দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা সা.-কে অবমাননার প্রতিবাদে ফরাসি পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশের ইসলামি দল ও সংগঠনগুলো। বিশ্বনবীকে নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর বিতর্কিত মন্তব্যের পর ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সরব হয় বাংলাদেশের নাগরিকরা। ঘটনার পর থেকে দল-মত নির্বিশেষে দেশের সকল মুসলিম নাগরিকরা ক্রমাগত নিন্দা ও বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে। বিশেষ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল রাজপথে বেশ সরব ছিল।
আজ মঙ্গলবার ইসলামী আন্দোলনের ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির পর বিশ্বের অনেক গণমাধ্যমে ওঠে আসে বাংলাদেশের বিক্ষোভের খবর। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সিতে শিরোনাম করা হয়, ‘ফ্রান্স বয়কটের আন্দোলন বাংলাদেশে গতি পেয়েছে’। ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স২৪ শিরোনাম করেছে, ‘বিশ্বনবীর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের প্রতিবাদে ১০ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে।’
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা শিরোনাম করেছে, ‘হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বাংলাদেশে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে’। ২০১৫ সালে প্রথম ফ্রান্সের শার্লি হেবদোতে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করা হয়। পরে এটি আবার আলোচনায় আসে ফরাসি শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির হাত ধরে। ওই শিক্ষক ক্লাসরুমে নবীজির ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করেন। এর পরই গত সপ্তাহে এক তরুণ ওই শিক্ষককে খুন করেন। যদিও পুলিশের গুলিতে ওই তরুণ নিহত হয়েছিলেন।
গত বুধবার খুন হওয়া ফরাসি শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটিকে সম্মান জানাতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ম্যাক্রোঁ বলেন, ইসলাম ধর্ম ও বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সা.-কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করা হবে না। এর পরই ফ্রান্সের মুসলিমরা ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, তাঁদের ধর্মকে দমন করা ও ইসলামফোবিয়াকে বৈধতা দিতে চেষ্টা করছেন তিনি।
আনাদুলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার বাংলাদেশে ১০ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাসের দিকে যাত্রা শুরু করে। এ সময় সবাইকে ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হয়।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়, ঢাকায় আন্দোলনকারীরা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর প্রতিকৃতি তৈরি করে তাতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
ফ্রান্স২৪ বলছে, পুলিশের ধারণা ৪০ হাজার লোক বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছে। ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাস অভিমুখে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁদের আটকায়। কোনো রকম সহিংসতা ছাড়াই অনন্ত ১০০ পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত থেকে ব্যারিকেড দিয়ে তাঁদের থামায়।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ইংরেজি শিরোনাম করেছে, ফরাসি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে ঢাকায় বিশাল বিক্ষোভ।
খবরে বলেছে, ফ্রান্সের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে ফরাসী পণ্য বর্জনের দাবিতে কয়েক হাজার মানুষ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ফ্রান্সের দূতাবাস অভিমুখে মিছিল করেছে।
তারা রাষ্ট্রপতি ইমমানুয়েল ম্যাক্রনের নিন্দা করেছে। পুলিশ মিছিল কারীদের ফরাসী দূতাবাসে পৌঁছতে বাধা দিয়েছে।
source https://deshdunianews.com/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ac-%e0%a6%ae%e0%a6%bf%e0%a6%a1%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a7%9f-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%86%e0%a6%a8%e0%a7%8d/
0 Comments