জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী আজ 

  • এস.কে নাজমুল হাসান 

২৭ আগষ্ট ১৯৭৬(ইংরেজি) ১২ ভাদ্র (বাংলা) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ৭৭ বয়সে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী।
তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশেই কবর দেয়া হয়। যা তার আকাঙ্খা ছিলো তার গানে এই অনুভূতি প্রকাশও পেয়েছিল।

কাজী নজরুল ইসলাম (দুখু মিয়া)
২৫ মে ১৮৯৯
চুরুলিয়ায় (বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ) জন্ম গ্রহণ করেন।

বাংলা সাহিত্যে অনেক অবদান আছে কাজী নজরুল ইসলামের। তিনি বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা।

তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগৎকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। ইসলাম, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে।

সাম্রাজ্যবাদী ও দখলদার অপশক্তির মূর্তিমান এক আতঙ্কের নাম নজরুল। মূলত ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের স্বাধীনতা সংগ্রামে নজরুলের প্রত্যেকটি শব্দ এক একটি পারমাণবিক বোমার কাজ করেছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রাম নজরুলের কবিতায় দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছিলো মুক্তিবাহিনীকে।

এমনকি স্বাধীনতা সংগ্রামে রক্তে আগুন ধরা “জয় বাংলা” শ্লোগানটিও নজরুলের কবিতা হতে নেওয়া।

জাতীয় কবি ইসলামকে ধারন করতেন মনেপ্রাণে।
তিনি সাম্য ও অসাম্প্রদায়িকতার মন্ত্র খুঁজতেন ইসলামি আদর্শে।

ইসলামের গণভিত্তিকে নজরুল মূল্যায়ন করেছেন এভাবে,-
“ইসলামের সত্যিকার প্রাণশক্তি; গণশক্তি, গণতন্ত্রবাদ, সার্বজনীন ভ্রাতৃত্ব ও সমানাধিকারবাদ। ইসলামের এই অভিনবত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব আমি ত স্বীকার করিই, যাঁরা ইসলাম ধর্মাবলম্বী নন, তাঁরাও স্বীকার করেন।”

নজরুলের প্রথম কাব্যগ্রন্থ, অগ্নিবীণা” যার জন্য নজরুল সমগ্র বিশ্বসাহিত্যে নজরুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত সেই কবিতার অর্ধেক কবিতাই ইসলামি আদর্শকে লালন করে লেখা কবিতা। এমনকি পরবর্তীতে নজরুল রচনা করেন মহানবী (সা:) এর জীবনী নির্ভর কাব্যগ্রন্থ ” মরু ভাস্কর”।
এভাবে তাঁর ইসলামি প্রীতি ফুঁটে উঠেছে প্রিয় কবির কাজ ও কর্মে।

তাছাড়াও নজরুলের অসংখ্য প্রকাশিত কবিতায় ইসলামের প্রতি তাঁর অনুরাগ ও আবেগও ফুটে উঠেছে।
ইসলামী ভাবাবেগে তার রচিত কবিতা সমূহ।
যেমন-
“আমি আল্লাহর সৈনিক, মোর কোন বাধা-ভয় নাই।তাঁহার তেজের তলোয়ারে সব বন্ধন কেটে যাই।
তুফান আমার জন্মের সাথী, আমি বিপ্লবী হাওয়া
‘জেহাদ’, ‘জেহাদ’, ‘বিপ্লব’, ‘বিদ্রোহ’, মোর গান গাওয়া!”

নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম মুসলমানদের ঘুমন্ত ইমানকে জাগিয়ে তোলে৷ অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশের শিক্ষা প্রদান করে।
তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পয়গাম দেয়।

পরিশেষে জাতীয় কবির আত্মার শান্তি কামনা।



source https://deshdunianews.com/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%80%e0%a6%af%e0%a6%bc-%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf-%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a7%80-%e0%a6%a8%e0%a6%9c%e0%a6%b0%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2/

0 Comments