তানিম ইবনে তাহের; (নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি)
নরসিংদীর শিবপুরে পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে হ্যাপী আক্তার (৩০) নামে এক গৃহিণীর জীবন বাঁচাতে হাত কেটে ফেলতে হয়েছে।
শিবপুর উপজেলার বৈলাব গ্রামের আলম মিয়ার স্ত্রী ভুক্তভোগী হ্যাপী আক্তার । ওই চিকিৎসক শিবপুর বাজারের তানিয়া মেডিকেল হল নামের একটি দোকানের মালিক।
ভুক্তভোগীর স্বামী আলম মিয়া বলেন, গত ১২ জুন শুক্রবার আমার বাড়ির আঙ্গিনায় পিচ্ছিল খেয়ে পড়ে হাত ভেঙ্গে যায়। পরে চিকিৎসার জন্য নরসিংদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে হাড়ভাঙ্গা ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে সবকিছু ঠিক করা হয়। এসময় শিবপুর থেকে পল্লী চিকিৎসক মোস্তফার পরিচিত এক লোক আমাকে ফোন করে বলেন শিবপুরে অভিজ্ঞ হাড়ভাঙ্গার ডাক্তার দ্বারা কম খরচে উন্নত মানের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব, আপনার স্ত্রীকে নিয়ে চলে আসেন।
পরে শিবপুরে রোগী নিয়ে গেলে পল্লী চিকিৎসক মোস্তফা নিজে হ্যাপীর চিকিৎসা করেন। চিকিৎসার দুইদিন পরে অবস্থার উন্নতি না হয়ে অবনতি হলে হ্যাপীকে অন্য ডাক্তারের কাছে প্রেরণ করেন পল্লী চিকিৎসক মোস্তফা কামাল। পরে জানতে পারলাম আমার স্ত্রীর হাতে পচন ধরেছে।
এ অবস্থায় হ্যাপীকে নরসিংদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করি। তার জীবন বাঁচাতে অবশেষ বাম হাতের কনুই এর উপর থেকে কেটে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে আমার স্ত্রী নরসিংদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক মোস্তফার কামালের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাপির চিকিৎসা আমি করিনি, করেছে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার। তবে ওই ডাক্তারের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে তা জানাতে পারেননি তিনি।
source https://deshdunianews.com/%e0%a6%aa%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a7%80-%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a7%8e%e0%a6%b8%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ad%e0%a7%81%e0%a6%b2-%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%95%e0%a6%bf/
0 Comments