিহাসকে সম্পূর্ণ রূপে মুছে ফেলার জন্য আরবি হরফকে তুলে দিয়ে তদস্থলে ল্যাটিন বর্ণমালা চালু করে এক রাতেই গোটা জাতিকে অজ্ঞতার অন্ধকারে ঠেলে দেয়া হয়েছিলো তুরস্কে। বিজাতীয় সভ্যতা সংস্কৃতিকে আমদানি করে, মেয়েদেরকে মিনি খোলামেলা পোশাক পরিধান করতে বাধ্য করা হয় এমনকি হিজাব এবং বোরকার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিলো তখন। মুসলিম পারিবারিক আইন পরিবর্তন করে তদস্থলে ইউরোপিয়ান পারিবারিক আইন প্রবর্তন করা হয়। এক কথায় বলতে গেলে ইউরোপের আদলে দেশকে গড়ে তুলার জন্য ইউরোপের নগ্ন সংস্কৃতিকে আমদানি করা হয়েছিলো তুরস্কে।
কামাল আতাতুর্ক এক ভাষনে বলেছিলো,
জ্ঞান, বিজ্ঞান ও সভ্যতার সামনে দাঁড়িয়ে আমি তুরস্কের সভ্য সমাজের জনগণকে জাগতিক ও আধ্যাত্মিকতা লাভের জন্য শেখদের নির্দেশনায় চলতে দিতে পারি না। তুর্কি প্রজাতন্ত্র শেখ, দরবেশ ও অনুসারীদের দেশ হতে পারে না। সর্বোৎকৃষ্ট রীতি হল সভ্যতার রীতি। মানুষ হওয়ার জন্য সভ্যতার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করাই যথেষ্ঠ। দরবেশ প্রথার নেতৃবৃন্দ আমার কথার সত্যতা বুঝতে পারবেন এবং তাদের খানকাহগুলো গুটিয়ে নেবেন ও স্বীকার করবেন যে তাদের রীতিগুলো পুরনো হয়ে গেছে।
তুরস্ক থেকে ইসলামের নাম নিশানা মুছে ফেলতে চাইলেও মানুষের অন্তর থেকে পুরোপুরি ভাবে তা মুছতে সক্ষম হয়নি সেক্যুলারবাদী কামাল পাশার অনুগত বাহীনি, জনগন কিংবা সরকারের কোন পদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ যদি ইসলামের স্বপক্ষে আওয়াজ তুলতে চাইতো তাহলে আতাতুর্কের অনুগত সেনারা তা তাৎক্ষনিক প্রতিহত করে দিত।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী আদনান মেন্ডারিস যিনি (১৯৫০ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত) তিন তিন বার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তুরস্কে আরবীতে আজান চালু করার অপরাধে সেক্যুলারপন্থি সেনারা সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে এবং সংবিধান লঙ্ঘনের দোহাই দিয়ে এই মহান ব্যক্তিকে ১৯৬১ সালের ১৭’ই সেপ্টেম্বর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়। কিন্ত তারপরও থামানো যায়নি তুরস্কের ইসলামিক বিপ্লব। এই তুরস্কই আজ মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছে।
কামাল আতাতুর্কের এ ধরনের একের পর এক পদক্ষেপের ফলে পুরো রাষ্ট্রের কাঠামো বদলে যায়, বদলে যায় জনগণের বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ, যে জাতি প্রায় আটশ বছর মুসলিম জাহানকে নেতৃত্ব দিয়েছিল, সেই জাতি হয়ে যায় আদ্যোন্ত ইউরোপিয়ান।
কামাল আতাতুর্কের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সেখানকার নকশেবন্দিয়া তরিকার অনুসারী সম্প্রদায় প্রতিবাদ করেছিল, তাদের প্রতিবাদের আগুন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে, তারা সরকারের বিভিন্ন কার্যালয় অবরোধ করেন, গুরুত্বপূর্ণ শহর অভিমুখে যাত্রা করেন৷ কামাল আতাতুর্কের সরকার তাদের এই প্রতিবাদকে বিদ্রোহ আখ্যা দিয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে, নেতাদেরকে ধরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়, বিরোধী রাজনৈতিক দলকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে, কার্যত তুরস্কের মাটিতে সেক্যুলার শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার সকল সক্ষমতা নিঃশেষ হয়ে যায়।
