মাওলানা আবদুর রাজ্জাক।
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর সিনিয়র নেতৃবৃন্দের ফোনালাপকে কেন্দ্র করে কওমি অঙ্গনে বিশাল অস্থিরতা বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কওমি তলাবা ও তরুণ আলেমদের অনেকেই বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
বাংলাদেশের একজন বড় আলেম, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, জনাব মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী লাইভে এসে বহু দুর্নীতি ও অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন। মিডিয়ার কল্যাণে সাধারণ জনগণও কওমির অভ্যন্তরীণ অনিয়মগুলো জানতে শুরু করেছে।
বেফাকের পক্ষ থেকে এক বৈঠকে প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ তিনজনকে বরখাস্ত করেছে। এর বাহিরে মুরুব্বী আলেমদের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি শামাল দেয়ার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। মুরুব্বীদের এহেন নীরবতায় তরুণ আলিমদের ভাবিয়ে তুলছে। কেহ এর যৌক্তিক কোনো কারণ খুঁজে বের করতে পারছে না।
আমাদের নিজস্ব অনুসন্ধানে যা বোধগম্য হয় তা হলো, মূলত বেফাকের মুরুব্বীদের মাঝেই খোদ গ্রুপিং ও রাজনৈতিক পলিসি কাজ করছে। এটাও হতে পারে সমাধানের কোন পথে আসলে
মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস এর বাহিরে
অপর পক্ষের অনেক দূর্নীতিবাজও ধরা পড়বে।
তাই তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মত বেফাকের নেতৃত্ব দখল ও আল্লামা আহমদ শফী পরবর্তী বেফাকের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার অপকৌশলে লিপ্ত রয়েছে। তারা চাচ্ছে নিজেরা নিরব থেকে তরুণদের আন্দোলন এর ফায়দা নিতে।
আর অভিযুক্তমহল নিজেদের দোষ-ত্রুটি যা স্বীকার করার দরকার তা স্বীকার করে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার না করে সেই পুরাতন পথেই হাঁটলেন। তারা আল্লামা আহমদ শফীর নামে একটা বিবৃতি প্রকাশ করলেন। যে বিবৃতিতে আল্লামা আহমদ শফি দা. মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস কে নির্দোষ আখ্যা দিলেন। এতে অভিযুক্ত মাওলানা আবদুল কুদ্দুস এর কোন উপকার তো হলো না বরং জ্বলন্তআগুনে ঘি ঢালার মত পরিস্থিতিকে আরো উসকে দিলো।
কারণ আল্লামা আহমদ শফী দা. বা. এর স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি এখন ওলামা-তলাবাদের নিকট সুপ্রমাণিত। একসময় আল্লামা আহমদ শফীর খোলাচিঠিতে গোটা দেশ জাগলেও এখন তার বিবৃতি দেখে খোদ কওমি ওলামা-তলাবারাও উপহাস করে।
তবে যারা আল্লামা আহমদ শফীর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এই মহান বুজুর্গকে বিতর্কিত করছেন তারা ইতিহাসের কালো অধ্যায়ে নিজেদের স্থান করে নিয়েছেন শত শত বছরের জন্য।
সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে আমাদের জোর দাবি, এই মহান বুযুর্গের সংগ্রামী জীবন, দেশ-ইসলাম ও মানবতার জন্য তার অবদানকে বিতর্কিত না করে তাঁকে সব দায়-দায়িত্ব থেকে মুক্তি দিন। মনে রাখবেন তাঁর অবদান যদি বিতর্কিত হয় তাহলে এতে গোটা কওমি অঙ্গন বিতর্কিত হবে এবং হচ্ছে।
এটাও মনে রাখবেন আল্লামা আহমদ শফি এখন একক কারো পিতা নন, তিনি বর্তমান বিশ্বের প্রত্যেক সত্য সন্ধানির পিতা। তাঁকে বিতর্কিত করলে, তাঁর অবদান ম্লান করলে আমাদের সকলের প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে।
source https://desh-duniyanews.com/%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a6%b9%e0%a6%ae%e0%a6%a6-%e0%a6%b6%e0%a6%ab%e0%a7%80-%e0%a6%a6%e0%a6%be-%e0%a6%ac%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%b8/
0 Comments