বাঁশখালীতে সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে ২ ইউনিয়নের লাখো মানুষ

  • আলমগীর ইসলামাবাদী
  • চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকুপ ইউনিয়নের মনকিচর এমদাদুল উলুম মাদরাসার সামনে জাইল্যাখালী খালে সেতু না থাকায় ভোগান্তির শিকার দুই ইউনিয়নের ছাত্র-ছাত্রীসহ লক্ষাধিক মানুষ। শীলকুপ ও সরল ইউনিয়নের মিনজিরিতলা, কাহারঘোনা গ্রামের বাসিন্দারা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

সেখানে ১৯৯০ সাল থেকে মনকিচর এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার তত্ত্বাবধানে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো বানিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা করেন।

শীলকুপ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড মনকিচর জাইল্যাখালী বাজারের পশ্চিম দিকে মনকিচর এমদাদুল উলুম মাদ্রাসা হয়ে সরলের কাহারঘোনা এলাকার মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া জাইল্যাখালী খালের উপর সাঁকোটির অবস্থান।

ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সাঁকোটিতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কাঠের পাটাতন দেওয়া হয়েছে। তবে বর্ষা মৌসুমে সাঁকোটি হয়ে উঠে আরও বেশী ঝুঁকিপূর্ণ। ভেজা পায়ে কাদামাটি লেগে সাঁকোতে উঠতে হয় বলে ঝুঁকি থাকে বেশী।

১২০ ফুট দীর্ঘ ওই সাঁকোটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার করতে হচ্ছে স্কুল ও মাদ্রাসার শতশত শিক্ষার্থীকে। সাঁকোর দক্ষিণ পাশে এমদাদুল উলুম মাদরাসা, আল-হুমাইরা বালিকা মাদরাসা, মনকিচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামিয়া নুরিয়া মাদরাসা, ইমাম বোখারী একাডেমি, দারুল হিকমা মাদরাসা। এছাড়া সাঁকোর উত্তর পাশে কাহারঘোনা রওশনিয়া মাদরাসা, আশিঘর পাড়া ফয়জুল উলুম মাদরাসা, কাহারঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

মনকিচর এমদাদুল উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল পীরে কামেল আল্লামা শাহ্ আবু বকর সাহেব বলেন, কোন কোন সময় খাল পার হয়ে মাদরাসায় আসা বা যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা পানিতে পড়ে ভিজে যাচ্ছে, কেউ আহতও হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর কারণে বর্ষা মৌসুমে অনেক ছাত্র-ছাত্রী মাদ্রাসায় আসতে পারে না।

এলাকাবাসীরা জানান, সাবেক এমপি, মন্ত্রী, অনেক নেতারা বারবার কথা দিয়েও কথা রাখেনি। এক সময় সেতুর জন্য উদ্যোগও নিয়ে ছিল প্রশাসণ, কিন্তু অদৃশ্য কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।

এই ব্যাপারে শীলকুপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহসিন দেশ দুনিয়া নিউজ কে বলেন, এটি বহু বছরের পুরনো একটি সাঁকো। দুই পাশের লোকজন ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার করছে। সাঁকোর স্থলে একটি সেতু খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদের একজন চেয়ারম্যান। আমার পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। এসব কাজ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরেরর এখতিয়ারভুক্ত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোমেনা আক্তার দেশ দুনিয়া নিউজকে বলেন, আপনারা একটি জনদুর্ভোগের সংবাদ দিয়েছেন। এরকম একটা সাঁকো আছে, আমার জানা ছিল না। আমি দ্রুত পরিদর্শনে যাবো এবং সেতু স্থাপনের বিষয়ে কার্যকরি পদক্ষেপ নেব।



source https://desh-duniyanews.com/%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%b6%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%80%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%ad/

0 Comments