১৮৫৭ পরবর্তী ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গে কামাল আতাতুর্কের তুরস্ককে তুলনা করা হয়, তাহলে অদ্ভূত রকমের মিল পাওয়া যায়। বিশেষত শামেলির যুদ্ধের পর ভারতের মসজিদ মাদরাসা ও আলেমদের চিত্র ও অবস্থার সঙ্গে অদ্ভূত সাদৃশ্য দেখতে পাবেন তুরস্কের।
কামাল আতাতুর্কের তুরস্কে যখন মসজিদগুলো মিউজিয়াম হয়ে যায়। মাদরাসাগুলোর যাবতীয় সম্পত্তি সরকার ক্রোক করে নেয়, ধর্মীয় শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক জীবনে ধর্ম চর্চা নিষিদ্ধ করা হয়, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ বোধে-বিশ্বাসে এতোটাই সেক্যুলার হয়ে যায় যে, তারা ইসলামের নামও শুনতে প্রস্তুত নন। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা তো দূরের কথা, ব্যক্তিজীবনেও তারা ইসলামের বিধি-নিষেধ মানতে প্রস্তুত নন।

এমন একটি জাতিকে কীভাবে ইসলামের পথে আনা যায়? এক্ষেত্রে দাওয়াতের অপেক্ষাকৃত কোমল ও ধীর এবং দীর্ঘমেয়াদী পথটাই যথোপযুক্ত ছিল৷

বিস্ময়ের বিষয় হলো, মাওলানা কাসেম নানুতুবি রহ. ভারতীয় উপমহাদেশের মাটিতে ইসলাম পুনপ্রতিষ্ঠার যেই দীর্ঘমেয়াদী ও সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, ঠিক সেই পদেক্ষপই তুরস্কের মাটিতে শুরু করেন সেখানকার কিছু উলামায়ে কেরাম।
দারুল উলূম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মাওলানা নানুতুবি রহ. যেভাবে উলামায়ে কেরামের একটি বিশাল বিপ্লবী কাফেলা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন, যাদের আপাতত ধীর, অথচ লক্ষ্যে অটুট দৃষ্টিভঙ্গির কারণে পরবর্তী দেড়শ বছরে বদলে যেতে শুরু করে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারতের স্থানীয় প্রশাসন, পুরো দৃষ্টিভঙ্গি আমি সংক্ষেপে খুলে বলছি। তা হলো, যেহেতু দেশের জনগণ ও স্থানীয় প্রশাসন- দুটোই ইসলাম থেকে শত ক্রোশ দূরে সরে গেছে, কাজেই সেক্যুলার প্রশাসনের বিরুদ্ধে শতভাগ বিদ্রোহে না গিয়ে (১) জনগণকে যথাসম্ভব ধর্মের পথে ফিরিয়ে আনা৷ (২) ব্যক্তিউদ্যোগে, নিরবে-নিভৃতে-সংগোপনে খালিস ধর্মীয়শিক্ষা যেকোনো মূল্যে অব্যাহত রাখা। (৩) আধুনিক সমাজব্যবস্থার ভঙ্গুর , ঠুনকো ও দুর্বল দিকগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরে সেক্যুলার মহলের বুদ্ধিবৃত্তিক মোকাবেলা করা।
আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে যেভাবে উলামায়ে কেরাম রাজধানী দিল্লির মাদরাসাগুলো গুটিয়ে চলে যান দেওবন্দ ও সাহারানপুরের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে। শুরু করেন সব ধরনের দৃষ্টি এড়িয়ে ইকামতের দ্বীনের নতুন মেহনত। ভারতীয় উপমহাদেশের আলেমদের সেই পথ অনুসরণ করে তুর্কি উলামায়ে কেরামও শহর ছেড়ে চলে যান প্রত্যন্ত গাঁয়ে। চলে যান প্রত্যন্ত অঞ্চলে, তারা সেখানে গাছের নিচে বাচ্চাদের কুরআন শেখানোর কাজ শুরু করেন। এমনকি সৈন্যদেরকে দেখলে সাথে সাথে তারা ক্ষেতে নেমে কৃষিকাজ শুরু করতেন।
সেই ছাত্রদেরই একজন মাওলানা মাহমুদ আফেন্দি নকশেবন্দী হাফি.। জন্ম ১৯২৯ সালে। শায়খ মাহমুদ আফেন্দী নকশেবন্দী হানাফী মাজহাবের অনুসারী। উলুমে হাদিস, ও উলুমে ফেকাহ্ এর উপর উচ্চতর ডিগ্রী তিনি। তিনি দেওবন্দী চিন্তা চেতনা ও মানহাযের উপর চলেন। তিনি খানকার মাধ্যমে দ্বীনি খিদমত আঞ্জাম দিয়ে আসতেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মাহমুদ আফেন্দির মুরিদ। যারা বিভিন্ন দেশেই দ্বীনের খেদমত করছেন। ইউরোপেও রয়েছে তার খানকা। সেখানে আফেন্দির প্রতিটি খানকা যেন সালতানাতে উসমানীয়ার এক একটি মারকায।
