জাতীর ভাগ্যের দরজায় কড়া নাড়ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

দেশ দুনিয়া নিউজ
জাতীর ভাগ্যের দরজায় কড়া নাড়ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:  ‘৭১ এ দেশ স্বাধীন হলো। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিলো। শেখ মুজিব নিহত হলো।  বিএনপি’র জন্ম  হলো। জিয়াউর রহমান নিহত হলো। এরশাদের উত্থান হলো। টানা দশ বছর শাসন করলো। তারপর জাপা মুখ থুবড়ে পড়লো। এরপর কয়েক দফায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপি জোটবদ্ধ হয়ে দেশ চালালো। বর্তমানে শেখ হাসিনা’র “এক দল, এক নেতা, একক ক্ষমতা” নীতিতে দেশ চলছে।

কিন্তু এ ৪৮ বছরে দেশের কোন উন্নতি তো হয়ইনি, বরং দিনদিন অশান্তি বেড়েছে, বাড়ছে। বাহ্যিক উন্নতি, মানে দালান-বিল্ডিং, রাস্তা-ঘাট, হাই-ওয়ে, ব্রিজ, সেতু, বিমান ও নৌ বন্দর ইত্যাদীর কিছুটা উন্নয়ন দেখা গেলেও ৪৮ বছরে উন্নতীর যে সূচকে দেশ থাকার কথা ছিলো, তার ধারে কাছেও নেই৷

দেশের এমন কোন সরকারী সেক্টর নেই, যেখানে দূর্নীতি নেই। দূর্নীতির সূচকে ১৮০ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৪৬ তম। লাগাতার দূর্নীতিতে চেম্পিয়ান৷ অর্থনৈতিক উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ ১২১ তম৷ বহু পিছিয়ে।
দেশের মানুষ জানে কোথাও নিরাপত্তা নেই৷ ঘরে-বাইরে, অফিসে-আদালতে, গাড়িতে-রাস্তায়, ব্যবসায়-বানিজ্যে, খাবারে-পানীয়ে, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায়, অর্থনীতিতে, রাজনীতিতে, সমাজে, রাষ্ট্রে- এককথায় সকল জায়গায় নিরাপত্তাহীনতা।

বারবার ক্ষমতার পালাবদলেও দেশে অশান্তি কমছেনা, বাড়ছে৷ দূর্নীতি বন্ধ হচ্ছেনা, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হচ্ছে৷ সরকার গঠন পদ্ধতি ‘নির্বাচন’ এখন হাঁসির জিনিস৷ ইলেকশন নয়, সিলেকশন নামেই পরিচিত নির্বাচন। অথর্ব নির্বাচন কমিশন এখন ঘৃনার পাত্র৷ বিরোধীদল বলতে দেশে কোন দল নেই৷ ৫% ভোটেও প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে যাচ্ছে।
মন্ত্রী, এমপি, চেয়ারম্যান, মেয়র, মেম্বার, কাউন্সিলর-অধিকাংশই দূর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসের গডফাদার। তৃনমুল থেকে উচ্চপর্যায়ে সকল অপরাধের মুলহোতা এরাই৷ অপরাধীদের আশ্রয়স্থল।

দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে রাজনৈতিক বিকল্প শক্তি “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ” জনগনের জন্য আশীর্বাদ!
সারাদেশের সিটি নির্বাচন গুলোতে ইসলামী আন্দোলন ছিলো তৃতীয়৷ যদিও ভোট ডাকাতি হয়েছে৷ সুষ্ঠু হলেও ইনশাআল্লাহ তৃতীয়, কোথাও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকতো। এ অবস্থান এমনিতেই হয়নি৷ অন্য দলগুলোর অত্যাচারে জাতি শ্বাসরুদ্ধ৷ একমাত্র এ দলটিই আদর্শবান, দাগহীন, আপোষহীন, স্বচ্ছ।

গত চেয়ারম্যান নির্বাচনে এ দলটির তিনজন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন৷ বরিশালের চরমোনাই ইউনিয়নে মাওলানা ইসহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের, লক্ষিপুরের চরকাদিরা ইউনিয়নে আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ, লালমনিরহাটের কমলাবাড়ি ইউনিয়নে আলাউদ্দিন আলাল৷ আলহামদুলিল্লাহ এ তিনজন চেয়ারম্যান সফল, জনগনের আস্থার প্রতিক, ন্যায় বিচারক, দূর্নীতিহীন, মানুষের ভালোবাসার পাত্র৷ এ তিন ইউনিয়নে জনগন ইসলামী রাজনীতির সুফল ভোগ করছে৷ রুপকথার স্বর্গরাজ্যের বাস্তব উদাহরন এ ইউনিয়ন তিনটি।

জনবান্ধব এ সংগঠনটি সবসময় জাতির ক্রান্তিলগ্নে সর্বস্ব বিলিয়ে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসে৷ শুধু ভোটের সময় নয়, বরং দুঃখের সময়ও মানুষের পাশে দেখা যায় তাদের৷ চলতি ‘করোনা’ সংকটে বিশ্ব যখন মহাসংকটে নিমজ্জিত, বাংলাদেশও বিপর্যস্থ, অসহায় দিনমজুর নিম্ন ও মধ্যবিত্ত যখন ক্ষুধা আর অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিন্তায় হতাশাগ্রস্থ, তখন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা-কর্মীরা সহযোগিতা নিয়ে মানুষের দ্বারে-দ্বারে উপস্থিত৷ সারাদেশের প্রত্যেকটি জেলায় তারা ত্রান বিতরন করছে৷ সুশৃঙ্খল ও আন্তরিকতার সাথে তারা দলের আমীর পীর সাহেব চরমোনাইর নির্দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস ও অর্থ পৌছে দিচ্ছে।

স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও যে স্বপ্ন অপূর্ণ রয়ে গেছে, যে শান্তি অধরাই রয়ে গেছে, আগামিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাধ্যমে সে আশা পূরণে জাতি আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে৷ তাই বলি, জাতির ভাগ্যের দরজায় কড়া নাড়ছে “ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ”, বিজয় আর কত দূর!

লেখক: মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ মুখতার
জেদ্দা, সৌদি আরব

জাতীর ভাগ্যের দরজায় কড়া নাড়ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
deshdunianews



source https://deshdunianews.com/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a6%b0%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%95%e0%a6%a1%e0%a6%bc%e0%a6%be/

0 Comments