- দেশ দুনিয়া নিউজ ডেস্ক
ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার( ৪ আগস্ট) জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণের এ নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নতুন এই মানচিত্রে ভারতের দখলে থাকা কাশ্মীর ও লাদাখকে যুক্ত করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার এক বছরপূর্তির ঠিক আগের দিন এই মানচিত্র প্রকাশ করলো পাকিস্তান।
এদিন মানচিত্র প্রকাশ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘পাকিস্তানের মানুষের লক্ষ্য প্রকাশিত হয়েছে এই মানচিত্রে। আজ একটা ঐতিহাসিক দিন, কারণ আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করেছি, যা গোটা দেশ ও কাশ্মীরের মানুষের ইচ্ছেতেই তৈরি হয়েছে।’
এতদিন পর্যন্ত পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের অংশকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের অংশ বলে দাবি করত না। গিলগিট-বালতিস্তানকে নিজেদের বলে উল্লেখ করলেও বাকি অংশকে পাকিস্তান ‘আজাদ কাশ্মীর’ বলে উল্লেখ করতো।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছেন, এই প্রথমবার পাকিস্তান গোটা বিশ্বের সামনে নিজেদের অবস্থাব স্পষ্ট করলো। বুধবার, ৫ অগস্ট দিনটিকে ‘কালা দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে বলেও জানান পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে পাকিস্তানের এ পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করেছেন ভারত।
এরআগে, ভারতের কালাপানি, লিমপিয়াধুরা, লিপুলেখ এই তিনটি অংশকে নিজেদের বলে দাবি করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে নেপাল সরকার। নেপালের সঙ্গে ভারতের চলমান বিতর্কের মধ্যেই এমন পদক্ষেপ নিলো ইসলামাবাদ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে একপেশে ও হিন্দুত্ববাদী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি-অমিত শাহ নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার।সেইদিন সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে কাশ্মীর উপত্যাকা থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে সেটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
৩৭০ ধারা বাতিলের এক বছর পরও কাশ্মীরের চিত্রে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। সারা বছরই কারফিউ এবং কাশ্মীরের জনগণের উপর নির্যাতন চালিয়ে গেছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার। এমনকি এই এক বছরে কাশ্মীরের জনগণের উপর একাধিকবার গণহত্যার অভিযোগও পাওয়া গেছে বিজেপি শাষিত মোদি সরকারের উপর।
দেখতে দেখতে এই প্রহসনের সিদ্ধান্তের একবছর পূর্ণ হলো আজ। এক বছর পরবর্তি এই সময়ে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতি এই অন্যায় কাজের কোন প্রতিবাদ যেন না হতে পারে সেজন্য ৪অগাস্ট ও ৫অগাস্ট কাশ্মীরে কারফিউ জারি করেছে হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন।
কাশ্মীরের জন্য কালো দিবস হিসাবে গৃহিত এই দিনটি যাতে কেউ পালন না করতে পারে সেই জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বাতিলের আগেই কাশ্মীরজুড়ে বিপুল সেনা নিয়োগ করেছিল ভারত। সাধারণ মানুষ ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারেননি। সবাই অনেকটা অনুভব করতে পেরেছিল যে কিছু একটা ঘটতে চলেছে। সেইসময় অন্যায়ভাবে কাশ্মীরের প্রায় সব জনপ্রিয় রাজনীতিবীদদের গ্রেফতার করা হয়। চলতি বছরে সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মুক্তি পেলেও এখনো জেলে বন্দি রয়েছেন মেহবুবা মুফতিসহ অন্যান্য রাজনীতিবীদরা।
source https://desh-duniyanews.com/%e0%a6%9c%e0%a6%ae%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a7%81-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a7%80%e0%a6%b0%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4-%e0%a6%95%e0%a6%b0/
0 Comments