এমনকি আধুনিকতার মধ্যে থেকেও তার অনুসারীগন সব সময় সুন্নাতী লেবাস তথা দাড়ি টুপি পাগড়ী ও জুব্বা পড়েন, আর মহিলারা সমস্ত শরীর বোরকায় ঢেকে রাখেন। তিনি যেভাবে কষ্ট করে দীনি ইলম অর্জন করেছেন। তেমনিভাবে তিনি নিজেও গ্রামেগঞ্জে এভাবে ছাত্রদের দ্বীন শিখিয়েছেন।
নিষেধাজ্ঞার সময় শায়খ মাহমুদ আফেন্দি ছাত্রদের আঙুলের ইশারায় সরফ-নাহু শেখাতেন এবং হাতের ইশারায় মাসআলা মাসায়িল শেখাতেন। এখনও তুরস্কে কিছু জায়গায় এ পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়া হয়।
এরপর মাহমুদ আফেন্দি এ মিশন নিয়ে শহরমুখী হন। সেখানে একটি পুরাতন মসজিদ ছিল। তিনি সেখানে অবস্থান করা শুরু করলেন এবং দ্বীনি ইলম শিক্ষা দেওয়া শুরু করেন। চল্লিশ বছর ধারাবাহিক এভাবে মানুষদের দ্বীন শেখান।
কিন্তু প্রথম আঠারো বছর পর্যন্ত কেউ তার পেছনে সৈন্যদের ভয়ে প্রকাশ্যে নামাজ পড়ার সাহস করতে পারেনি। তবে সময়ের সাথে সাথে কিছু কিছু মানুষ সাহস করে তার পেছনে জামাতে নামাজ পড়া শুরু করে। এই বুজুর্গের মেহনতের ফলে একসময় সব মসজিদে আজানের সাথে সাথে লক্ষ লক্ষ মানুষ সমবেত হয়ে একসাথে নামাজ আদায় করেন। দারুল উলূম দেওবন্দ ও আকাবিরে দেওবন্দকে শায়খ মাহমুদ আফেন্দি হৃদয় থেকে শ্রদ্ধা করেন এবং তাদের আদর্শ অনুসরণ করার চেষ্টা করেন। তিনি হজরত কাসেম নানুতবি রহ.কে চৌদ্দশ শতাব্দীর ‘মুজাদ্দিদ’ বলে থাকেন৷
শায়খ মাহমুদ আফেন্দি তুর্কি ভাষায় কুরআনে কারিমের আঠারো খণ্ডের বিশাল এক তাফসির লেখেন। যার নাম ‘রুহুল ফোরকান’ এ কিতাবের চতুর্থ খণ্ডের ৭২৪ পৃষ্ঠাতে তিনি মাওলানা আশরাফ আলী থানভি রহ. কে ‘শায়খুল মাশায়েখ’ ও শায়খুল হাদিস যাকারিয়া কান্দলভী রহ. কে ‘ইমাম’ ‘মুহাদ্দিস’ ও ‘আল্লামা’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে শায়খুল ইসলাম শায়খ মাহমুদ আফেন্দিকে তুর্কিতে দ্বীনি শিক্ষা প্রচার প্রসারে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ এরদোগান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ইমাম কাসেম নানুতবি এডওয়ার্ড’ দিয়ে পুরষ্কৃত করা হয়। তুরস্কে অনুষ্ঠিত আলেমদের এক সম্মেলনে সায়্যিদ আরশাদ মাদানি বলেন, শায়খ মাহমুদ আফেন্দি হলেন তুর্কির কাসেম নানুতবি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান সেই মাহমুদ আফেন্দিরই শিষ্য, মাহমুদ আফেন্দি যেই আকিদা ও মাযহাবের (হানাফী) অনুসারী, এরদোয়ানও সেই আকিদা ও মাযহাবের অনুসারী। শায়খ মাহমুদ আফেন্দি হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা কাসেম নানুতুবির আকিদাই বহন, লালন ও পোষণ করে থাকেন। যা তিনি তার বিভিন্ন কিতাবে স্বীকার করেছেন।
এই মহান ব্যাক্তির উপর সেক্যুলারপন্থিরা অনেক হামলা চালিয়েছিল, নব্বইয়ের দশকে একজন সরকারী মুফতীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, কিন্তু অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়, ২০০৭ সালেও এক ভয়ঙ্কর হামলা হয়, আল্লাহর রহমতে তিনি সেই যাত্রা থেকেও বেঁচে যান৷ ইতিহাস সাক্ষি, যুগে যুগে ইসলামের আলো যখন নিভু নিভু হয়ে যায় তখনই এই ধরণের আধ্যাত্মিক ধর্মীয় মনিষীগণের অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেহনতের বদৌলতে ইসলামের আলো পুনর্জাগরণ সৃষ্টি করে, তুরস্কের ভুমিতেও একদিন পুরদস্তুর ইসলামের আলো জ্বলে উঠবে, তুরস্কবাসী ফিরে পাবে তাদের হারানো ঐতিজ্যকে, বিশ্ববাসী জেগে উঠবে নতুন এক মশাল নিয়ে৷
লেখক : আলেম ও বিশ্লেষক। কুয়েত প্রবাসী।


source https://deshdunianews.com/%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%b8%e0%a6%ad%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%aa/

0 Comments