হাতীবান্ধায় নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ

দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:

মোঃ ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার কেতকীবাড়ী এলাকায় ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে রিংকু ও হাসান নামে দুই যুবকের বিরুদ্ধে।

রোববার ( ৮ নভেম্বর) রাতে এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ঐ ছাত্রীর বাবা মিলন। এর আগে গত শুক্রবার (৬ নভেম্বর) উপজেলার পুর্ব বিছনদই এলাকায় এ অপহরণের ঘটনাটি ঘটে। তবে বিষয়টি প্রেম ঘটিত বলে জানা গেছে।

অভিযুক্ত রিংকু (২০) উপজেলার কেতকীবাড়ী এলাকার মায়ানুর রহমানের ছেলে এবং হাসান (২০) একই এলাকার নুর ইসলামের ছেলে। মেয়েটি কেতকীবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী।

থানায় করা অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পুর্ব বিছনদই এলাকার মিলনের ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে তার বাড়ির অদুরে (কেতকীবাড়ী টু ভোটমারী গামী পাকা রাস্তার ধারে) জনৈক গোলাপের মুদির দোকানে বাজার করতে যায়। এমন সময় রিংকু ও হাসান ঐ ছাত্রীকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে কেতকীবাড়ী হাটের দিকে পালিয়ে যায়। এসময় এলাকাবাসী এ ঘটনা দেখে রিংকু ও হাসানকে আটক করতে গেলে তারা দ্রুত মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে ৯ম শ্রেণির ঐ ছাত্রীর পিতা মিলন বলেন, আমার নাবালিকা মেয়েকে অসৎ উদ্দেশ্যে রিংকু অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং তাকে সহযোগিতা করে হাসান। ঘটনার পর থেকে মেয়েকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আমি রিংকুর সাথে মোবাইল ফোনে অনেক অনুরোধ করলেও সে কোন কথা শুনেনি। এছাড়াও আমার মেয়ে বেঁঁচে আছে নাকি তাকে রিংকু মেরে ফেলেছে এবিষয়ে সে কিছুই জানিনা।

এবিষয়ে রিংকুর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে সে ৯ম শ্রেণির ঐ ছাত্রীকে অপহরণ করার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমরা উভয়ে উভয়কে ভালবাসী। মেয়ের বাবাকে বিয়ের জন্য জন্য প্রস্তাব দিলে তিনি তার মেয়েকে আমাকে দিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে আমরা বাধ্য হয়ে ঢাকার নারায়ঞ্জে পালিয়ে এসে বিয়ে করি।

হাতীবান্ধা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, এবিষয়ে ছাত্রীর বাবা একটি লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দিয়েছে। বিষয়টি তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

দেশ দুনিয়া নিউজ /এন এন



source https://deshdunianews.com/%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%a8%e0%a6%ac%e0%a6%ae-%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%a3%e0%a6%bf%e0%a6%b0/

0 Comments