গাছে দোয়ার কাগজ লাগানোয় ইশার কর্মীকে আ’লীগ নেতার মারধর

  • ইসমাইল হোসাইন
  • ভোলা জেলা প্রতিনিধি

ভোলার সদর উপজেলায় গাছে জিকির সম্বলিত কাগজ লাগানোর কারণে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্বশীলকে মারধর করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।

গত (৮ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার বিকেলে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে ভোলা সদর উপজেলাধীন ১০ নং ভেলুমিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত ৭ নং ওয়ার্ডে।

স্থানীয় ওয়ার্ডের ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাসেল (১৭) ইশা ছাত্র আন্দোলন ইউনিয়ন শাখার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জিকির ও দোয়া সম্বলিত কিছু কাগজ গাছে লাগানোর জন্য রাস্তায় বের হলে স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী কালিমুল্লাহ নায়েব এর নগ্ন হামলার শিকার হয় রাসেল। তাকে প্রচণ্ড মারধর করে।

ইশা ছাত্র আন্দোলনের কর্মী রাসেল বলে, জিকির ও দোয়া সম্বলিত কয়েকটি কাগজ গাছের সাথে লাগাতে থাকে। ঐ সময় ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি কালিমুল্লাহ নায়েব(৪০) তার এই কাজে বাঁধা দেয়।
রাসেলকে বলে এগুলো কি লাগাও ?
সে বলে আমি আল্লহর জিকির ও দোয়া লেখা কাগজ লাগাই।
তার উত্তরে সে বলে জিকির তো মসজিদে করবে গাছের সাথে কেন লাগাও ? এবং এর অর্থ কি বল ?
রাসেল বলে আস্তাগফিরুল্লাহ অর্থ হল আল্লাহর কাছে মাফ চাই।
নায়েব বলে, তোমাকে এগুলো কে লাগাতে বলেছে ?
রাসেল বলে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্বশীল হাসান ভাই লাগাতে বলেছে।

তখন নায়েব উত্তেজিত হয়ে বলে হাসানকে ডাকো। নেতাগিরি করতে আসছো। এক পর্যায়ে তার হাত থেকে হাতুড়ি নিয়ে তাকে মারধর করে। ইট দিয়ে তার পায়ে আঘাত করে। গাছ থেকে একটি কাঁচা গাছের ডাল ভেঙ্গে তাকে প্রহার করা শুরু করে। রাসেল সহ্য করতে না পেরে দৌড় দেয়। পিছন থেকে তাকে শিবির ধর.. ধর.. বলে দৌড়াতে থাকে কালিমুল্লা নায়েব।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভেলুমিয়া ইউনিয়নের দায়িত্বশীলদের মাঝে বিষয়টি প্রকাশ হলে ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা ইসমাইল হোসেনসহ ইউনিয়ন দায়িত্বশীলবৃন্দ এবং ভেলুমিয়া বাজার মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ ওমর ফারুক সাহেব মসজিদে বসেন এবং কালিমুল্লাহ নায়েবকে ফোন দেন। কিন্তু মাওলানা ওমর ফারুক সাহেবের সাথে কালিমুল্লাহ নায়েব অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। একপর্যায়ে সে বলে রাসেলকে আরো মারবো, তারপর বিচারে বসবো।

গতকাল (১০সেপ্টেম্বর) সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলার পক্ষ থেকে জেলা দায়িত্বশীলবৃন্দ ঘটনাটির সত্যতা জানতে ঘটনাস্থলে যান।
রাসেল একটি দরিদ্র পরিবারের ছেলে। তার পিতার নাম সুলতান ফরাজী। রাসেল চন্দ্র প্রসাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র। ঘটনার দিন জোহরের নামাজের পর মসজিদে আধাঘন্টা কোরআন শরীফ শিখে। তারপর বাড়িতে খানা খেয়ে কাগজগুলো লাগাতে বের হয়। রাসেলের মা পর্দার আড়াল থেকে কেঁদে দিয়ে বলেন,আমরা খুব ভয়ের মধ্যে আছি।

এতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উত্তর শাখার সংগ্রামী সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মিজানুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন,পেশিশক্তি ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে আমরা বিশ্বাসী নই। ইউনিয়ন পর্যায়ের এজাতীয় উশৃংখল পাতি নেতার কারণে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তিনি ভোলার সচেতন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দেকে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।



source https://deshdunianews.com/%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%9b%e0%a7%87-%e0%a6%a6%e0%a7%8b%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%9c-%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8b%e0%a7%9f-%e0%a6%87/

0 Comments